স্বাস্থ্যকথা:
উচ্চ রক্তচাপ কেন নীরব ঘাতক
, ১৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য
একসময় মনে করা হতো, কেবল বয়স্ক ব্যক্তিরা এতে আক্রান্ত হন। কিন্তু বর্তমানে অল্পবয়সীদেরও এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। তবে তুলনামূলকভাবে শহরের মানুষ উচ্চ রক্তচাপে বেশি ভোগেন।
উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। বরং রোগটি নিয়ে নানা রকম ভুল ধারণা রয়েছে। সচেতনতাও কম।
১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ এটি হচ্ছে একজনের রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা। বয়স কিংবা পরিবেশভেদে একটু এদিক-ওদিক হলেও মোটামুটি এটিই হচ্ছে আদর্শ মান। কিন্তু যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেড়ে যায়। সাধারণত টানা দুই দিন যদি কারও রক্তের চাপ ১৪০/৯০-এর বেশি থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তিনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
কারণ :
স্থূলতাকে এ রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে। যারা কায়িক পরিশ্রমহীন ও অলস জীবন যাপন করেন, তারা এতে আক্রান্ত হতে পারেন। ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণেও উচ্চ রক্তচাপ হয়। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন কিংবা হরমোনজনিত রোগ আছে যাদের, তারাও ঝুঁকিতে আছেন।
কীভাবে বুঝবেন :
মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা বা বুকের ব্যথাকে আমরা অনেক সময় এড়িয়ে যাই। বমিভাব বা বমি হলে গ্যাসের ব্যথা মনে করে গুরুত্ব দেই না। রাতে ঘুম না হলে, অস্থির লাগলে বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেলে গুরুত্ব দেই না। অথচ এসবই হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ। এ রকম হলে রক্তের চাপ মেপে দেখুন। সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
জটিলতা :
এটি সুপ্ত অবস্থায় থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি করতে পারে। এটি হৃদ্যন্ত্রের পেশিকে দুর্বল করে দেয়। এতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে গেলে দীর্ঘ মেয়াদে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হার্ট ফেলিওর বা কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুও হতে পারে। স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে এ রোগ। শরীরের কোনো অঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এর কারণে চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।
করণীয় :
জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। খাবারদাবারে পরিমিত হোন। শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে বেশি করে। পরিহার করুন খারাপ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার। হারাম খাদ্য থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন। আলস্য বাদ দিয়ে প্রতিদিনই কিছু সময় শারীরিক পরিশ্রম করুন।
-ডা. আলী মারুফ।
মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
জন্মের ২য় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতে শিশুর বাড়তি যত্ন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসছে শীত, নিজের যত্ন নিবেন যেভাবে
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পাইলস কি এবং কাদের হয়
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
টুথপেস্ট-সাবানের জন্যও হতে পারে হাড়ক্ষয়
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাদ্যের কাজ ও উপাদান (২)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
লোহিত রক্তকণিকা বাড়ানোর উপায়
০৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা
২৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তীব্র গরমে শরীরের জন্য উপকারী যেসব ফল
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাবদাহে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস্ট্রিক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভিটামিন পি সম্পর্কে জানেন?
১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)