বজ্রঝড় কেন পূর্ব দিকেই ধাবিত হয়?
, ২৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
একটি কম শক্তিশালী বজ্রমেঘের গতিবেগ সাধারণত ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার হয়ে থাকে। মাঝারি আকারের বজ্রঝড়ের গড় গতিবেগ ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। যেটি আবার তীব্র বজ্রঝড়, তার গতিবেগ ৮০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও হয়ে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে ঢাকায় যে বজ্রঝড় হয়েছে, তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার।
আবহাওয়াবিদ ড. মল্লিক বলেন, “ধরা যাক, আগারগাঁও বরাবর বজ্রঝড় সৃষ্টি হলো। সে যাবে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে। সেক্ষেত্রে সে গুলশান, বনানীতে আঘাত হানতে পারে। কিন্তু সে তো মিরপুরের দিকে আঘাত হানবে না। তার আনুভূমিক যাত্রা যেদিকে, সেদিকেই ঝড় হয়। অন্যদিকে হয় না।”
“ত্রিমাত্রিক গঠনের বৈশিষ্ট্যের কারণে বজ্রঝড় বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হতে পারে না। বজ্রঝড়ের বৈশিষ্ট্যই এমন। এজন্য একে বলে হাইলি লোকালাইজড থান্ডারস্টর্ম।”
আগেই বলা হয়েছে যে, বজ্রঝড় সাধারণত পূর্ব দিকেই ধাবিত হয়। এর কারণ- “বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারতের অভ্যন্তরে যে পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হয়, সেটি বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়া মানে বায়ুচাপ কম থাকা।”
“বায়ুচাপ কম থাকলে চারদিক থেকে পানীয়বাষ্প সমৃদ্ধ বাতাস ওই লঘুচাপের দিকে ধাবিত হয়। তখন আরব সাগর থেকে ওই লঘুচাপের দিকে বাতাস আসে। আবার, বঙ্গোপসাগর থেকেও আসে। দুই সাগরের পানীয়বাষ্প যখন পশ্চিমবঙ্গে এসে সম্মিলিত হয়, তখন তা উপরের দিকে ধাবিত হয়। উপরের দিকে যাওয়ার পরে বাতাসে যে পানীয়বাষ্প থাকে, তা মেঘমালা তৈরি করে।”
এছাড়া, এসময় ঊর্ধ্ব আকাশে যে বাতাস প্রবাহিত হয়, তা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
“বজ্রঝড় তৈরি হওয়ার পর সে মেঘকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার জন্য ঠেলে। আবার ঊর্ধ্ব আকাশের বাতাসও পূর্ব দিকে যায়। তাহলে একটি বজ্রঝড় পশ্চিম থেকে পূর্বেই যাবে।”
মে মাস জুড়ে সবচেয়ে বেশী বজ্রপাত:
সেই রাতে বজ্রবৃষ্টির পর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। পুরো মে মাস জুড়েই এরকম বজ্রঝড় অপেক্ষা করছে।
আবহাওবিদরা জানান, বাংলাদেশে মে মাসে সাধারণত গড়ে ১৩ দিন বজ্রঝড় হয়। এখন পর্যন্ত এই মাসে সর্বোচ্চ ১৮ দিন পর্যন্ত বজ্রঝড় হওয়ার রেকর্ডও আছে।
তাই, এবছর মে মাসে গড়ে বজ্রঝড়ের সংখ্যা ১৩’র আশেপাশে থাকার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে একটু সতর্ক হলেই বজ্রঝড়ের সময় প্রাণের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতে চোখের যত্ন
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাকাশ হতে আসা সংকেতের রহস্য উন্মোচন করল বিজ্ঞানীরা
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
চাঁদের পাশে ভেনাসের দুর্লভ দৃশ্য
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইংরেজ ব্রিটিশ দস্যুদের অত্যাচারের সাক্ষী ডানলপের নীলকুঠি
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনালি অতীতের সাক্ষী চুনাখোলা মসজিদ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চুলে ‘মধু’ ব্যবহার করলে যে সব উপকার পাবেন
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার যত রেকর্ড
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শৈত্যপ্রবাহ কী? এটি কখন হয় ও কতদিন থাকে?
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে বছর ও সময়ের হিসাব কেমন?
০৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শীতে শরীর গরম রাখতে খেতে পারেন যেসব খাবার
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশগুলোর নাম ও সংখ্যা
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)