এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ.
“যখন তুমি নির্লজ্জ হবে তখন যা খুশী তাই তুমি করবে। ” অর্থাৎ যখন মানুষের লজ্জা থাকেনা তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এবং আরেক হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
اِذَا فَاتَكَ الْحَيَاءُ فَافْعَلْ مَا شِئْتَ
“যখন তোমার লজ্জা নষ্ট হয়ে যাবে, তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। ”
কারণ লজ্জা নষ্ট হয়ে গেলে তো ঈমানে ঘাটতি হয়ে যায় তখন সে যা ইচ্ছে সেটাই করতে পারে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সব অবস্থায় সে যে কোন কাজ করতে পারবে। যখন ত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّا اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: (হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনাকে সম্মানিত ‘কাওছার’ হাদিয়া মুবারক করেছি। (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০১)
এখন কাওছার শব্দের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনগণ বিভিণœ মত পোষণ করেছেন। বলা হয়, এ শব্দের বহুমুখী অসংখ্য অর্থ রয়েছে। যেমন- হাউজে কাওছার। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اَللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا إِذْ اغْفَى اِغْفَاءَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَللهَ اَللهَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ لَاتَتَّخِذُوْهُمْ غَرَضًا مِّنْ بَعْدِىْ فَمَنْ اَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّـىْ اَحَبَّهُمْ وَمَنْ اَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِىْ اَبْغَضَهُمْ وَمَنْ اٰذَاهُمْ فَقَدْ اٰذَانِـىْ وَمَنْ اٰذَانِـىْ فَقَدْ اٰذَى اللهَ وَمَنْ اٰذَى اللهَ فَيُوْشِكُ اَنْ يَّأْخُذَهٗ
অর্থ: আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, আমার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পরে উনাদেরকে তোমরা তিরস্কারের লক্ষ্যস্থল করো না। যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করলো, সে আমা বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تَأْذَنَ فِى بَيْتِ زَوْجِهَا إِلا بِإِذْنِهِ، وَلاَ تَخْرُجَ وَهُوَ كَارِهٌ
হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে-
لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ
‘কোন মেয়ের জন্য জায়িয নেই, এটা হালাল হবে না,
تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান এনেছে এবং পরকালের প্রতি ঈমান এনেছে বা বিশ্বাস র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لِكُلّ مُؤْمِنٍ فِيْ كُلّ شَهْرٍ اَرْبَعَةُ اَعْيَادٍ اَوْ خَـمْسَةُ اَعْيَادٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন মুসলমান উনাদের প্রতি মাসে চারটি অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়ে থাকে। (কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খ-: বাবু ছলাতিল ঈদাইন, হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি সে নির্দেশ নিয়ে চলে আসলেন। কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্চাশ বৎসর এভাবে তিনি উনার পীর ছাহেবের নির্দেশ পালন করলেন। প্রথম দিকে কোন লোক হতো না উনার মাহফিলে। তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ করতেন। একদিন মাহফিলে কোন লোকই ছিলো না। তিনি মনে করলেন, আজকে চলে যাই, লোক যখন নেই। হঠাৎ একটা বৃদ্ধা মহিলা কোথা থেকে এসে বললেন, হে ইউসুফ! আপনি পীর ছাহেবকে যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা স্মরণ রাখুন। তিনি আবার সেই ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ শুরু করে দিলেন।
পঞ্চাশ বৎসর পর তিনি কামালিয়াত হাছিল করলেন। তবে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনের মূল যে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও অর্থাৎ তোমরা ত বাকি অংশ পড়ুন...
অনেক চিন্তা করে তিনি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার যে ওলীর কাছে পাঠানো হয়েছিল, উনার কাছে তিনি গেলেন। যাওয়া মাত্রই সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বললেন যে, ‘হে ব্যক্তি! আপনি তো এসেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত, মা’রিফত শেখার জন্য, ইসমে আ’যম শেখার জন্য হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে। কিন্তু আপনাকে একটা সাধারণ ইঁদুর কৌটার মধ্যে দেয়া হলো, সেটা আপনি বরদাস্ত করতে পারলেন না। তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার ইসমে আ’যম, মহব্বত-মা’রিফত যদি দেয়া হয়, সেটা কি করে আপনি বরদাস্ত করবেন? আপনি আবার ফিরে যান হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...












