সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার স্বর্ণযুগের মুসলমানদের দুনিয়া কাঁপানো প্রভাব-প্রতিপত্তির মূল কারণ ছিল সম্মানিত যাকাত ব্যবস্থার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। যার বদৌলতে মুসলমানরা সমৃদ্ধির চূড়ান্ত সোপানে উপনিত হয়েছিলেন। দুই একটি ঘটনা উল্লেখ করলেই সম্মানিত মুসলমান উনাদের সমৃদ্ধির মাত্রা কিঞ্চিত উপলদ্ধি করা যাবে। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারক গ্রহনের অব্যবহতি পরেই বেশ কিছু ফেৎনা প্রকাশ পেল। এর মধ্যে একটি হলো কিছু লোক সম্মানিত যাকাত দিতে অস্বীকার করলো। হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি দীপ্তকন্ঠে ঘোষণা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, দুই প্রকার লোক যদি পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তবে সাধারণ লোকজনও পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। আর তারা যদি অশুদ্ধ হয়, তবে সাধারণ জনগণও অশুদ্ধ হয় তা তাদের আমল-আখলাকও নষ্ট হয়ে যায়। আর তারা হলো, আলিম-উলামা এবং নেতৃস্থানীয় শাসকগোষ্ঠী।
এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে, যারা শাসকশ্রেণী আছে এবং যারা আলিম রয়েছেন তারা যদি সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আমল করেন, তাহলে সাধারণ জনগণের আমলও শুদ্ধ হয়ে যায়। আর তারা যদি সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ আমল করে, তবে জনগণের আমল আখলাকও শ বাকি অংশ পড়ুন...
৪ খাদ্য ও পণ্যদ্রব্যে ভেজাল ও বিষক্রিয়াঃ একটি বহুমাত্রিক জটিল সমস্যা
বিভিন্ন জরিপে উঠে আসা ভেজাল খাবারের উপাত্তের একটি তালিকা লক্ষ্য করুনঃ
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগীতায় আইপিএইচ একটি জরিপ পরিচালনা করে। ২০০৩ সালে তারা ৪০০টি মিষ্টি, ২০০ টি আইসক্রীম, ২৫০ টি বিস্কুট ও ৫০টি পাউরুটির নমুনা সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, মিষ্টি ৯৭%, আইসক্রীম ৫৯%, বিস্কুট ৫৪% ও পাউরুটি ২৪% অনিরাপদ। এছাড়া ১৯৯৪, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে রাস্তার খাবারে যথাক্রমে ১০০%, ৭৮%, ৫৯% খাবার ছিল অনিরাপদ ও জীবাণুদুষ্ট।
এই তালিকা থেকে আমরা দেখতে পাই, ২০০৭ সাল নাগাদ অনিরাপদ খাব বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন হাদিয়া আশার আলাইহাস সালাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনারা উভয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেন যে, আমরা হাবশায় খ্রিস্টানদের উপাসনালয়ে প্রাণীর ছবিসমূহ দেখেছি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, খ্রি বাকি অংশ পড়ুন...
ঔপনিবেশিক আমলে সাদা চামড়ার খ্রিস্টানদের দ্বারা উপমহাদেশের জনগণ এবং আফ্রিকার কালোদের উপর পরিচালিত নিপীড়ন ও অবজ্ঞার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিভিন্ন পুস্তকে উল্লেখ রয়েছে যে, তারা তাদের বিভিন্ন ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানের সদর দরজার সম্মুখে নোটিশ ঝুলিয়ে দিতো "এখানে নেটিভদের প্রবেশ নিষিদ্ধ" বা "কালোদের প্রবেশ নিষিদ্ধ" ইত্যাদি। এরকম চরম অবমাননাপূর্ণ কথাও নোটিশে লেখা থাকতো যে, ফড়মং ধষষড়বিফ নঁঃ হড় হধঃরাবং, কুকুরের প্রবেশাধিকার থাকলেও নেটিভদের নেই।
কিন্তু ওইসব অবমাননা পূর্ণ নোটিশও এতটা ব্যাপকভাবে সাদা চামড়াদের প্রতিষ্ঠানের দ বাকি অংশ পড়ুন...
