মন্তব্য কলাম
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
, ১০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
১৯৪৪ সালে ৪৪টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে একটি চুক্তি করে। সিদ্ধান্ত হয়, এসব দেশের মুদ্রার বিনিময়মূল্য মার্কিন ডলারের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। আর ডলারের মূল্য নির্ধারিত হবে স্বর্ণমানের ভিত্তিতে। ১৯৪৭ সালে বিশ্বের মোট মজুত স্বর্ণের ৭০ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। স্বর্ণের মজুত এবং ডলারের স্থিতিশীল মূল্যের কারণে সেসব দেশ রিজার্ভ কারেন্সি (মুদ্রা) হিসেবে ডলার রাখতে একমত হয়। মূলত ডলারের আধিপত্য তখন থেকে শুরু।
এই ব্রেটন উডস চুক্তির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। ঐতিহ্যগতভাবে আইএমএফের প্রধান নির্বাচিত হয় ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আর বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাচিত হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে পশ্চিম ইউরোপের দেশের এবং জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। তারা ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সোনা কিনতে থাকে। এতে কমতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সোনার মজুত।
আবার ভিয়েতনাম যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে ওয়াশিংটন বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ছাপায়। ফলে ডলারের সঙ্গে সোনার সংযোগ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আরেক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ১৯৭১ সাল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ঘোষণা দেয়, স্বর্ণমানের ভিত্তিতে ডলারের মূল্য আর নির্ধারিত হবে না, বিশ্ব অর্থনীতিতে যা ‘নিক্সন শক’ নামে পরিচিত। তবে এরপর ডলারের গুরুত্ব কিন্তু কমেনি।
বিশ্বজুড়ে ডলারের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে কালো চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, সৌদি আরব থেকে জ্বালানি তেল কিনলে যেকোনো দেশকে মার্কিন ডলারে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
বিনিময়ে সৌদি আরবকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। দুই বছর পর ১৯৭৫ সালে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক সৌদি আরবের মতোই সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে দিনে দিনে বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্য বাড়তে থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক দেশই ডলারের স্থলে স্থানীয় অথবা অন্য কোনো দেশের মুদ্রা ব্যবহারে আগ্রহী। আমেরিকা ডলারকে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থ হাসিলের জন্যও ব্যবহার করছে যা এখন সব দেশের কাছেই স্পষ্ট। আমেরিকার এই আধিপত্যকামী নীতি ডলারের প্রতি বিভিন্ন দেশের আগ্রহকে কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছে আমেরিকা, আর এই পদক্ষেপও ডলার বাদ দেওয়ার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের কবল থেকে মুক্ত হতে ইতোমধ্যে নানা অর্থনৈতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করা যায়। মোলদোভা ও কিউবা এরইমধ্যে এই সংস্থার পর্যবেক্ষক সদস্য হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওপর পাশ্চাত্যের একচ্ছত্র আধিপত্য মোকাবেলা করার লক্ষ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যেসব অর্থনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়েছে এটি তার অন্যতম।
এছাড়া আরও দু'টি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হলো সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও ব্রিকস। বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের প্রভাব খর্ব করার লক্ষ্যে বর্তমানে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করছে ব্রিকস। বর্তমানে রাশিয়া এবং চীন তাদের বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রায় ৭০ শতাংশই সম্পন্ন করছে নিজেদের মুদ্রার মাধ্যমে। লাতিন আমেরিকায় ব্রাজিল এবং আফ্রিকা মহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ডলারের বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনের পক্ষে। এসব দেশও ডলার মুক্ত বাণিজ্যিক লেনদেন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে রাশিয়া ও ইরান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারকে বাদ দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে ডলার রিজার্ভ রাখার প্রবণতা কমছে। ২০০৩ সালে এটি ছিল ৬৬ শতাংশ, আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে ৫৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা বলেছে, ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর তৎপরতা আগের চেয়ে বেড়েছে। কারণ বিভিন্ন দেশ মার্কিন ডলারের উপর তাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতার ইতি টানতে চায়। বিভিন্ন দেশের ওপর আর্থিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন নীতি এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। আমেরিকার ব্যাংকিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে, ডলারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরিণতি ভালো হবে না। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্র বলেছে, ডলারকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ধরে নিয়ে এর ওপর ইউরোপের নির্ভরশীল থাকা উচিত হবে না এবং কৌশলগত স্বাধীনতা না থাকলে ইউরোপ ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
