সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া সবার জন্যই ফরয।
, ১২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান যে, তিনি তাদের জন্য একজন সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রেরণ করেছেন, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাদেরকে তাযকিয়া মুবারক (পরিশুদ্ধ) করবেন এবং কিতাব ও হিকমত মুবারক শিক্ষা দিবেন। যদিও তারা পূর্বে হিদায়েতপ্রাপ্ত ছিলোনা। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমস্ত কায়িনাতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি।” (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কাছে তোমাদের জন্য একজন সম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাশরীফ মুবারক এনেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট উনার কাছে বেদনাদায়ক, তিনি তোমাদের ভালাই চান। তিনি মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, সীমাহীন দয়ালু।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা তওবা শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১২৮)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি ওই মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে বা দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হও তখন তুমি আমার নিকট দোয়া করলে আমি তোমার দুঃখ-দূর্দশা দূর করে দেই, যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, তখন তুমি আমার নিকট দোয়া করলে আমি তোমার ক্ষেতে ফসল ফলিয়ে দেই, যখন তুমি কোন জনমানব শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী বা পানিতে) নির্জন প্রান্তরে, নির্জন মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন তুমি আমার নিকট দোয়া করলে আমি তোমার বাহন ফিরিয়ে দেই, বাহনের ব্যবস্থা করে দেই।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ মুসলমানরা তাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক, দয়া-ইহসান মুবারক সম্পর্কে বিন্দু থেকে বিন্দুতমও অবগত নয়। উনার সম্পর্কে ইলিম অর্জনে নিবেদিত নয় এবং উনার এতটুকু অনুসরণ অনুকরণে বিন্দু মাত্রও স্বপ্রণোদিত নয়। অথচ উনিই রিযিক বন্টনকারী যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে “মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন- দাতা আর আমি হচ্ছি বন্টনকারী। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উল্লেখ্য, সকল হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া মুবারক করেছেন যে, উনাদেরকে হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম না বানিয়ে আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমান মুসলমানরা বিনা কষ্টে এই সুমহান নিয়ামত মুবারক পাওয়ার পরও তার শুকরিয়া মুবারক তো করছেইনা এমনকি উপলব্ধিও করতে পারছেনা। নাউযুবিল্লাহ!
বলাবাহুল্য, এসব কারণে মুসলমানরা দুনিয়াতেও রিযিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানসিকভাবে বিকৃত হচ্ছে। যাপিত জীবনে বিধ্বস্ত হচ্ছে। সমাজে লাঞ্চিত হচ্ছে। আমলে গুমরাহ হচ্ছে। পরকালে নিকৃষ্ট আবাসস্থল জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
তবে কোনো কোনো মুসলমান এ বিষয়গুলো কিছুটা উপলব্ধি করলেও তার পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে পারছে না। প্রতিবাদ জানাতে পারছে না। প্রতিহত করার প্রেরণা, চেতনা কোনোটাই পাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মুসলমান কোন গণতান্ত্রিক দেশে তার দ্বীনী অধিকার ও চেতনা এবং পৃষ্ঠপোষকতা পেতে পারে না। ধর্মনিরপেক্ষতাকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিকে নিছক ধর্মহীনতা ছাড়া কিছুই বলা যায়না। গণতান্ত্রিক দেশে সংস্কৃতির নামে সব সময় চলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর কুঠারাঘাত। নাউযুবিল্লাহ! বেপর্দার নামে মুসলমানকে অবাধে দাইয়্যূছ বানিয়ে অকাতরে জাহান্নামী করা হয়। গণতান্ত্রিক মিডিয়ার প্রচারণায় অশ্লীলতায়, পরকীয়ায়, জ্বিনায় তথা তাবৎ পাপাচারে পঙ্কিলতায় মুসলমানদের ঈমান পর্যদুস্ত করা হয়। মুসলমান তখন মুসলমান থাকা তো দূরের কথা বরং বালহুম আদলে পরিণত হয়। নাউযুবিল্লাহ!
প্রতিভাত হচ্ছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সমাজের প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে করে সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কারণ সংবিধানের ১৭(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, “সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
সমাজ বিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অভিজ্ঞমহল, পর্যবেক্ষক, সুশীল সমাজ এবং ইসলামী চিন্তাবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কী করণীয় তাও রাষ্ট্রের সংবিধানেই বর্ণিত রয়েছে। সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের দ্বীন (ধর্ম) হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম।”
আর এই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা প্রসারে যদি রাষ্ট্র প্রয়োজনীয়, যথাযথ ও সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করতো তাহলে নাগরিকের মধ্যে সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ, চেতনা উজ্জীবিত থাকতো। দেশ থেকে অভাব, অরাজকতা, অনিয়ম, অসততা, অনিরাপত্তা ইত্যাদি নির্বাসিত হতো। সোনার বাংলা শুধু সম্পদ ও সমৃদ্ধিতেই নয় আদর্শ ও নৈতিকতায়ও সোনার মানুষে ভরপুর হয়ে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হতো। কিন্তু রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা থেকে দেশের নাগরিকদের বঞ্চিত করে, সরকার সংবিধানের ২(ক), ১৭(খ), ১৮(ক) ৩২ ইত্যাদি অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কাজ করছে।
উল্লেখ্য, সরকার তার দৃষ্টিতে তথাকথিত অপরাধ বাল্যবিবাহ হলেই শক্তভাবে পাকড়িয়ে ধরে। তাহলে নিজেই যে সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে এসবের বিচার করবে কে? অপরদিকে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ মতে জনগণই দেশের মালিক। কিন্তু জনগণ তার মালিকানা ভোগ করতে জানেনা, চায়না, বুঝেনা, পারেনা। মূলত সরকার ও জনগণ উভয়েই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে যখন তারা শান-মান জানবে। জওক, শওক সহকারে পালন করবে যথাযথ মূল্যায়ন করবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)