পবিত্র আদব রক্ষা করার গুরুত্ব (২) পবিত্র আদব উনার শ্রেণীবিভাগ
পবিত্র আদব সাধারণভাবে ৯ প্রকার-
, ১০ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এটি হচ্ছে পবিত্র তাওহীদ উনার সম্পর্কে। অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি হুসনে যন রাখা।
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قل هو الله احد. الله الصمد. لـم يلد ولـم يولد. ولـم يكن له كفوا احد.
অর্থ : “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এক। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বেনিয়াজ। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মও নেননি এবং উনার সমকক্ষও কেউ নেই।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১, ২, ৩, ৪)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
الله منزه عن جسم وعرض وجوهر وتصوير وتعديد وتبعيض وتـجزيى وتركيب وتناهى وتـحديد.
অর্থ : “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি শরীর, চওড়া বা প্রশস্ততা, পরিধি বা ব্যাস বা বস্তু, ছূরত বা আকার-আকৃতি, সংখ্যা, টুকরা, অংশ, সম্মিলিত রূপ, শেষ হওয়া, সীমা ইত্যাদি থেকে পবিত্র।” (আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা বা সৃষ্টি হিসেবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে খালিক্ব বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে যতটুকু সুধারণা পোষণ করা প্রয়োজন ততটুকু সুধারণা পোষণ করা এবং উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।
২. খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র আদব :
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وما مـحمد الا رسول
অর্থ : “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রসূল ব্যতীত অন্য কিছু নন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)
এ প্রসঙ্গে পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
مـحمد رسول الله صلى الله عليه وسلم نبيه وعبده ورسوله وصفيه ونقيه ولـميعبد الصنم ولـم يشرك بالله طرفة عين قط ولـم يرتكب صغيرة ولا كبيرة.
অর্থ : “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং উনার বান্দা ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার পক্ষ হতে মনোনীত ও পবিত্রতম। তিনি কখনো মূর্তিপূজা করেননি। চোখের পলকেও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কখনো শিরক করেননি এবং কবীরা ও ছগীরা গুনাহতে লিপ্ত হননি।” সুবহানাল্লাহ! (আল ফিক্বহুল আকবর শরীফ, আকাইদে নাসাফী শরীফ)
অর্থাৎ উম্মত হিসেবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে যেরূপ সুধারণা পোষণ করা প্রয়োজন ঠিক তদ্রƒপ সুধারণা পোষণ করা এবং উনার আদেশ-নিষেধ মুবারক উনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা এবং উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
৩. হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে পবিত্র আদব :
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وما كان لنبى ان يغل
অর্থ : “কোনো নবী আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে খিয়ানত করা সম্ভব নয়।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬১)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ما كان لبشر ان يؤتيه الله الكتب والـحكم والنبوة ثـم يقول للناس كونوا عبادا لى من دون الله
অর্থ : “কোনো নবী আলাইহিস সালাম উনার পক্ষে সম্ভব নয় যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে পবিত্র কিতাব, পবিত্র শরীয়ত ও পবিত্র নুবুওওয়াত দিবেন। অতঃপর তিনি মানুষদেরকে বলবেন, তোমরা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত আমার ইবাদত করো।” নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৯)
উনাদের সুমহান প্রসঙ্গে পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
الانبياء عليهم السلام كلهم منزهون عن الصغائر والكبائر والكفر والقبائح
অর্থ : “সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ছগীরা, কবীরা, কুফরী, শিরকী এমনকি অপছন্দনীয় কাজ থেকেও পবিত্র।” (আল ফিক্বহুল আকবর শরীফ)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা হিসেবে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যেরূপ সুধারণা পোষণ করা প্রয়োজন ঠিক তদ্রƒপ সুধারণা পোষণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এর খিলাফ আক্বীদা পোষণ করা যাবে না। (চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)