রুশ বার্তা সংস্থা স্পুতনিক জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ৯২ শতাংশ বেড়েছে এবং এসব লেনদেনে রুশ মুদ্রা রুবল ও চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহৃত হচ্ছে। বাণিজ্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে দুই দেশের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এই বিষয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি টি ওয়ান বলেছে, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সূচকগুলোর একটি হচ্ছে জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার। জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে চীন অনেক বেশি অগ্রগামী এবং চীন একশ'রও বেশি দেশের সঙ্গে জাতীয় মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়ে চুক্তি করেছে।
আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক নিল র্ফাগুসন বলেছে, আমেরিকা বিশ্বে নিজের কর্তৃত্ব হারাতে বসেছে যেমনিভাবে এক সময় স্পেন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড তাদের আধিপত্য হারিয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখতে ডলারকে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। ডলারকে ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বহু দেশকে কাবু করছে ওয়াশিংটন। এতে অনেক দেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। তবে ডলারের আধিপত্য রুখে দেওয়ার জন্য চীন, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ইরান, ভারতসহ অনেক দেশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
ডলারের মুখ্য ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অতিরিক্ত বিশেষাধিকার। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে সহজেই তার বাণিজ্য এবং বাজেট ঘাটতির অর্থায়ন করার সুযোগ করে দেয়। দেশটি তাই কখনও লেনদেনের ভারসাম্য সংকটে পড়ে না। কারণ তারা নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি এবং পরিষেবা বিল পরিশোধ করে থাকে। তারা আর্থিক প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে ডলারের দামকে প্রভাবিত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অর্থমন্ত্রী জন কনালি ১৯৭১ সালে বলেছিল- ডলার হলো ‘আমাদের মুদ্রা, কিন্তু আপনার সমস্যা। ’
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তি, সংস্থা, সরকার বা সমগ্র দেশকে দেওয়া হয়। যেমন ইরান, কিউবা ও সুদানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য বিএনপি পারিবাস নামের একটি ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়েছে এবং এক বছরের জন্য ব্যাংকটির ডলার ক্লিয়ারিং স্থগিত করা হয়েছে। এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক অনুরূপ বড় জরিমানা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এবং এক্সচেঞ্জগুলো রাশিয়ার কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
১৯৯৯ সালে সারা বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ ছিল মার্কিন ডলারে, ২০২১ সালে যা নেমে এসেছে ৫৯ শতাংশে। ২১ শতাংশের মতো বৈশ্বিক রিজার্ভ রয়েছে ইউরোতে। ডলারের প্রতিস্থাপনের জায়গায় অন্যান্য ট্র্যাডিশনাল রিজার্ভ মুদ্রা যেমন ইউরো, ইয়েন, পাউন্ড ইত্যাদির হার বাড়ছে না। দেশগুলো রিজার্ভে বৈচিত্র্য আনতে বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, চীনা রেনমিনবি ইত্যাদি মুদ্রার মজুদ। ডলারের এ প্রতিস্থাপনের এক-চতুর্থাংশ মাত্র হয়েছে রেনমিনবিতে, বাকিটুকু অন্য কয়েকটি মুদ্রায়!
কেন এসব ‘নন-ট্র্যাডিশনাল’ মুদ্রায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার হার বাড়ছে সে সম্পর্কে গবেষকরা বলছেন যে এ মুদ্রাগুলোর অন্তর্ভুক্তীকরণ রিজার্ভের বিনিয়োগে উচ্চতর রিটার্ন আনছে, ঝুঁকি হ্রাস করছে। এছাড়া নতুন ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) যেমন অটোমেটিক মার্কেট মেকিং, অটোমেটেড লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদির সুবিধা বিভিন্ন মুদ্রায় বাণিজ্যের মূল্য পরিশোধের খরচ হ্রাস ও সহজতর করেছে, যা গত দশকেও এতটা সহজলভ্য ছিল না।
ডলার প্রতিস্থাপন ছাড়াও নিজস্ব মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেন করে সংকট মেটাচ্ছে অনেক দেশ। ইতোমধ্যেই চীন এবং ব্রাজিল তাদের নিজস্ব মুদ্রায় ১৬ লাখ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক লেনদেন করেছে। ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রাশিয়ার সাথে একই পথে অগ্রসর হচ্ছে।
চীনের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সদস্যদের মধ্যে আছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং সাউথ আফ্রিকা। সৌদি আরব, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনাসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের পরিবর্তে কোনো স্বর্ণ-মানের মুদ্রা অথবা ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের চিন্তা করেছে এই জোট। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চিকিৎসকের ভুল নির্ধারণ এবং শাস্তি প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণই ব্যর্থ তন্ত্র-মন্ত্রের ভাবধারায় আইন প্রণয়ন যেমন সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ হয়নি তেমনি প্রয়োগও স্বচ্ছ হয় না কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই রোগী-চিকিৎসক সুসম্পর্ক এবং উত্তম চিকিৎসা সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে এখনও টিকে আছে জর্ডানে বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ নামে এই রেলপথ হেজাজ রেলওয়ে পূণর্জ্জীবিত করলে এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে এক সূতায় বাধা সম্ভব সম্ভব মুসলিম বিশ্বের নিজস্ব বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমরনীতি সমৃদ্ধ করে নতুন সোনালী অধ্যায়ের সূচনা ইনশাআল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)