নগদ টাকার অভাবে হাজার কোটি টাকার আরেকটি বন্ড ছেড়েছে সরকার

সর্বশেষ খবর

নিষেধাজ্ঞা শেষে ঘাটে ইলিশ সংকট ‘নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ ক্ষয় হচ্ছে না, বরং এর আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে’ ‘পাঠ্যসূচিতে আরবী ভাষাশিক্ষা অতিরিক্ত নয়, বাধ্যতামূলক করতে হবে’ ‘নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার বক্তব্য অবৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত’ পদ্মায় এত পাঙাশ কখনো দেখেননি শরীয়তপুরের জেলেরা

নগদ টাকার অভাবে হাজার কোটি টাকার আরেকটি বন্ড ছেড়েছে সরকার

, ১৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নগদ টাকার অভাব রয়েছে, তাই বিদ্যুতের দেনা শোধে আরও ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছেড়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত সোমবার বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের অনুকূলে এ বন্ড ছেড়েছে। সামিট গ্রুপ ও কনফিডেন্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২০টি কোম্পানি ইবিএলের কাছে দেনা। অর্থ বিভাগের সঙ্গে গত চুক্তি হওয়ায় ইবিএল এখন এসব কোম্পানির কাছে আর কোনো টাকা চাইবে না। কারণ, এ দায়িত্ব এখন সরকার কাঁধে নিয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

টাকার অভাবে সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকি বাবদ বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে কোনো টাকা দিতে পারছিল না। দুই পণ্যে সরকার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা দেনা। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে আবার বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) অংশ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাকি টাকা সারের। তবে দেনা শোধে বিশেষ বন্ড ছাড়া হবে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো।

বন্ড ছাড়ার ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এর ফলে ব্যাংকের কাছে কোম্পানিগুলোর দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা করতে তাদের আর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, অন্য ব্যাংকের কাছে এগুলো বিক্রিও করতে পারবে। এ বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারবে। আর সরকারের জন্য সুবিধা হলো, নগদ টাকা আপাতত পরিশোধ করতে হবে না। অর্থাৎ দায় পরিশোধে সরকারও একটু সময় পেল।

ট্যাগসমূহঃ