ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (১৬)
, ২০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আরজি করলেন, বারে ইলাহী! এখনতো যাদের পাওয়া গেছে প্রকাশ্যে, তাদেরকে তো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু জিন পালিয়ে গেছে ঝোপে-ঝাড়ে, জঙ্গলে, পাহাড়ে-পর্বতে, নদী-নালা, পানির তলে, সমুদ্রের মধ্যে। এখন তাদেরকেও কি মহান আল্লাহ পাক খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যা করতে হবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যাদেরকে পাওয়া গেছে ,তাদেরকে হত্যা করা হয়ে গেলে আপনাদের কাজ সমাধা হয়ে গেছে। যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকে ছেড়ে দিন। যে সমস্ত জিন পালিয়ে গেলো তারা ছাড়া পেয়ে গেলো। এখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারকে কাজ সমাধা হয়েছে, চলে যাবেন। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যখন চলে যাবেন তখন দেখতে পেলেন, একটা বাচ্চা শিশু জিন কাঁদতেছিলো।
একটা বাচ্চা শিশু জিন যমীনের মধ্যে সে কাঁদতেছিলো। দেখে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটু মুহব্বত হলো। দেখতে জিন শিশুটা খারাপ ছিলো না, তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আরজি করলেন, আয় বারে ইলাহী! এই জ্বিন শিশুটা কাঁদতেছে, তার তো প্রকাশ্যে কোন অপরাধ নেই। আপনি যদি বলেন বারে ইলাহী! আমরা এই বাচ্চা শিশু জিনটাকে নিয়ে আসতে পারি। এমনও হতে পারে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ছোহবতে থেকে সে ভালো হয়ে যেতে পারে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সব জানেন-
عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
অন্তরের অন্তঃস্থলের খবর তিনি রাখেন।
عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ
দৃশ্য, অদৃশ্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সব জানেন।
তারপরও যখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আরজি করলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে, তোমরা নিতে পারো, দেখো তোমাদের ছোহবতে রেখে সে কতটুকু ভালো হয়।
হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নিয়ে গেলেন আসমানে। তা’লীম দেয়া হলো। যেহেতু সে জিন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, তার আক্বল, বুদ্ধি, সমঝ আলাদা ছিলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
আমি জিন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত-বন্দিগীর জন্য।
অর্থাৎ لِيَعْرِفُوْنِ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিলের জন্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুদের ভয়াবহতা
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম এবং উনার নূর মুবারকই সর্বপ্রথম সৃষ্টি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফের মতই পবিত্র হাদীছ শরীফ সমগুরুত্ব সম্পন্ন (২)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৪)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গোল্ডেন রাইস (১)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)