দ্বিতীয় সনদ:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অর্থাৎ হাদীছটা যে দূর্বল তা সম্পর্কে সবাই একমত। হযরত জুহাইরি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, উনার পরিবারের কোনো এক নারী এটা হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা থেকে শুনেছেন, কিন্তু তার নাম-পরিচয় কিছুই জানা নেই। তার উপর হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি ছাহাবীয়াহ্ না তাবিয়াহ্ তা নিয়েও আছে ইখতিলাফ। হযরত ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মারাসীলে উল্লেখ করার থেকে বুঝা যায় হযরত মুলাইকাহ্ বিনতে আমর রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি তাবিয়াহ্। অতএব এটা মুরসাল বর্ণনা।
এখ বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর যেটা বলা হয়েছে, তারা পর্দা ঢেলে দিবে।
وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
তারা তাদের যে পর্দা রয়েছে বা বোরকা রয়েছে, সে কাপড়টা সিনা পর্যন্ত লম্বা করে দিবে বা ঢেলে দিবে। এর মধ্যে যেন কোন প্রকার ত্রুটি না হয়। কাপড় ছোট-খাট হলে, মুখ খুলে রাখবে তা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও কোন কোন মুফাস্সির, কোন কোন ব্যক্তি অনেকে বই লিখেছে, পর্দার বই প্রকাশ করেছে, সেখানে তারা লিখেছে সাধারণভাবে
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
এর ব্যাখ্যায় তারা বলেছে, চেহারা, মুখ, হাতের কব্জি থেকে অতিরিক্ত আর পায়ের গীরা থেকে নীচে যা রয়েছে তা বের করা জায়িয রয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, যিনি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হাফেজ ছিলেন। কিতাবে লেখে- দু’জন ব্যক্তি মায়ের রেহেম থেকে ত্রিশ পারা হাফেজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। একজন হলেন- হযরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয়জন হলেন- হযরত মীর্জা মাযহার জানে জানা শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি বাদশাহ আলমগীরের আত্মীয় ছিলেন। তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, হাফেজে মাদারযাদ, বিরাট বুযূর্গ। তিনি উনার পীর ছাহেব হযরত নূর মুহম্মদ বাদায়ুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে রীতিমত যাওয়া-আসা করতেন।
একদিন পীর বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক সময় বলতেন, তিন কারণে মানুষ ধ্বংস হয়- (ক) অহংকার, (খ) লোভ এবং (গ) হিংসা। নাউযুবিল্লাহ!
তিনি বলেন, (ক) অহংকারের কারণে মানুষের দ্বীনি অনুভূতি বিনষ্ট হয়, এ কারণেই ইবলিস অভিশপ্ত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(খ) লোভ হচ্ছে নফসের দুশমন। যে কারণে ইবলিস পবিত্র জান্নাত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
(গ) আর হিংসা পাপীদের গোয়েন্দা, এ কারণেই কাবিল সে হযরত হাবিল আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে। বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
শাইখ আহমদ ইবনে ছাবিত আল মাগরিবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘কিতাবুত তাফাক্কুর ওয়াল ইতিবার’ নামক কিতাবে লিখেন, ‘আমি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে যে সকল উপকার লাভ করেছি তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম যে, একজন লোক চিৎকার করে বলছেন, ‘যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে দেখা করতে চায় সে আমার সঙ্গে আসুক। ’ দেখলাম যে অনেক লোক এ কথা শুনে উনার দিকে দৌঁড়াতে আরম্ভ করলেন। উনাদের সকলের পোশাক সাদা রংয়ের ছিল। আমি উনাদের মধ্যে একজনকে বললাম ‘মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
জিন-ইনসানসহ যত মাখলূকাত রয়েছে, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন বা হাছিল করার জন্য। তারা যদি সেটা বুঝতে পারতো, তাহলে অবশ্যই তারা দুনিয়াবী জিন্দেগীকে প্রাধান্য না দিয়ে আখিরাত বা পরকালকেই প্রাধান্য দিতো।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন যে, হাক্বীক্বত দুনিয়াবী জিন্দেগী ক্রীড়া-কৌতুক এবং খেল-তামাশার মত এবং প্রকৃত জিন্দে বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: রাজারবাগ শরীফ সিলসিলা ভুক্তদেরকে সম্মানিত মীলাদ শরীফ পাঠকালে ছলাত শরীফ বলার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক না বলে লক্বব মুবারক যথা রসূলিল্লাহ ও হাবীবিল্লাহ বলে থাকেন। আর অন্য যারা মীলাদ শরীফ পড়েন উনারা সরাসরি নাম মুবারক বলেন।
আবার সালাম পেশ করার সময় আপনারা আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ইয়া হাবীবাল্লাহ বলেন। আর অন্যরা ইয়া নাবী সালামু আলাইকা, ইয়া রসূল সালামু আলাইকা, ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা বলে থাকেন।
বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতঃপর মাথার উপর, অতঃপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতঃপর পিছনে দেয়ালের উপর অতঃপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে।
(রদ্দুল্ মুহতার আলাদ্ দুররিল মুখতার বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুফাস্সিরীনে কিরাম যারা, মুহাক্কিক-মুদাক্কিক, ইমাম-মুজতাহিদ, উনারা দু’আয়াত শরীফকে দু’দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। যথাঃ একটা ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামুন্ নাস-এর জন্য অর্থাৎ সাধারণ লোকদের জন্য, তারা সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে। আর একটা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য করা হয়েছে।
এ আয়াত শরীফ যারা নায়িবে নবী, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া, উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী রয়েছেন উনাদের শানে উনারা পেশ করেছেন। যে, উনাদের বাড়ীতে প্রবেশ করতে হলে, উনাদের খাছ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আওয়া বাকি অংশ পড়ুন...












