শিক্ষকতা:
শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখযূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মাদরাসায়ে নিযামিয়া-এর অন্যতম সুযোগ্য মুয়াল্লিম বা অধ্যাপক ছিলেন। সাইয়্যিদুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী, মাহবূবে সুবহানী, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছাত্র অবস্থায় উনার সেই মাদরাসায়ে নিযামিয়া উনার শিক্ষার্থী হিসেবে যোগদান করলেন। তিনি উনাকে অত্যন্ত ¯েœহ ও যতœ করতেন এবং উনার তা’লীম-তরবিয়ত বা শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন বাগদাদ শরীফ-উনার একজন শ্রেষ্ঠ আলিম, খ্যা বাকি অংশ পড়ুন...
মুসাফিরের পরিচিতি ও নামাযের তারতীব :
সম্মানিত হানাফী মাযহাব অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে ৩ দিন পায়ে হাটার পথ সফর করলে, শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। এখন সেটা পায়ে হেটে বা বাহন চড়ে অথবা যানবাহনে আরোহন করে হতে পারে, একইভাবে নৌযানে চড়ে পানিতে বা উড়োজাহাজে চড়ে আকাশ পথেও সফর করতে পারে। যেভাবেই সফর করুক না কেন, সফরের বাহন বা চলাচলের রাস্তা অনুযায়ী এর দূরত্ব, গতি ও সময় কম-বেশী হয়ে থাকে, তবে তৈরী রাস্তায় সফর করলে এর দূরত্ব শরয়ী মাপে দৈনিক ১৮ ফারসাখ হয়। সে হিসেবে ১৮X৩ = ৫৪ শরয়ী মাইল হচ্ছে মুসাফিরী পথের দূরত্ব। যা বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত বৃটি বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বাছীদা শরীফ লেখা, পাঠ করা, শোনা, আয়োজন করা, প্রচার করা প্রতিটি সুন্নত। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এই সুন্নতসমূহ যথাযথভাবে আদায় করলেন- এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ কি কি হতে পারে? কয়েকটি কারণসমূহেই বোধগম্য যেমন-
১। সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার আমল করা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি হাছিলের কারণ।
২। সম্মানিত সুন্নত আমলে সম্মানিত সুন্নত জিন্দা হয় এবং বিদয়াত দূরীভূত হয়। কি বাকি অংশ পড়ুন...
(২৬৫)
আজকের খুতবা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কিছু খুছূছিয়াত মুবারক, বৈশিষ্ট ও ফযীলত মুবারক সম্পর্কে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের প্রস্তাব দেয়া এবং সম্মতি জ্ঞাপন করার সুন্নতী তরতীব
ছেলে পক্ষ কিংবা মেয়ে পক্ষ উভয়পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসতে পারে। আবার সম্মতির বিষয়টিও উভয় পক্ষ থেকে হতে পারে। বিবাহের প্রস্তাব দানের ক্ষেত্রে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সংশয়-সন্দেহ থাকা সমীচীন নয়। তবে যে কোন পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসুক না কেন তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। তার মূল্যায়ন করা দরকার। আর যদি একান্ত সামঞ্জস্যশীল না হয় বা কুফু (সমকক্ষতা) না মিলে তাহলে হিকমতে জাওয়াব দেয়া আবশ্যক। সেক্ষেত্রে উচ্চ্য বাচ্চ্য করা, প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকল প্রকার অপছন্দনীয় কাজ থেকে পবিত্র
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকল প্রকার অপছন্দনীয় কাজ থেকে পবিত্র। কেমন অপছন্দনীয় কাজ? একটি ওয়াকেয়াহ-ই যথেষ্ট বুঝার জন্য। একদিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবস্থান মুবারক করছিলেন। এমন সময়ে একজন লোক আসলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন,
وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلاَّ اللَّهُ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন এই পবিত্র আয়াতে মুতাশিবাহার অর্থ মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কেউ জানেন না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ
ইলমে যারা রাসিখূন অর্থাৎ মিন্ লাদুন্না ইলমা প্রাপ্ত যারা। হাক্বীক্বী যারা আলিম হাক্বানী উনারা বলেন, কি বলেন? আমরা এর মধ্যে ঈমান আনলাম, বিশ্বাস করলাম যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কেউ জানেন না। সুব বাকি অংশ পড়ুন...
إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللَّهُ يُعْطِي
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে হাদীয়া মুবারক করেছেন আর তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই বন্টন মুবারক করেন, আর সে ততটুকু পায়। এর চাইতে এক জাররাহ পরিমাণ বেশী ইলম নাই, এরা মিথ্যাবাদী। উনারা যাকে যতটুকু দেন সে ততটুকু লাভ করবে এর বাইরে ইলম-কালাম নেই। এই জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক বলা হয়েছে। আমি অনেক বার বলেছি,
هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কিতাব নাযিল করলেন। এ পবিত্র আয়াত শরীফ মুখস্থ রাখতে হবে সবার।
مِنْهُ آيَاتٌ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সাথে পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক-এর অনবদ্য পবিত্র সুন্নত উনার অনুসরণ, প্রতিপালন, বাস্তবায়ন, প্রতিষ্ঠা ও জারি করার লক্ষ্যে যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নকশায়ে রসূল, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ১৯শে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থ: “আপনারা স্মরণ করুন, নছীহত মুবারক করুন, আপনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে যা তিলাওয়াত মুবারক করা হয়েছে বা নাযিল মুবারক করা হয়েছে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আপনারা স্মরণ করুন এবং উনাদের মাধ্যমে নছীহত মুবারক করুন। নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্ম খবর রাখনেওয়ালা। অর্থাৎ বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে উনাদের শান-মান কতটুকু? এখানেতো প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো না। যেহেতু সে প্রকাশ করে নাই বিষয়টা। কিন্তু তার ভিতরে বিদ্বেষ ছিলো, এই বিদ্বেষের কারণে তাকে জাহান্নামে দেয়া হলো। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই ফিকির করতে হবে উনাদের শান-মান মুবারক কতো? মুখে আসলেতো বলা যাবে না। কিতাবে আসলো, কাগজ কলম পাওয়া গেল আর তাফসীর লেখা শুরু হয়ে গেল, কাগজ কলম পাওয়া গেল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ লেখা শুরু হয়ে গেল, কাগজ কলম পাওয়া গেল উনাদের ছাওয়ানেহ উমরী মুবারক লেখা হয়ে গেল যে উনারা উমুক করেছেন তমুক করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এস বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়ার যমীন কখনোই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি নয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত সবসময়ই দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। যখন উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ اِذَا ذَهَبَتِ النُّجُوْمُ ذَهَبَ اَهْلُ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَر বাকি অংশ পড়ুন...












