মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত কন্ঠস্বর মুবারক উনার উপর তোমরা তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো, উনার সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না। (পবিত্র সূরা হুজরাত : আয়াত শরীফ ০২)
বাকি অংশ পড়ুন...
শাইখুশ শুয়ূখ হযরত শাকীক বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র হজ্জের ছফর কালে আমি কাদেসিয়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমি একজন সুশ্রী ও দীর্ঘদেহী যুবককে দেখলাম। উনার পরনে ছিল শাল। কাঁধে পাগড়ির প্রান্ত এবং পদযুগলে সেন্ডেল মুবারক। তিনি অনেক ভিড়ের মধ্য থেকে বের হয়ে একাকিই এক জায়গায় বসে গেলেন। আমি ভাবলাম, এই যুবক ছূফী শ্রেণীভুক্ত মনে হয়। সম্ভবতঃ তিনি এ ছফরে মুসলমানদের উপর বোঝা হয়ে যেতে চান। কাজেই উনাকে এ থেকে বিরত রাখার জন্যে বলা উচিত।
আমি উনার কাছে যেতেই তিনি বললেন, হে শাকীক! ধারণা করা থেকে বেঁচে থাক বাকি অংশ পড়ুন...
গোসলের সুন্নত
১. অজুর ন্যায় বিসমিল্লাহ বলা।
২. নিয়ত করা। নিয়ত এই-
نَوَيْتُ الْغُسْلَ لِرَفْعِ الْـجَنَابَةِ
“নাওয়াইতুল গুছলা লি রফ্য়িল জানাবাতি। ”
অর্থ : আমি নাপাকী দূর করার জন্য গোসল করছি।
৩. দু’হাতের গিরা (কব্জি) পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা।
৪. লিঙ্গ (যোনীদ্বার) ও গুহ্যদ্বারে কোনো প্রকার নাপাকী থাকুক আর নাই থাকুক, উক্ত স্থানদ্বয় ধৌত করা।
৫. শরীরের কোনো স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে, তা ধৌত করা।
৬. নামাযের অজুর ন্যায় অজু করা এবং মিসওয়াক করা। কেউ যদি পুকুরে অথবা কোনো পানিধারে নেমে গোসল করে, তবে সেখান থেকে উপরে উঠে পা ধৌত করা।
৭. সমস্ত শরীর তিনবার ধৌত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবিক আমরা এসেছি আপনার কাছে সেই সুসংবাদ দেয়ার জন্য। আপনি বেগানা নারীর ওয়াস্ওয়াসা থেকে বেঁচে নিজের ঈমান হিফাযত করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে খুশি করেছেন। যার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে এ ফযীলত দিয়েছেন এবং আরেকটা নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে।
কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে? মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রত্যেক যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার একজন লক্ষ্যস্থল থাকেন। এ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল হচ্ছেন হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْإِيمَانِ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ﴿٢٣﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আপনারা আপনাদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধু-অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবেন না, যদি তারা ঈমান আনার উপর কুফরীকে মুহব্বত করে বা প্রাধান্য দেয়। আর আপনাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই জালিম সাব্যস্ত হবে। (পবিত্র সূরা তওবা: আয়াত শরীফ ২৩)
বাকি অংশ পড়ুন...
সেখান থেকে তিনি রাতের বেলা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে আসলেন। এক মরুময় জায়গা সেখানে এসে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেলেন। ক্লান্তি-শ্রান্তির কারণে, মনে মনে চিন্তা করলেন, এখানে আজকে রাত যাপন করা যেতে পারে। শোয়ার মত বা এখানে ঘুমানোর মত কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, দু’ হাটুতে মাথা রেখে তিনি ঘুমাবেন।
সেটা চিন্তা করে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি দু’হাটুতে মাথা রেখে তিনি ঘুমালেন, ঘুম এসে গেল। তিনি বর্ণনা করেন, আমার যখন ঘুম এসে গেল হঠাৎ আমি দেখতে পেলাম, আমি এমন এক স্থানে গিয়েছি, এত সুন্দর স্থান আমার জীবনে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللهُ لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যমীনবাসী হতে আমার পর্দা করার বিষয়টি যদি বিলম্বিত হতো, তাহলে আমি এই জাযিরাত বাকি অংশ পড়ুন...
সে প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষদের জন্য বলে দিয়েছেন-
نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَّمْشِيَ الرَّجُلُ بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘কোন পুরুষের জন্য জায়িয নেই, দু’জন মহিলার মধ্যে দিয়ে সে হাঁটে। ’
কোন পুরুষের জন্য সেটা জায়িয হবে না। বরং সম্পূর্ণ হারাম হবে দু’জন মহিলার মধ্য দিয়ে হাঁটা।
মেয়েরা এক পাশ দিয়ে হাঁটবে। পুরুষরা অন্য পাশ দিয়ে হাঁটবে। কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা মহিলাদের মধ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجْعَلُوا لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا ﴿١٤٤﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। (কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে) তোমরা কি চাও, তোমাদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য স্পষ্ট প্রমাণ পেশ করতে? (পবিত্র সূরা নিসা: আয়াত শরীফ ১৪৪)
বাকি অংশ পড়ুন...












