পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمَّارِ بْنِ يَاسَرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰي عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ أَبَدًا: اَلدَّيُّوثُ مِنَ الرِّجَالِ، وَالرَّجُلَةُ مِنَ النِّسَاءِ، وَمُدْمِنُ الْخَمْرِ.
অর্থ: হযরত আম্মার বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কখনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
(১) দাইয়ূছ (যে পুরুষ নিজে পর্দা করে না এবং তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না)।
(২) ঐ সকল মহিলা বাকি অংশ পড়ুন...
“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অতএব এ হাদীছ সম্পর্কে পরিপূর্ণ বুঝতে হলে বা ফতওয়া জানতে হলে তার সনদ দেখা জরুরী। নি¤েœ তার সনদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
প্রথম সনদ:
عن سَيْف بْن مِسْكِينٍ، حدثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمَسْعُودِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضى الله تَعَالٰى عنهما، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
উপরোক্ত সনদে একজন রাবী আছে সাইফ বিন মিসকীন। এর রাবীর বর্ণিত হাদীছ খুবই দূর্বল ও এ রাবীর সম্পর্কে জাল হাদীছ তৈরির অভিযোগও আছে।
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ইবনে ক্বাইসারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَّلاَ صُوْرَةُ تَمَاثِيْلَ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন বাকি অংশ পড়ুন...
অনেকে মনে করে থাকে, বাচ্চা ছেলে তাকে একটু মেন্দী বা মেহেদী দিয়ে দেয়া হোক, তাতে অসুবিধার কি রয়েছে? তারা এখনও বালেগ হয়নি। কিন্তু না, বুখারী শরীফের হাদীছ শরীফে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার হযরত আন নূরুর রাবিআহ ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে তাশরীফ নিলেন। সেখানে যেয়ে দেখতে পেলেন, হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قَاتِلُوْهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللهُ بِاَيْدِيْكُمْ وَيُـخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُؤْمِنِيْنَ
অর্থ: আপনারা তাদের (কাফির-মুশরিকদের) বিরুদ্ধে জিহাদ করুন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। সুবহানাল্লাহ! তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদেরকে জয়ী করবেন এবং সম্মানিত ঈমানদার উনাদের অন্তরসমূহকে শিফাদান করবেন অর্থাৎ এতমিনান দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ: আয়াত শরীফ ১৪)
বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ভুক্তদেরকে সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠকালে ছলাত শরীফ বলার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক না বলে লক্বব মুবারক যথা রসূলিল্লাহ ও হাবীবিল্লাহ বলে থাকেন| আর অন্য যারা মীলাদ শরীফ পড়েন উনারা সরাসরি নাম মুবারক বলেন|
আবার সালাম পেশ করার সময় আপনারা আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ বলেন| আর অন্যরা ইয়া নাবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা বলে থাকেন|
সম বাকি অংশ পড়ুন...
যদি কেউ আতর-গোলাপ মেখে, সুঘ্রাণ মেখে, কোন বেগানা পুরুষের সামনে দিয়ে চলে, সম্প্রদায়ের সামনে দিয়ে চলে, তার উদ্দেশ্য তার শরীরের সুঘ্রাণ যেন মানুষ পায়, তাহলে সে ব্যভিচারিণী হিসাবে সাব্যস্ত হবে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে|
এরপর ইরশাদ মুবারক করেছেন আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি-
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا اِسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً
যদি এমন কোন মহিলা থাকে, তার উদ্দেশ্ বাকি অংশ পড়ুন...
পরবর্তী উম্মতের প্রতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কিছু সুমহান উপদেশ মুবারক রয়েছে| যা সচরাচর আলোচনা হয় না তবে ইবরতপূর্ণ| উপদেশ মুবারকসমূহ হলো-
১. সর্বাপেক্ষা সহজ নেকী হলো প্রফুল্ল মুখ এবং মিষ্টি কথা|
২. সুমিষ্ট শরবত যেভাবে পান করো, সেভাবেই ক্রোধ/রাগ/গোস্সা হজম করো|
৩. চরিত্র খারাপ হলে ঈমানও খারাপ হয়|
৪. পাপ/গুনাহ/হারাম কাজ করতে চাইলে সে স্থান তালাশ করো যেখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি নেই|
৫. বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যতই প্রিয় হোক না কেন, সে যখন পার্থিব কিছু চায়, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট তার মর্যা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
مَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
অর্থ : যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর তাওয়াক্কুল করে তথা ভরসা করে; তিনিই তার জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! (সূরা ত্বালাক্ব শরীফ, আয়াত শরীফ-০৩)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে একটি ওয়াক্বিয়া বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাকি অংশ পড়ুন...












