পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে-
ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরা সম্পর্কে (১৬)
, ০৪ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন-
قَالَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ اللهَ وَضَعَ بَيْتَ اللهِ وَفَرَضَ عَلَيْكُمُ الْـحَجَّ فَحُجُّوْا فَفْعَلُوْا مَا تُؤْمَرُوْنَ.
হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে মানুষেরা! জিন-ইনসান আপনারা জেনে রাখুন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে পবিত্র কা’বা শরীফ পুনঃর্নিমাণ করিয়েছেন এবং আপনাদের জন্য হজ্জকে ফরয করে দিয়েছেন। কাজেই আপনারা পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করুন। যা আদেশ করা হয়েছে সেটা আপনারা পালন করুন। এই ঘোষণাটা তিনি দিলেন। যেটা কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, তিনিতো ঘোষণা দিয়ে দিলেন, সেখানে কোন মানুষ-জন ছিলো না। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম, হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই আহ্বানটা, ডাকটা, আযান মুবারক সমস্ত কায়িনাতে ছড়িয়ে দিলেন, এমনকি আলমে আরওয়াহ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! যারা যেখানে ছিলেন সেখান থেকে যারা লাব্বাইক বলেছেন যে, আমরা উপস্থিত রয়েছি। তাদের সকলের নছীবে হজ্জ হবে। অর্থাৎ যারা এই ডাকে সাড়া দিয়েছেন সেটা যমীন থেকে হোক, আলমে আরওয়াহ থেকে হোক, যেখান থেকে যারা সাড়া দিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই পবিত্র হজ্জ নছীব হবে। সুবহানাল্লাহ! এখন এখানে যে বিষয়টা হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেছিলেন যে, বারে ইলাহী! এখানে যে আমি ডাকবো, আযান দিবো শুনবে কে? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, সেটা আমি পৌঁছিয়ে দিবো। এখন বান্দার দায়িত্ব হচ্ছে, যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নির্দেশ পালন করা। বাকিটা পূরা করে দিবেন যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি। যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلسَّعْيُ مِنَّا وَالْاِتْـمَامُ مِنَ اللهِ
চেষ্টা বান্দার তরফ থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা পূরা করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে আমরা দেখতে পাই, হযরত খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে নাহ্ওয়ান্দের একটা জিহাদ হয়েছিল, সেই জিহাদের মধ্যে মুসলমানরা কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতেছিলেন। জুমুয়ার দিন জুমুয়ার নামাযের সময় খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি খুতবার মধ্যেই হঠাৎ করে বললেন-
يَا سَارِيَةُ! اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ
‘ইয়া সারিয়াতু আল জাবাল, আল জাবাল, আল জাবাল’। কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই তিনি খুতবার মধ্যে বললেন। এখন যারা শ্রোতা উনারা সকলেই ফিকির করলেন ব্যাপারটা কি, এখানেতো কোন প্রসঙ্গ নেই, তিনি হঠাৎ খুতবার মধ্যে এ কথা কেন বললেন? উনার জালালিয়াত হোক, রোবের কারণে হোক কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। তবে উনাদের জানা ছিল যে, নাহ্ওয়ান্দের জিহাদ যে হচ্ছে সেখানে হযরত সারিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সেখানে সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন। কয়েকদিন পরে একজন সংবাদ বাহক আসলেন, এসে বললেন, হে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুসলিমীন হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে, সেটা কি? কয়েকদিন পূর্বে এক জুমুয়াতে আমরা যখন জিহাদে মশগুল ছিলাম, একটা পাহাড়ের মধ্যে আড়ালে আমরা ছিলাম কিন্তু পাহাড়ের অপর দিক থেকে শত্রু সৈন্য যারা ছিল তারা পাহাড়ে উঠার চেষ্টা করতেছিল। তারা যদি উঠতে পারতো তাহলে হয়ত আমাদের পক্ষে এই জিহাদে কামিয়াবী হাছিল করা অত্যন্ত কঠিন হতো। হঠাৎ দেখা গেল, আপনার আওয়াজ মুবারকের মতো একটা আওয়াজ মুবারকে বলা হচ্ছে, আমাদেরকে বলা হচ্ছে-
يَا سَارِيَةُ! اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ اَلْـجَبَلَ
হে সারিয়াতু! আল জাবাল আল জাবাল আল জাবাল। হে সারিয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! পাহাড় পাহাড় পাহাড়। যখন এ কথা শুনা হলো আমরা শুনলাম, আমরা তাড়াতাড়ি পাহাড়ে উঠে গেলাম, উঠে দেখতে পেলাম। শত্রু সৈন্যরা বিপরীত দিক থেকে উঠার কোশেশ করতেছে। আমরা তাদেরকে সহজেই পরাস্ত করলাম। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)