পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে -৫
, ২১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রসঙ্গ: গইরুল্লাহর মুহতাজ হওয়া হারাম।
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান। সবকিছুই উনার করায়ত্তে। তিনি কারো মুহতাজ নন। বরং কুল-কায়িনাতের সবাই হচ্ছে উনার মুহতাজ। তাই সকল মাখলূক্বাতের জন্য বিশেষ করে জিন-ইনসানের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুহতাজ হওয়া। তিনি ছাড়া অন্য কারো মুহতাজ না হওয়া। কেননা গইরুল্লাহর মুহতাজ হওয়া হারাম। যেমন খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِي وَلِأُتِمَّ نِعْمَتِي عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ
অর্থ: “তোমরা তাদেরকে (কাফির-মুশরিকদেরকে) ভয় করো না, আমাকেই ভয় করো। যাতে আমি তোমাদের জন্য আমার নিয়ামতরাজিকে পরিপূর্ণ করে দেই এবং তাতে তোমরা অবশ্যই হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫০)
কাজেই সকল জিন-ইনসান মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- গইরুল্লাহ (মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য সবকিছু)কে বাদ দিয়ে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল বা নির্ভর করা। গইরুল্লাহর মুহতাজ না হওয়া। আর এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
انى لاعلم اية لو اخذ الناس بها لكفتهم وَمَن يَتَّقِ اللَّـهَ يَجْعَل لَّه مَخْرَجًا. وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
অর্থ: ‘পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এমন একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ আমি জানি, যদি লোকেরা সেই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার উপর আমল করতো, তাহলে তাদের জন্য ইহাই যথেষ্ট হতো। ’ আর সেই পবিত্র আয়াত শরীফখানা হচ্ছেন-
وَمَن يَتَّقِ اللّـهَ يَجْعَل لَّه مَخْرَجًا. وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ. وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّـهِ فَهُوَ حَسْبُه
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে তিনি তার জন্য কল্যাণের সমস্ত রাস্তা খুলে দেন। আর এমন স্থান হতে তাকে রিযিক দান করেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। ’ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করেন, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। ” (আহমাদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারেমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَعَلَى اللَّـهِ فَتَوَكَّلُوا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করা মু’মিনগণের জন্য ফরয-ওয়াজিব। ” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার উপর তাওয়াক্কুলকারীগণকে মুহব্বত করেন। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইহাও ইরশাদ মুবারক করেন যে-
اَلَيْسَ اللّـهُ بِكَافٍ عَبْدَه
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি কি উনার বান্দা-বান্দীর জন্য যথেষ্ট নন?” (পবিত্র সূরা যুমার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দা-বান্দীগণের জন্য যথেষ্ট।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করেন, তিনি তার সমস্ত কাজ নিজ দায়িত্বে সুসম্পন্ন করে দেন এবং সব বিষয়ে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হন। আর এমন স্থান হতে তাকে রিযিক সরবরাহ করেন যা কোনো সময় তার কল্পনায়ও আসেনি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দুনিয়া বা দুনিয়াবী কোনো বিষয় বস্তুর প্রতি মনোনিবেশ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দুনিয়ার সাথে ছেড়ে দেন। ” (কিমিয়ায়ে সায়াদাত-৪/৩৪৫)
-মুহম্মদ নাজমুল হুদা ফরাজী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)