মুক্বাদ্দিমাহ (ভূমিকা)
اَلْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَلَمِيْنَ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْاَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَعَلَى اَهْلِ بَيْتِهِ مُحْىِ سُنَّتِهِ الشَّيْخِ السُّلْطَانِ النَّصِيْرِ اِمَامِ الطَّرِيْقَةِ وَالْاَوْلِيَاءِ الْكَامِلِيْنَ وَاَهْلِ بَيْتِهِ الْكَرِيْمِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ اَجْمَعِيْنَ. اما بعد-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ومَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
অর্থ: “আমি জ্বীন ও ইনসান জাতিকে একমাত্র আমার মহাসম্মানিত ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য সৃষ্টি করেছি। ” (পবিত্র সূরা জারিয়াত শরীফ: ৫৬)
কাজেই, মানব জীবনের প্রধানতম একটি উদ্দেশ্য হলো সম্মানিত ইবাদত করা। আর এই ই বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الآخذ بِسنتي معي فِي حَظِيرَة الْقُدس
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মুবারক আঁকড়ে ধরে থাকবে, সে ‘হাযীরাতুল কুদস’ নামক স্থানে (জান্নাতের বিশেষ স্থান) আমার সাথে অবস্থান করবে। সুবহানাল্লাহ! (আল বাদরুল মুনীর ২/৫৯৮, তালখীছুল হবীর ১/৩৮৬, আল ইছাবাহ্ ৮/২১৬ ইত্যাদি)
বাকি অংশ পড়ুন...
বিষয়টা হচ্ছে, খন্দকের যুদ্ধ যখন হয়ে গেলো, পরবর্তীতে মুসলমানদের আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছলতা ফিরে আসলো। যখন স্বচ্ছলতা ফিরে আসলো, প্রত্যেককে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের চাহিদা মুতাবিক যার যে চাওয়ার ছিল তাকে সেটা দিয়েছেন। কারো চাহিদাকে উনি অপূর্ণ রাখেননি। অর্থাৎ যার যে আরজু ছিল তার সে আরজু পূরা করে দিয়েছেন।
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পরবর্তীতে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম অর্থাৎ আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিত বাকি অংশ পড়ুন...
এ আয়াত প্রসঙ্গে বলা হয়, আয়াত শরীফ যখন নাযিল হলো; নাযিল হওয়ার পর আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে প্রথম ডেকে বললেন, “হে হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম! আপনাকে একটা বিষয় বলা হবে। তাড়াহুড়া করে কোন জবাব দিবেন না। আপনি আপনার পিতা-মাতা যারা রয়েছেন, উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জবাব দিবেন। ”
তখন হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম বললেন, “অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوٰى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৫৭৫৭, ৫৩১৬, এবং ৫৪২৫, উমদাতুল ক্বারী ৩১/৩৮ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيّ. يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلّمُوْا تَسْلِيْمًا.
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে মু’মিনগণ! তোমরাও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ তথা দুরূদ শরীফ পাঠ করো এবং সালাম শরীফ পেশ করো পেশ করার মত। (পবিত্র সূরা আহযাব: আয়াত শরীফ ৫৬)
বাকি অংশ পড়ুন...
পানি সম্পর্কিত মাসায়িল
দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য পানি যেমনি একান্ত প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পবিত্রতা হাছিলের জন্যও তা হচ্ছে প্রধান ও অন্যতম উপকরণ। যার মাধ্যমে মুসলমানগণ সর্বপ্রকার নাজাসাত এবং জানাবাত থেকে পবিত্রতা অর্জনকরতঃ এক আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করে থাকেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّيُطَهِّرَكُمْ بِهٖ
অর্থ: এবং তিনি (মহান আল্লাহ পাক) তোমাদের পবিত্রতা হাছিলের জন্য আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
পানির প্রকারভেদ :
পানি প্রথম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَدَّثَتْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَكُنْ يَتْرُكُ فِىْ بَيْتِهِ شَيْئَا فِيْهِ تَصَالِيْبُ اِلَّا نَقَضَهُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র হুজরা শরীফ-এ (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোনো জিনিসই রাখতেন না। দেখলেই ভেঙ্গে চূর্ণ করে দিতেন। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বা বাকি অংশ পড়ুন...
এ তিনটা আমলই মানুষের জন্য মহা জরুরী। যেমন, তাক্বওয়া অর্জন না করলে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। ঠিক ইয়াতীম, মিসকীনের হক্ব যদি কেউ আদায় না করে, তার জন্য জাহান্নাম ছাড়া কোন গতি নেই।
যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন পরবর্তী আয়াত শরীফে-
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
নিশ্চয়ই যারা ইয়াতীমের মাল জোর করে খেয়ে ফেলবে, জুলূম করে খাবে। নিশ্চয়ই তারা তাদের পেটের মধ্যে আগুন প্রবেশ করিয়ে থাকে। এবং অতিশীঘ্রই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কাজেই ইয়াতীম, মিসকীনের হক বাকি অংশ পড়ুন...
মরদূদ দরবেশ বালয়াম বিন বাউরা তিনশত বছর ইবাদত করেছিলো। চোখ বন্ধ করলে সিদরাতুল মুনতাহা থেকে তাহ তাছ্ছারা পর্যন্ত সবকিছু দেখতে পেতো। তার সমস্ত দোয়া কবুল করা হতো। কিন্তু হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে বেয়াদবী করার কারণে ৩০০ বছর পর সেও গোমরাহ হয়ে গেলো। তার সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ
অর্থ: আর আপনি তাদের নিকট বর্ণনা করুন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর ত বাকি অংশ পড়ুন...












