ঈদের খাবার কতটুকু খাবেন?
, ১৫ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ২০ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য
খাবারের পরিমাণ
সকল বয়সীদেরই খাবারের পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। অনেকেই একসঙ্গে বেশি তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। পর্যাপ্ত পানি পান না করায় অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এ ক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। দিনের মূল খাবার, অর্থাৎ দুপুর ও রাতে খাবার কোথায় খাবেন, ঠিক করে ফেলুন। পানি, শরবত, ফলের রস ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে গ্রহণ করুন। যাঁদের বয়স কম এবং শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তাঁরা নিজের পছন্দমতো সবই খেতে পারেন, শুধু অতিরিক্ত না হলেই হলো। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ, কিডনি বা লিভারের রোগ আছে কিংবা এসব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ আছে, তাদের জন্য বেশি পরিমানে খাবার গ্রহণ সমস্যার কারণ হতে পারে।
কারা বেশি সতর্ক থাকবেন
যাঁরা মাঝবয়সী বা বয়োবৃদ্ধ বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা আছে, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ, পেটের সমস্যা, কিডনি রোগ ইত্যাদি, তাঁদের খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি।
১। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা বরং টক খাবার বেশী প্রাধান্য দিতে পারেন। মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। মুরগি, খাসি বা গরুর গোশত পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
২। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি বা উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা আছে, তাঁদের অবশ্যই তেল-চর্বি এড়িয়ে চলবেন। ভাজাপোড়া খাবেন না, মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিমাণে বেশি খাওয়া যাবে না।
৩। কিডনি রোগীরা প্রোটিনজাতীয় খাদ্য, যেমন মাছ-গোশত অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দিনে দুই টুকরার বেশি নয়। কলিজা, মগজ, চিংড়ি খাবেন না।
৪। যাঁরা দুধ সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের দুধের তৈরি খাবার এড়াতে হবে। কাঁচা সালাদ খেলেও অনেকে সমস্যায় পড়েন।
করণীয়
১। অতিরিক্ত পেট ভরে খাবেন না। সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবার খাবেন। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পানি না খেয়ে একটু পরে খান। রাতে খাবারের পরপরই ঘুমাতে যাবেন না, দু-তিন ঘণ্টা পর ঘুমাবেন।
২। সালাদ, সবজি ইত্যাদি বেশি করে খাবেন। বিশেষ করে খাবারের শুরুতে সালাদ খেলে অন্য খাবারের জন্য জায়গা কমে যাবে। এ ছাড়া টক দই খেলে উপকার পাবেন।
৩। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ইসবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে প্রচুর পানি পান করবেন। দুপুর ও রাতে অবশ্যই সবজির একটি পদ রাখবেন।
৪। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঈদের সময় বেশি হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জন্মের ২য় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতে শিশুর বাড়তি যত্ন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসছে শীত, নিজের যত্ন নিবেন যেভাবে
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পাইলস কি এবং কাদের হয়
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
টুথপেস্ট-সাবানের জন্যও হতে পারে হাড়ক্ষয়
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাদ্যের কাজ ও উপাদান (২)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উচ্চ রক্তচাপ কেন নীরব ঘাতক
২৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লোহিত রক্তকণিকা বাড়ানোর উপায়
০৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা
২৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তীব্র গরমে শরীরের জন্য উপকারী যেসব ফল
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাবদাহে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস্ট্রিক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)