৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি এক বছরেও।
নদী রক্ষা কমিশন কী তবে নদীখেকোদের রক্ষা কমিশনে পরিণত হয়েছে? অবিলম্বে নদী সমীক্ষা প্রকল্পের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হোক।
, ২৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১২ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
নদীদূষণ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং অন্যান্য দূষণ থেকে ৪৮ নদী রক্ষা ও তথ্যভা-ার তৈরি ও সমীক্ষা (প্রথম পর্ব)’ শীর্ষক তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প হাতে নেয় এনআরসিসি। ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্প শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। যেখানে নদী দখলদার হিসেবে অনেক প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। তুলে ধরা হয় ৩৭ হাজার ৩৯৬ নদ-নদী দখলদারের তথ্যও। তবে তথ্যগত ভুলের কারণ দেখিয়ে ওই তালিকা নিজেদের সার্ভার থেকে সরিয়ে ফেলে এনআরসিসি। এমনকি সংস্থাটি বৈঠক করে সমীক্ষা প্রতিবেদনটি ওই সময় প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে এনআরসিসির পক্ষ থেকে গত বছরের জানুয়ারিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানানো হয়, তথ্যগত ভুল থাকায় আরো যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। সেই ঘোষণার এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা আজও প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনটি আদৌ প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ প্রকল্পসংশ্লিষ্টরাই।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় ৩৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় সমীক্ষা চালিয়ে নদী দখলকারী প্রায় ৩৮ হাজার ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ওই প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে দখলদারদের নাম বাদ দিয়েছে সংস্থাটি।
আইনী জটিলতার ছুঁতো দেখিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কমিশনের সদস্য, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও নদী রক্ষা আন্দোলনে সম্পৃক্তরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও কমিশন চেয়ারম্যানের দাবি, এ সিদ্ধান্তে আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, এককভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেই। তার সিদ্ধান্তের কারণে নদী রক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হবে, দখলদারেরা উৎসাহিত হবে।
প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৮টি নদীতে সমীক্ষা চালিয়ে ৩৭ হাজার ৩৯৬ দখলদারের তালিকা করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর নদী রক্ষা কমিশনের ৩২তম সভায় সংস্থার চেয়ারম্যান প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে দখলদারদের নাম, তথ্য ও সংখ্যা বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শুধু চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকেই নয়; কমিশনের ডেটাবেইজ ও ওয়েবসাইট থেকেও দখল এবং দখলদারদের সব তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেয় সে। ওই নির্দেশ অনুযায়ী এরই মধ্যে সব তথ্য মুছেও ফেলা হয়েছে। চেয়ারম্যানের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সভায় উপস্থিত কমিশনের কর্মকর্তা, নদী বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্প পরিচালনাকারীরা।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, চেয়ারম্যানের এমন সিদ্ধান্তের মানে হলো দখলদারদের সুযোগ এবং বৈধতা দেয়া। এটি একটি বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। নদী রক্ষা কমিশন তৈরি হয়েছিল নদীকে রক্ষা করার জন্য, নদীকে বিক্রি করে দেয়ার জন্য না।’
বস্তুত আমাদের দেশে কোনো স্পর্শকাতর প্রকল্পের প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ না করার প্রবণতা রয়েছে। এনআরসিসির প্রতিবেদনেও এমনটি হয়েছে বলে ধারণা হওয়াটা অমূলক নয়। এজন্য স্বচ্ছতার স্বার্থেই কর্তৃপক্ষের উচিত প্রতিবেদনটি যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে বিলম্ব প্রকল্পের উদ্দেশ্যকেই ব্যাহত করবে। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি বলে যে দৃঢ়তা ব্যক্ত করেছে আমরা তাতে আশ্বাস রাখতে চাই। কিন্তু এজন্য প্রতিবেদনের মাধ্যমেই বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা প্রয়োজন। না হলে এক্ষেত্রে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটবে না। বিশেষ করে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পে নদী দখলকারী প্রায় ৩৭ হাজার ৩৯৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেও তা সার্ভার থেকে বাদ দেয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত অভিযোগ হিসেবেই থেকে যাবে। এদিকে এক বছর হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেদনটি আদৌ প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে খোদ প্রকল্পসংশ্লিষ্টরাই শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্বের কারণে নদী রক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হবে, দখলদাররা আরো উৎসাহ পাবে। এতে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠনের সার্থকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো নদীকে কেন্দ্র করে যেভাবে উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছে, আমাদের দেশে ঠিক ততটাই নদীকে অবহেলা করা হয়। এজন্য প্রভাবশালী দখলদারদের রক্ষার স্বার্থে প্রকৃত তথ্য আড়াল করার অভিযোগও পাওয়া যায়। অথচ নদী রক্ষা করার জন্য এনআরসিসি আরো শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে, এটিই কাম্য ছিল। এমনকি নদী রক্ষা কমিশন সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদনের কোথায় ভুল ছিল সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলেনি, যা স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের উদ্ভব করেছে।
তবে সব যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে-এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন এখন জরুরি। কারণ নদীসংক্রান্ত সব তথ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। না হলে নদীগুলো একসময় হারিয়ে যাবে। দখলদারদের কাছে মৃত্যুবরণই নদীর পরিণতি হবে, যা প্রকৃতিপ্রেমী কোনো মানুষই প্রত্যাশা করে না। এক্ষেত্রে যদি নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যানও অপরাধী হন, তাহলে তাকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কারণ নদী রক্ষার স্বার্থে কোনো অবহেলা করা যাবে না।
নদী বিশেষজ্ঞরা ৪৮ নদ-নদী সমীক্ষা প্রকল্পের কাজের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল বলে দাবি করছে। তাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে অভিযোগ করছে, মূলত দখলদারদের বাঁচাতেই তালিকা প্রকাশে বিলম্ব করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নদী রক্ষা কমিশন এর আগেও দুবার সারা দেশের নদীদখলদারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রায় ৬৫ হাজার দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছিল। অথচ ঢাকার নদীগুলোর দখলদারের সংখ্যাও এরচেয়ে বেশি। অর্থাৎ কমিশনের তালিকায় দখলদারদের পুরো তথ্য এমনিতেই আসছে না। এবার ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের তালিকাও প্রকাশ হচ্ছে না। অর্থাৎ তারা নদীর পক্ষে কাজ করছে না, যা উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে। তাই কমিশনের উচিত দখলদারদের নাম ও তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা এবং তাদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)