একজন ছাহাবী, উনার উপনাম ছিল আবু যুরারা। তিনি আল-যাজিরায় (আলজিরিয়া) বসবাস করতেন। ইবনে ইসহাক উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ইসলাম গ্রহণের কারণ তিনি নিজেই এভাবে বর্ণনা করেছেন: আমাদের দেশে ইবনে শাহলা নামে এক ইয়াহুদী পন্ডিত ছিলেন। তিনি আমাকে বলেছেন: আমি মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে পেয়েছি যে, জান্নাতুল ফিরদাউসের অধিবাসী এমন একটি দল হবে যাঁরা প্রচুর ইবাদত করবেন। হযরত আদী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন: মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! অচিরেই আমার নিকট সংবাদ পৌঁছে যে, হাশিম গোত্রের এক ব্যক্তি নিজেকে রসূল বলে প্রক বাকি অংশ পড়ুন...
৫৭নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ ابن مسعود رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آفة العلم النسيان، واضاعته أن تحدث به غير أهله. অর্থ : “হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ইল্ম-এর বিপদ হচ্ছে ভুলে যাাওয়া। আর ইল্ম-এর অপব্যয় হচ্ছে তা অপাত্রে দান করা।” (আবু শাইবাহ্, কানযুল উম্মাল শরীফ ২৮৯৫৬)
৫৮নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أبي الدرداء رَضِيَ الل বাকি অংশ পড়ুন...
ر ‘রা’ হরফ উনাকে পাঁচটি স্থানে পোর বা মোটা করে পড়তে হয়।
(১) ر ‘রা’ হরফ উনার উপর যবর কিংবা পেশ যদি হয় তখন সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে পোর করে পড়তে হয়।
رَبُّكَى، كَرَّمَ، خَرَجَ، رُبَـمَا، رُزِقُوْا، رَبِّـىْ، اِلٰـى رَبِّكِى رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً، وَهُوَا الْغَفُوْرُ الْوَدُوْدُ، رَبَّنَا، لَا رَيْبَ فِيْهِ، رَزَقْنٰهُمْ، يَشْعُرُوْنَ، مَرَضًا، رَبِـحَتْ تِّـجَارَتُـهُمْ، وَتَرَكَهُمْ، وَرَعْدٌوَّبَرْقٌ، ثَـمَرَةٍ، حَذَرَالْـمَوْتِ، تَكْفُرُوْنَ، قَدَّرُوْهَا، شَرَابًا طَهُوْرًا.
(২) ر ‘রা’ হরফ সাকিন উনার ডানে যদি পেশ কিংবা যবর হয়, সেই ر ‘রা’ হরফ উনাকে মোটা করে পড়তে হয়।
يُرْزَقُوْنَ، بَرْقٌ، يَرْفَعُوْنَ، قُرْبَانًا، قُرْاٰنٌ، فُرْقَانٌ، اِلٰى اللهِ تُرْجَعُ বাকি অংশ পড়ুন...
লম্বা, উঁচু ও পাঁচ কল্লি টুপির ব্যাপারে শরীয়তের ফায়সালা (১ম অংশ):
লম্বা বা কিস্তি টুপি: শরীয়তের দৃষ্টিতে লম্বা বা কিস্তি টুপি পরিধান করা হারাম। কারণ লম্বা টুপি কাফের, বেদ্বীন ও হিন্দু মারওয়ারীদের খাছ টুপি। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাস্সির তাজুল মুফাস্সিরীন, ইমাম ক্বাজী বায়জাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর প্রসিদ্ধ তাফসীরে বায়জাবীর মধ্যে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার এ আয়াত শরীফ
(اِنَ الْذِيْنَ كَفَرُوْا سَوَاءُ عَلَيْهِمْ)-এর তাফসীরে উল্লেখ করেন,
لُبْسَ الْغَيَارِ وَشَدَ الْزِنَارِ وَنَحْوَهُمَا كَفَرَا.
অর্থ: “গিয়ার বা লম্বা টুপি পরিধান করা ও পৌতা বাধা এবং এত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ نَفۡسٖ ذَآئِقَةُ ٱلۡمَوۡتِۖ ثُمَّ إِلَيۡنَا تُرۡجَعُونَ
অর্থ : “প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর আমার কাছে ফিরে আসবে। (পবিত্র সূরা আনকাবুত: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)
আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, এই প্রত্যাবর্তন সকলের জন্য সমান নয়। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু। উনাদের বিদায় বা বিছাল শরীফ বিশ্ববাসীর জন্য ইবরত-নছীহতপূর্ণ। যা বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়েতের কারণ। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র জীবন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা লাহাব শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ স্বরূপ বলা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি প্রথমে নাযিল করলেন,
انذر عشيرتك الاقربين.
অর্থ : “আপনি আপনার গোত্রের লোকদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন।”
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার নাযিল হওয়ার পর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাফা পাহাড়ে গিয়ে সমস্ত লোকদের ডেকে বললেন, “তোমাদের সাথে জরুরী কথা আছে।” যখন স বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كُنْتُ شَفِيْعًا لَّه يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ تَعَالـٰى
অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ (ঈদে মীলাদে হাবীবিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে তাযীম-তাকরীম, ইজ্জত ও সম্মান করবেন, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার আওলাদ হযরত সালামাহ আলাইহিস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ সম্পন্ন করেন হযরত হামযাহ আলাইহিস সালাম উনার বানাত (মেয়ে) উনার সাথে। সে সময় উনারা দু’জনই ছিলেন অল্প বয়স মুবারকের অধিকারী।” (আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস ২য় খ- ৩৪৪ পৃষ্ঠা)
শুধু তাই নয়, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ফযীলত সীমাহীন। কিন্তু কে না চায় এই সীমাহীন ফযীলত উনার পরিপূর্ণ ফায়দা হাছিল করতে? কে না চায় ফযীলত অর্জন করতে? কে চায় না যে সমস্ত নিয়ামত হাছিল হোক? সবাই চায়। সবাই ভালো জিনিস ও নিয়ামতরাজি চায়। কিন্তু কিভাবে সম্ভব?
এখন প্রশ্ন হলো ভালো খাওয়া ও ভালো পরার মধ্যে কোনটি উত্তম?
এককথায় বলতে গেলে উত্তর হলো, সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার সুন্নতী খাবার, সর্বোত্তম পোশাক সুন্নতী পোশাক। সুবহানাল্লাহ!
যিনি শাহিদুন নবী, হাযির নাযীর, মুত্তালা’ আলাল গইব, মুবাশশির, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...