দেশের সংবিধান অনুসারে, এই দেশের মালিক জনগণ। সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।’ আমরা একটু দেখি সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীরা কি পরিচয় বহন করে।
সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মচারীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “সরকারি কর্মচারী” অর্থ প্রজাতন্ত্রের কর্মে বেতনাদিযুক্ত পদে অধিষ্ঠিত বা কর্মরত কোনো ব্যক্তি; শুনতে তিক্ত হলেও সত্য মন্ত্রীরা হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের কর্মচারী। জনগণের টাকায় মন্ত্রীদের কর্মসংস্থান।
হঠাৎ জনগণ এবং মন্ত্রীদের সংজ্ঞার প্রয়োজন কেন? সেইজন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আসি।
বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যের ঘরের পিঠার ঘ্রাণ বেশি। একটা প্রচলিত কথা। কথাটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, নিজের যা আছে তাতে সে খুশি নয় কিংবা অন্যের যা আছে সেটাকেই বেশি উৎকৃষ্ট মনে করা। এটাকে হীনম্মন্যতা কিংবা এধরনের মানসিকতার অধিকারীকে মানসিক বিকারগ্রস্তও বলা যায়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেখা যায়- মুসলমানদেরকে এরকম হীনম্মন্যতায় পেয়ে বসেছে। তাই তারা তাদের ঐতিহ্য, শৌর্য, বীরত্বের ইতিহাস ভুলে গিয়ে কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত নানা দিবসগুলোতে মাতামাতি করে; কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত দিবস, জীবনযাপন পদ্ধতি, চিন্তা-ভাবনা ইত্যাদিকে খুব পছন্দ করতে শিখেছে এবং প বাকি অংশ পড়ুন...
যারা মানুষের মাল-সম্পদ লুণ্ঠন করে এমন অপরাধীদেরকে আমরা চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী বিভিন্ন নামে অবহিত করে থাকি।
চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী এইসব অপরাধীদের নামের মধ্যে ভিন্নতা লক্ষণীয়। কিন্তু অনিস্বীকার্য সত্য যে, এই অপরাধমূলক কর্মকা- প্রতিটির অর্থ কিন্তু একই সেটা হচ্ছে মানুষের মাল-সম্পদ লুণ্ঠন।
যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মূর্তিসমূহের অপবিত্রতা থেকে নিজেদেরকে হিফাযত করো। (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩০)
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ ঘোষিত বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যের ঘরের পিঠার ঘ্রাণ বেশি। একটা প্রচলিত কথা। কথাটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, নিজের যা আছে তাতে সে খুশি নয় কিংবা অন্যের যা আছে সেটাকেই বেশি উৎকৃষ্ট মনে করা। এটাকে হীনম্মন্যতা কিংবা এধরনের মানসিকতার অধিকারীকে মানসিক বিকারগ্রস্তও বলা যায়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেখা যায়- মুসলমানদেরকে এরকম হীনম্মন্যতায় পেয়ে বসেছে। তাই তারা তাদের ঐতিহ্য, শৌর্য, বীরত্বের ইতিহাস ভুলে গিয়ে কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত নানা দিবসগুলোতে মাতামাতি করে; কাফির-মুশরিকদের প্রবর্তিত দিবস, জীবনযাপন পদ্ধতি, চিন্তা-ভাবনা ইত্যাদিকে খুব পছন্দ করতে শিখেছে এবং প বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ জিএমও ক্রপ্স (জেনেটিক্যাল মডিফাইড খাদ্য শস্য) বাংলাদেশের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশে কী করে অনুমোদিত হতে পারে, তা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়। আমাদের দেশে এই আত্মঘাতী বীজ বাণিজ্যিকিকরণের পেছনে কে বা কারা কাজ করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা ও খুঁজে বের করাও সময়ের দাবি। গোল্ডেন রাইস নিয়ে ইতোমধ্যে সচেতন মহল পত্র-পত্রিকায়, সোস্যাল নেটওয়ার্কে বেশ সমালোচনা করছেন। প্রশ্নের মুখে পড়ছেন সরকারের মন্ত্রীরা। কিন্তু ঘাপটি মেরে বসে আছে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়া বরপুত্ররা। গোল্ডেন রাইস উৎপাদনের অনুমোদন প্রশ্নের মুখে পড়ে তৎ বাকি অংশ পড়ুন...
ভালো নিয়ত থাকলেই হারাম বিষয় হালাল হয়ে যায় না; বরং হালাল ও হারাম পণ্য চিহ্নিত করার জন্য কিছু মূলনীতি জানা দরকার।
হালালের চিহ্ন থাকাই উক্ত বস্তু হালাল হবার নিদর্শন হতে পারে না। কারণ হালালের চিহ্ন দিয়ে হারাম পণ্যও বিক্রি করা হতে পারে। তাই উক্ত পণ্যটি কিভাবে তৈরি হয়েছে? কি দিয়ে তৈরি হয়েছে? সেটির উপর নির্ভরশীল উক্ত পণ্যটি হালাল ও হারাম হওয়া।
আর পণ্যের কোনো নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই, তাই এর লিস্ট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। তবে সময়মতো বিভিন্ন উপাদানের সাথে আমরা পরিচয় করিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
তাই কয়েকটি আমরা মূলনীতি উল্লেখ করছি-
(১) গো বাকি অংশ পড়ুন...












