পবিত্র সূরা তাওবাহ শরীফ উনার ৩৬ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থসমূহে বিশেষ করে ‘আহকামুল কুরআন লিল জাছছাছ হানাফী মাতুরীদী’ নামক তাফসীরে লিখিত আছে, “পবিত্র হারাম মাসগুলোর এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে, এতে ইবাদত-বন্দিগী করা হলে বাকি মাসগুলোতেও ইবাদত-বন্দিগী করার তাওফিক ও সাহস লাভ হয়। অনুরূপ কেউ এ মাসগুলোতে পাপ কার্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে বছরের বাকি মাসগুলোতেও পাপাচার থেকে দূরে থাকা সহজসাধ্য হয়। সুতরাং এ সুযোগের সদ্ব্যবহার থেকে বিরত থাকা অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। ”
পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম জামালুদ্দীন আবুল ফারজ আব্দুর রহমান ইবনে আবুল হাসান বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি হিসেবে মশহূর। উনার লিখিত একখানা কিতাব যার নাম ‘বুস্তানুল ওয়ায়েজীন ওয়া রিয়াদ্বুস সামি‘য়ীন’। তিনি এই কিতাবের একটি অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন,مَجْلِسُ فِيْ فَضْلِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ وَمَا جَاءَ فِيْهِ অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফ উনার ফযীলত এবং এ বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত রয়েছেন সেই বিষয়ে মজলিস।
উক্ত কিতাবে হযরত ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো উল্লেখ করেন-
বর্ণিত রয়েছেন, নিশ্চয়ই হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিন বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إذَا رَأَيْتُمُ الَّذِيْنَ يَسُبُّوْنَ أصْحَابِىْ فَقُوْلُوْا لَعْنَةُ اللهِ عَلَى شَرِّكُمْ.
অর্থ: “যখন তোমরা কাউকে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিতে দেখবে, তখন তোমরা বলো, এ নিকৃষ্ট কাজের জন্য তোমাদের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষিত হোক। ” (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِناهُ الكَلاَمُ، وَاليَدُ زِنَاهَا البَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الخُطَا، والقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الفَرْجُ أَوْ يُكَذِّبُهُ
অর্থ: হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্ বাকি অংশ পড়ুন...
সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিছের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাতের ব্যাপারে মালউন ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। মালউন ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নাকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেস্ক” থেকে প্রমাণ করবো মালউন ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে হযরত ইমামুছ ছা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম জামালুদ্দীন আবুল ফারজ আব্দুর রহমান ইবনে আবুল হাসান বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি হিসেবে মশহূর। উনার লিখিত একখানা কিতাব যার নাম ‘বুস্তানুল ওয়ায়েজীন ওয়া রিয়াদ্বুস সামি‘য়ীন’। তিনি এই কিতাবের একটি অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন,مَجْلِسُ فِيْ فَضْلِ يَوْمِ عَاشُورَاءَ وَمَا جَاءَ فِيْهِ অর্থাৎ পবিত্র আশূরা শরীফ উনার ফযীলত এবং এ বিষয়ে যা কিছু বর্ণিত রয়েছেন সেই বিষয়ে মজলিস। উক্ত অধ্যায়ে তিনি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার আমলের ব্যাপারে একখানা হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ উনার রোযাই ফরয ছিল। কাজেই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযার পরই হচ্ছে এ রোযার স্থান। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফরয রোযার পর উত্তম রোযা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার মাস পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার রোযা। ” (মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশক বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর আমল করা খুব সোজা, আবার খুব কঠিন। যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি কারো উপর রহমত করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া করেন কারো প্রতি, তাওফীক কাউকে দান করেন, তাহলে তার জন্য খুব সোজা। আর না হলে খুব কঠিন।
কারণ মুসলমান শব্দের অর্থ কি?
كردان نهادن بطاعت
“আনুগত্যতার সাথে আত্মসমর্পণ করা। ” চু-চেরা, কিল ও কাল করতে পারবে না। একটা পুলিশ যখন চোরকে পাকড়াও করে, চোর কিন্তু মনে মনে সুযোগ খুঁজে, কি করে পালানো যায়। কিন্তু একজন মুসলমান যখন গরমের দিনে রোযা রাখে, তাকে যদি পানিতে নামিয়ে দেয়াও হয় গোসল করতে, পুকুরে- বাকি অংশ পড়ুন...
হিজরী ৬১ সন, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ দশ তারিখ রাত্রি বেলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত সফর সঙ্গী উনাদের সবাইকে একত্রিত করলেন এবং বললেন, আমার প্রিয় সাথীরা! আমি আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে সন্তুষ্ট। আমি আপনাদেরকে অনুমতি মুবারক দিচ্ছি যে, আজ রাতে আপনারা যে যেদিকে পারেন চলে যান। এসব ইয়াযীদ লা’নতুল্লাহি আলাইহি বাহিনীর লোকেরা আমার পবিত্র রক্ত পিপাসু। এরা একমাত্র আমার পবিত্র রক্তেই পরিতৃপ্ত হবে। আপনারা চলে য বাকি অংশ পড়ুন...
لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِىْ فَلَوْ أَنَّ اَحَدَكُمْ أَنْفَقَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهُ
অর্থ : “তোমরা আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিও না। কেননা যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে, তবুও ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম দান করার ফযীলতের সমপরিমাণ ফযীলতও অর্জন করতে পারবে না। ” (বুখারী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...












