মুরীদ বা সালিকের জন্য আদব-কায়দার প্রতি খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। আদব অর্থ স্বাভাবিকতা। অর্থাৎ যা স্বাভাবিক তাই আদব। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বলা হয় ‘ফিতরাত’ বা স্বাভাবিকতার দ্বীন। অর্থাৎ অন্য ভাষায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আদব মুবারকেরই দ্বীন।
অপরদিকে তরীক্বত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে-
اَلطَّرِيْقَةُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ:“তরীক্বতের সবটুকুই আদব।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন)
আরো বলা হয়েছে যে-
اَلتَّصَوُّفُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ: “তাছাওউফ সম্পূর্ণই আদবের অন্তর্ভুক্ত।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন ইত্যাদি) আদবের গুরুত্বের প্রতি খেয়াল বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যদিও আবূ জাহেলের ছেলে ছিলেন, পরবর্তী সময় তিনি সম্মানিত ইসলাম কবুল করেছিলেন। একবার (হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও মুসলমান হননি বা সম্মানিত ইসলাম কবুল করেননি) কুরাইশ নেতা আবূ জাহেল একটা আইন করলো- কোন ব্যক্তি যদি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খ¦াতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক প্রকাশ করে বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তার শাস্তি মৃত্যুদ-।
তার কিছুদিন পর দেখা গেল, হযরত ইক বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
উনার ক্বওল শরীফসমূহ
(তাযকিরাতুল আওলিয়া কিতাব থেকে উদ্ধৃত)
১১। হৃদয় কথা না বলা পর্যন্ত জ্ঞানী লোক চুপ করে থাকেন। যারা জ্ঞানী ও মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারা হৃদয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ইলহাম লাভ করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ইলহাম উনাদের জিহ্বায় উচ্চারিত হয় মাত্র।
১২। মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতের বান্দার দু’টি লক্ষণ আছে- (১) যে যে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি রয়েছে, সেসব বিষয় থেকে তিনি ইন্দ্রিয়গুলোকে (চোখ) সংযত করে রাখেন। (২) যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
১০২নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوْقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهٗ قَالَ مَنْ يُّرِدِ اللهُ بِهَدْيِهٖ يُفَهِّمْهُ
অর্থ:“আমীরুল মু’নিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি হিদায়েত চায় মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দ্বীন ইসলাম সর্ম্পকে সঠিক বুঝ দান করেন।” (আস্ সাজযী, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৭০৪)
১০৩নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ وَاثِلَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র তাশাহহুদ শরীফ বা পবিত্র আত্তাহিইয়াতু শরীফ:
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيّـبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيكَ اَيُّـهَا النَّبِىُّ وَرَحْـمَةُ اللهِ وَبَـرَكَاتُهٗ اَلسَّلَامُ عَلَينَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِـحِيْنَ اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُـحَمَّدًا عَـبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ.
পবিত্র দুরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِ عَلٰى سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَـمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا اِبْرَا বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
তখন যিনি খালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে। যেহেতু মালাকুল মউত হযরত আযরায়ীল আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টা পালনের ব্যাপারে ওজরখাহী করছেন তাই স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক খালিক্ব মালিক তিনি বললেন, ঠিক আছে তাহলে আমি কুদরতীভাবে উনাকে নিয়ে আসবো। সত্যি স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার রূহ মুবারক কুদরতীভাবে এনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা স্থায়ী, সেটাকে অস্থায়ীর উপর প্রাধান্য দাও। তোমরা দ্বীনকে দুনিয়ার উপর অর্থাৎ পরকালকে ইহকালের উপর প্রাধান্য দাও। তাহলে তোমাদের জন্য রয়েছে, ইহকাল এবং পরকালের কামিয়াবী।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়- হযরত হারাম ইবনে হাব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একজন তাবেয়ী ছিলেন, একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম শুনেছেন। উনার মনে একটা আরজী ছিল, হযরত ওয়ায়েস আল ক্বারনী খাইরুত তাবেয়ীন, যিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পরে শ্রেষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
বিছাল শরীফ
হযরত উরওয়া বিন যুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি পাখি হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ধরে মসজিদের মধ্যে ঢিল মারছে। তখন হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, যদি তুমি সত্য সত্যই এইরূপ স্বপ্ন দেখে থাকো, তবে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিছাল শরীফ প্রাপ্ত হয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অল্প কিছুক্ষণ পরেই খবর আসলো যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিছ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক, উনাদের প্রতি হুসনে যন বা উত্তম ও সঠিক ধারণা জুয্য়ে ঈমান বা ঈমানের অঙ্গ। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমালোচনা করা ও উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে দলিল-আদিল্লাহসহ বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বুযুর্গী-সম্মান, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক তুলে ধরা হলো। পরবর্তীতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর বাকি অংশ পড়ুন...
আধা মৌলানা ঈমান নাশের কারণ
“আধা ডাক্তার জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ। আর আধা মাওলানা ঈমানের জন্যে হুমকিস্বরূপ।”
এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয় যে, এক লোকের শরীরে একটি বাগী বা ফোঁড়া হয়, সে চিকিৎসার জন্যে গ্রাম্য এক ডাক্তারের নিকট যায়। ডাক্তার চিকিৎসা স্বরূপ লোহা গরম করে উক্ত বাগী বা ফোঁড়াতে দাগা দিয়ে দেয়। রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে চলে যায়, কিন্তু রোগীর অবস্থা ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ অবস্থা দেখে রোগীর আত্মীয়-স্বজন ডাক্তারের নিকট এসে বলে- হে ডাক্তার সাহেব! আপনি রোগীর কেমন চিকিৎসা করলেন যে, রোগী মরে যাওয়ার অবস্ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
وَيَرْضٰى بِرِضَاءِهَا
এবং তিনি যার প্রতি সন্তুষ্ট হন স্বয়ং খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি তার প্রতি সন্তুষ্ট হন। সুবহানাল্লাহ! এই যে বিষয়টা, এটাতো সূক্ষ্ম বিষয়। হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টা বুঝিয়েছেন, একদিক থেকে রেযামন্দী সন্তুষ্টি হাছিল করা আরেকদিক থেকে তিনি সমস্ত কায়িনাতকে তা’লীম দিলেন যে, দেখ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যিনি মূল উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম কিভাবে দিতে হবে? সমস্ত দিন দুনিয়া একদিকে অর্থাৎ সমস্ত দুনিয়াবী কাজ একদিকে রেখে যিনি বাকি অংশ পড়ুন...
টুপির ফতওয়া সম্পর্কিত কতিপয় বিষয়ের সংশয় নিরসন:
কিস্তি বা লম্বা টুপি কাফেরদের শিয়ার হিসেবে প্রমাণ করতে গিয়ে اَلْغِيَارُ শব্দের ব্যাখ্যায় হাশিয়ায় শায়েখযাদাহ্ এর উদ্ধৃতি পেশ করা হয়েছে। অথচ হাশিয়াতুশ শিহাবে বলা হয়েছে, “যারা বলবে, গিয়ার অর্থ লম্বা টুপি, তারা গিয়ার শব্দের হাক্বীক্বত বুঝেনি।” এখন কোনটি গ্রহণযোগ্য? আবার কেউ কেউ এটাও বলে থাকে যে, শায়েখযাদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যামানায় হয়তো লম্বা টুপি কাফেরদের شِعَارٌ শেয়ার ছিল, কিন্তু আমাদের যুগেতো ব্যাপারটি তেমন রয়নি বরং এটি ব্যাপকভাবে মুসলমানরাই পরিধান করে থাকে, তাই সে যুগের সা বাকি অংশ পড়ুন...












