আমরা বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ থেকে জানতে পারলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরবর্তী একশ বছরের মধ্যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ইন্তেকাল করবেন। আর কেউ অবশিষ্ট থাকবেন না।
এখন তাহলে জানার ইচ্ছা হতে পারে, কোন সেই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি সর্বশেষে ইন্তেকাল করেছেন?
এলাকাভেদে বিভিন্ন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারক আসলেও সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে সর্বশেষ যিনি ইন্তেকাল করেছিলেন ত বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা কতটুকু পবিত্র সুন্নত মুবারকের উনার প্রতি মজবুত ছিলেন, দৃঢ় ছিলেন। হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া বলা হয় যে, হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ফক্বীহদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। উনার বুযুর্গী, উনার ফযীলত-ফাযায়েল সমস্ত ইমামগণ স্বীকার করে নিয়েছেন। হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
اَلْفُقَهَاءُ كُلُّهُمْ عِيَالُ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
অর্থ: সম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ-৮২)
অর্থাৎ খাছভাবে সমস্ত ইহুদী এবং মুশরিকরা মুসলমানদের সবচাইতে বড় শত্রু আর আমভাবে সকল কাফির-মুশরিক, বিধর্মীরাই মুসলমানদের শত্রু।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের বাকি অংশ পড়ুন...
কিছু মানুষ ভারতের ‘রতন আল হিন্দী’ নামক একজন ব্যক্তিকে সর্বশেষ ছাহাবী হিসাবে প্রচার করছে। রতন আল হিন্দীর মৃত্যু সন হচ্ছে ১২৩৪ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ হিজরী অনুযায়ী ৭ম হিজরী শতাব্দীতে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সাতশ বছর পরবর্তী সময় পর্যন্ত হায়াত প্রাপ্ত ব্যক্তি, সে হিসাবে তাকে বলা হচ্ছে সর্বশেষ ছাহাবী।
বিষয়টার আলোচনা একদম নতুন না। এটা নিয়ে পূর্ববর্তী সময়েও কিতাব লেখা হয়েছে, খন্ডন করা হয়েছে, দাবিটি যে মিথ্যা তা আক্বলী ও নকলী দলীল দ্বারা প্রমাণ করা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফের অন্য এক আয়াত শরীফে বলেছেন-
اَلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا
অর্থাৎ আমি আজকে তোমাদের জন্য দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম, নিয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম। আর এই দ্বীনের উপরে আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ!
বলা হয়, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সময় কিছু ইহুদী সম্প্রদায়ের লোক এসে বললো, হে হযরত খলীফাতুল মুসলিমীন আলাইহিস সালাম! আপনাদের পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এমন একখানা আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে, আমাদের ইহুদীদের মধ্যে যদি বাকি অংশ পড়ুন...
“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: “গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। ” (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণরূপে দাখিল হও। তোমরা কখনও শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সুবহানাল্লাহ! (সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ২০৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: “(ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ, ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার কালাম পাক উনার মধ্যে এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, যিকরুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র যিকির উনার বহু গুরুত্ব ও ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন, পবিত্র যিকির উনার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاذْكُرُوْنِـىْ اَذْكُرْكُمْ
অর্থাৎ “তোমরা আমার যিকির কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করবো। (সূরা বাক্বারা শরীফ: আয়াত শরীফ ১৫২)
এ আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى. إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী মুবারক ছাড়া কোন কথা বলেন না।
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর প বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামের দৃষ্টিতে ও ইসলামের নামে ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় সে প্রসঙ্গে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهِ لاَ نُوَلِّى عَلٰى هٰذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهٗ وَلاَ أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ
অর্থ: “এই কাজে (শাসক পদে) যারা পদপ্রার্থী হয় বা পদের আকাঙ্খা করে আমরা তাদের পদ দেই না। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
যেখানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্বাচন পদ্ধতি শুধু অপছন্দই করেননি সাথে সাথে নিষেধও করেছেন। তাহলে নির বাকি অংশ পড়ুন...












