ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার উড়তে পারে যে মাছ (৩)
, ০৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পাঁচ মিশালী
জেলেদের উড়ন্ত মাছ ধরার পদ্ধতি একেক দেশে একেক রকম। তাও আবার নির্ভর করে মাছের আকার ও প্রজনন সময়ের উপর। পরিচিত ছোট প্রজাতির উড়ন্ত মাছকে সাধারণত প্রজননের সময় ছোট ফাঁসের জাল বা ছাঁকুনি জাল দিয়ে ধরা হয়। এই মাছদের প্রজননে আকৃষ্ট করার জন্য জেলেরা নির্দিষ্ট জায়গায় ভাসমান বস্তু ফেলে রাখে। অনেকে আবার বেশি মাছ আকৃষ্ট করার জন্য মাছের টুকরো ও তেল ভাসমান বস্তুর কাছে পানির উপর ঢেলে দেয়। অপেক্ষাকৃত বড় প্রজাতির উড়ন্ত মাছ প্রজননের সময় ছাড়া অন্য সময়ে বড়শির সাহায্যে বা আলাদাভাবে তৈরি ফাঁসি-জালে ধরা হয়। চার মিটার থেকে পনেরো মিটার নৌকা উড়ন্ত মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু উড়ন্ত মাছ উপকূল থেকে বেশি দূরে থাকে না, তাই মাছ ধরার নৌকাগুলো খুব সকালে মাছ ধরতে যায় ও মাছ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে ফিরে আসে। খরচে পোষায় না বলে মাছ ধরার নৌকাগুলো বরফ নিয়ে যায় না। ফলে নৌকাগুলো যখন মাছ ধরে ফিরে আসে, তখন মাছের অবস্থা বিনা বরফে খুব একটা ভালো থাকে না। তাই অনেক সময় খুব অল্প দামে মাছ বেচতে হয় জেলেদের। কখনো কখনো লবণ দিয়ে শুকিয়ে শুটকি মাছ করা হয় এগুলোকে।
এই উপমহাদেশে বছরে প্রায় চারশ’ টন উড়ন্ত মাছ ধরা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে আকারে ছোট উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী উড়ন্ত মাছ ভারত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ও শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘদিন থেকে ধরা হচ্ছে। জেলেরা এদের আকৃষ্ট করে এক জায়গায় জড়ো করে ও ছাকনি জাল দিয়ে ধরে ফেলে। এদের মধ্যে দুই প্রজাতির বড় উড়ন্ত মাছ রয়েছে। এগুলো হলো-সাটন উড়ন্ত মাছ ও স্পটেড উড়ন্ত মাছ। এগুলো বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে ফাঁসি জালে ধরা পড়ে। যদিও বঙ্গোপসাগরে উড়ন্ত মাছের উপস্থিতি খুবই কম। বছরে মাত্র মে থেকে জুলাই এই দু’মাস এদের দেখা মেলে। এসময়টা অবশ্য এই মাছের ডিম ছাড়ার সময়। এসময় মাছগুলো ডিম পাড়তে জড়ো হয় উপকূল অঞ্চলে। ক’দিন পরেই উড়ন্ত মাছ আবার সাগরের ভেতরে চলে যায়।
সুস্বাদু বলে বিভিন্ন দেশের মানুষ উড়ন্ত মাছ খুবই পছন্দ করে। নারকেলের দুধ দিয়ে উড়ন্ত মাছের সুরুয়া উপকূলবাসীর প্রিয় খাবার। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ টাটকা উড়ন্ত মাছ খায়। আর গরিব শ্রেণির মানুষ খায় শুকানো উড়ন্ত মাছ। ক্রেতারা যেন এই মাছকে পাখি বলে ভাবতে না পারে সেজন্য উড়ন্ত মাছের কানকোর কাছের পাখনা কেটে বাজারে বিক্রি করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে উড়ন্ত মাছের ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জাপান প্রতিবছর ইন্দোনেশিয়া থেকে উড়ন্ত মাছের ডিম আমদানি করে থাকে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্লুটোর সবচেয়ে বড় চাঁদ চারনের রহস্য নিয়ে যা জানাল গবেষণা
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তামাক পাতার জর্দা: জেনেশুনে বিষ করছেন পান?
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কোটি কোটি অশ্লীল ও কুরুচিকর ডিপফেক ছবি তৈরি করে যাচ্ছে যে সব দেশ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কোটি কোটি অশ্লীল ও কুরুচিকর ডিপফেক ছবি তৈরি করে যাচ্ছে যে সব দেশ
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতে চোখের যত্ন
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাকাশ হতে আসা সংকেতের রহস্য উন্মোচন করল বিজ্ঞানীরা
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
চাঁদের পাশে ভেনাসের দুর্লভ দৃশ্য
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইংরেজ ব্রিটিশ দস্যুদের অত্যাচারের সাক্ষী ডানলপের নীলকুঠি
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনালি অতীতের সাক্ষী চুনাখোলা মসজিদ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চুলে ‘মধু’ ব্যবহার করলে যে সব উপকার পাবেন
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ার যত রেকর্ড
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)