কুরবানীর হাটে হাসিল নামক খাজনা দিতে হবে কেন?
, ১৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ মে, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
অনেক আগে, বর্তমান সময়ের মত হাট এমন বাধ্যতামূলক ছিলো না। গরু-ছাগল নিয়ে ব্যাপারী আসতো, রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাড়াতো, গরু-ছাগল বিক্রি করতো। রাস্তার মোড়ে দাড়ালে কাউকে হাসিল দিতে হতো না।
কিন্তু সেখানে বাধ সাধলো ইসলামবিদ্বেষীরা। তারা রাজনৈতিক দলের লোকজনকে কুবুদ্ধি দিলো, “যেহেতু প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল বিক্রি হয়, তাই সব বিক্রি যদি হাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা যায়, আর সেই ইজারা যদি রাজনৈতিক লোকজন নেয়, তবে ৫% হাসিলের নামে তারা প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবে। ” আইন করা হলো- হাট ছাড়া অন্যত্র কোরবানীর গরু-ছাগল বিক্রি করা যাবে না, আর হাট থেকে পশু বিক্রির উপর আদায় করা হবে হাসিল। হাসিলের টাকা কিন্তু ছোটখাট কোন টাকা নয়, যদি কোরবানীতে সারা দেশে ৫০ হাজার কোটি টাকার গরু-ছাগল বিক্রি হয়, তবে ৫% হিসেবে হাসিল আদায় হয় ১ হাজার কোটি টাকা। এই পুরো টাকাটাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনের পকেটে যায়।
কিন্তু যখনই হাটগুলো বাধ্যতামূলক করা হলো, তখন শুরু হলো ইসলামবিদ্বেষীদের দ্বিতীয় শয়তানী বুদ্ধি। এবার তারা বুদ্ধি দিতে থাকলো, হাটের সংখ্যা যত কম হবে, ইজারা পাওয়া হাটে গরু বিক্রি তত বেশি হবে, ফলে হাসিলও তত বেশি হবে। তাদের কুবু্দ্িধতে, তখন শুরু হলো- হাটের সংখ্যা হ্রাস করার কাজ। একইসাথে ইসলামবিদ্বেষী শক্তিগুলো পরিবেশ দূষণ ও যানজটের কথা বলে, বলতে লাগলো- হাটগুলো যেন শহর থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। এতসব চাপে পরে সাধারণ মুসলমান ও খামারীরা নিষ্পেষিত হতে থাকলো। এখন কোরবানীতে হাটে গরু কেনাবেচা বাধ্যতামূলক, আবার হাটের সংখ্যাও কম, আবার হাটগুলো শহরে থেকে দূরে, ফলে গরু পরিবহন করে আনতে আরো অতিরিক্ত খরচ, আবার হাসিলও ৫% দাও। সব মিলিয়ে কুরবানীর ব্যয় ও কষ্ট দুটোই বৃদ্ধি। আর এতেই ইসলামবিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র সফল, অর্থাৎ তারা কুরবানীতে পশু কিনতে নানানভাবে বাধা দিতে পারছে।
আসলে, এই ৫% হাসিল দেয়াকে কেন্দ্র করেই সব সমস্যার সূচনা।
এখানে একটি প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই আসে, মুসলমানদের অন্যতম দ্বীনি উৎসব কোরবানীর ঈদ। কোরবানী করা একটি দ্বীনি আমল। সেই আমল করতে গিয়ে সরকারকে কেন রাজস্ব বা খাজনা নিতে হবে?
এই কয়েকটা টাকা সরকার কি ভর্তুকি দিতে পারে না ?
লক্ষ্য করে দেখুন, হিন্দুরা যে পূজার ম-প বানায়, তার জন্য কি সরকারকে খাজনা বা হাসিল দিতে হয়? কখনই নয়। বরং ম-প প্রতি সরকার চাল দেয়, বিদ্যুৎ বা জেনারেটর খরচসহ বিভিন্ন অনুদান দেয় হাজার হাজার ম-পের জন্য যদি হিন্দুদের কোন খাজনা দিতে না হয়, তবে মুসলমানদের কেন কোরবানীর হাটের জন্য খাজনা দিতে হবে?
-ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)