দেশে প্রথম টাকার প্রচলন শুরু হয় যেদিন থেকে
, ১৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পাঁচ মিশালী
১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। তার ঠিক ৩ মাস পর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব ১ ও ১০০ টাকার ব্যাংক নোটের প্রচলন হয়। এটিই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক নোট।
স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা। বিশ্বের কয়েকটি দেশের মুদ্রার নাম একই ধরনের। তবে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকা নামটি স্বতন্ত্র। ৪ মার্চ ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত দুটি ব্যাংক নোট ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপানো হয়।
১ টাকার নকশায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কথাটি স্থান পায় এবং তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন সে সময়ের অর্থসচিব কে এ জামান। অন্যদিকে ১০০ টাকার নকশায় দেখা যায় বাংলাদেশের মানচিত্র ও বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং তাতে লেখা থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০০ টাকার ব্যাংক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর এ এন হামিদউল্লাহ্ স্বাক্ষরিত।
বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার শিল্পী কে জি মুস্তাফা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ স্মারকের নকশাকারও তিনি। ১, ১০০ টাকার পর ৫ টাকার নোটও চালু হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই বছর ২ মে চালু হয় ১০ টাকা মূল্যমানের নোট। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত ছিল। দেশে প্রথম ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই। ১ পয়সার এই মুদ্রা বিদেশ থেকে আনা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম কাগজি টাকা প্রচলন স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দ্রুততার সঙ্গে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু করা হয়। তবে ভারত থেকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নোট মুদ্রণের কারণে সেসময় নিরাপত্তা জলছাপসহ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা সম্ভব হয়নি।
জলছাপের অনুপস্থিতি ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের কারণে এই নোট চারটি সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ এগুলো বাতিল করা হয়। দ্বিতীয় সিরিজে নোট মুদ্রণ করা হয় যুক্তরাজ্য থেকে যার ডিজাইন এডভাইজারি কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, কে জি মুস্তফা, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও শিক্ষাবিদ নীলিমা ইব্রাহিম।
দ্বিতীয় সিরিজে এক টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৩ সালের ২ মার্চ, ৫ টাকা ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ১০ ও ১০০ টাকার নোট যথাক্রমে ওই বছরের ২ জুন ও ১ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা হয়। তবে বাংলা সিরিয়ালযুক্ত নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেসময় বাংলা সিরিয়ালযুক্ত ১০ টাকার নোট ছাপা হয়।
পরবর্তী সময়ে সুইজ্যারল্যান্ড, কোরিয়া, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও বাংলাদেশের নোট ছাপা হয়। আর দেশে প্রথমবারের মতো নোট ছাপা হয় ১৯৮৮ সালে টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর।
দুই টাকার নোট চালু হয় ২৯ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ ৫০ টাকার নোট চালু করা হয়। আর একই বছর ১৫ ডিসেম্বর বাজারে ছাড়া হয় ৫০০ টাকার নোট। ২০ টাকার নোট প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৯ সালের ২০ আগস্ট। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আসে এক হাজার টাকার নোট।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মঙ্গলে বিস্ময়কর ‘সবুজ দাগের’ সন্ধান!
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির গর্ভে বিজ্ঞানীদের নজর
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পরোক্ষ ধূমপান স্বাস্থ্যগত দিক থেকে যে সমস্ত মারাত্মক ক্ষতি করে?
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানদের বসবাস বা দ্বীন ইসলাম প্রচার নিষিদ্ধ করে রেখেছে যে সমস্ত বিধর্মী রাষ্ট্র
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
২০২২ সালে সৌরজগতের বাইরে মিলেছে ২০০ গ্রহের সন্ধান
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিম দেশ সিয়েরা লিওনে যেভাবে দ্বীন ইসলাম ও দ্বীনি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আবাসন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপিয়ানরা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হেঁটে যে রাস্তা আজও শেষ করতে পারেনি কেউ
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাওসে মুসলমানদের জীবনধারা
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কাতারের মরুভূমিতে খোদাই করা রহস্যময় শত শত চিহ্ন
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (২)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (১)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)