অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ কেন হয়
, ১৩ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) স্বাস্থ্য
হাড় গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৪০ বছর বয়সের আগে হাড়ের বৃদ্ধি বেশি হয় আর ক্ষয় কম হয়। এর পর থেকে হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বৃদ্ধি কম হয়। হাড়ক্ষয় নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হাড়ের ঘনত্বের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, কোলাজেন ফাইবারের উপস্থিতি কেমন তার ওপর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ ক্ষয়জনিত সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। হাড়ের ঘনত্ব বাড়া-কমা একটি জীবনব্যাপী চলমান প্রক্রিয়া।
কারণ
বয়োবৃদ্ধি ও মেনোপজ ছাড়াও হাড়ক্ষয়ের আরও কিছু কারণ ও ঝুঁকি আছে। যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম না করা। পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ না করা। অপুষ্টি ও অতি কম ওজন। অতিরিক্ত ধূমপান। তা ছাড়া কিছু কিছু রোগ হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন বাতরোগ, হাইপোগোনাডিজম, থাইরয়েড বা প্যারাথাইরয়েড হরমোনের সমস্যা; যেসব রোগে খাবার শোষণ ব্যাহত হয় যেমন সিলিয়াক ডিজিজ, ক্রনস ডিজিজ। দীর্ঘ মেয়াদে কেউ যদি শয্যাশায়ী থাকেন। কিছু ওষুধও হাড়ের ক্ষয় বাড়িয়ে দেয়। যেমন স্টেরয়েড, খিঁচুনিবিরোধী ওষুধ, ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ।
উপসর্গ
যেহেতু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ক্ষয় একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। কিন্তু হাড়ের ভেতরের উপাদান বা ঘনত্ব অধিক পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন সারা শরীরে ব্যথা, সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, মেরুদণ্ডে ফ্র্যাকচারের কারণে পিটে বা কোমরে ব্যথা।
ঝুঁকি নির্ণয়
রোগীর উপসর্গ পর্যবেক্ষণ, বয়স, পূর্ববর্তী অন্যান্য রোগ ও ওষুধের ইতিহাস থেকে ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়। ঝুঁকিযুক্ত রোগীর বোন মিনারেল ডেনসিটি পরীক্ষার মাধ্যমে হাড়ের ঘনত্ব নির্ণয় করা যায়।
প্রতিরোধ
সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা। বিশেষ করে শৈশব থেকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ননিতোলা দুধ, কম স্নেহজাতীয় দই, কডলিভার অয়েল ইত্যাদি। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করা উচিত। ধূমপান ত্যাগ করুন। পড়ে যাওয়া রোধ করুন।
চিকিৎসা
এ চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিসফোনেট থেরাপি, হরমোনের সমস্যা থাকলে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি। চিকিৎসা না করলে অল্প আঘাতেই হাড়ে ফাটল ধরে বা হাড় ভেঙে যায়। কারণ, ঘনত্ব কমে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আসছে শীত, নিজের যত্ন নিবেন যেভাবে
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পাইলস কি এবং কাদের হয়
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
টুথপেস্ট-সাবানের জন্যও হতে পারে হাড়ক্ষয়
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাদ্যের কাজ ও উপাদান (২)
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উচ্চ রক্তচাপ কেন নীরব ঘাতক
২৫ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লোহিত রক্তকণিকা বাড়ানোর উপায়
০৪ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতা
২৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তীব্র গরমে শরীরের জন্য উপকারী যেসব ফল
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাবদাহে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস্ট্রিক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভিটামিন পি সম্পর্কে জানেন?
১৫ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডাবের ৩ রেসিপি
১২ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)