ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
, ২৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও আহলে বাইত শরীফ উনার দশম ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সালাম। তবে উনার মুবারক নাম এবং কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে মুশাবাহ বা সদৃশ্যপূর্ণ। সেই কারণে উনাকে আবুল হাসান ছালিছ বা আবুল হাসান তৃতীয় বলা হয়। এছাড়া ওনাকে হযরত আলী হাদী আলাইহিস সালামও বলা হয়। তবে উনাকে ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লক্বব মুবারকে সম্বোধন করাই আদব। (মিরয়াতুল আসরার-২২১, শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াত-২১৯, ইকতিবাসূল আনওয়া-১৫৬)
‘ইকতিবাসূল আনওয়ার’ কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বয়স মুবারক যখন ১০ বছর তখন উনার পিতা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলেন। তখন তিনি উনার ইমামতী শান মুবারক জাহির করেন। (মিরয়াতুল আসরার)
উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা যে খাছ ইলম হাছিল করেছিলেন, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অল্প বয়স মুবারক থেকে তার প্রকাশ ঘটতে থাকে। তখন থেকে উনার এতো অধিক সংখ্যক কারামত প্রকাশ পেতে থাকে যে, সমসাময়িক সকল ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা আশ্চর্যান্বিত হতেন এবং সবাই উনার দিকে রুজু হতেন। উনার খাছ ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ লাভ করার জন্য উনার হাত মুবারক-এ বাইয়াত হতেন। ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন। উনার নির্দেশ মত যিকির-ফিকির করতেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ- “আমার পর বারোজন ইমাম আসবেন।”(ইকতিবাসূল আনওয়ার-১৫৬, মিরয়াতুল আসরার-২২১)
হাবীবুস সিয়ার কিতাবে উল্লেখ আছে যে, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শৈশবকাল থেকে এত অধিক এবং আশ্চর্যান্বিত কারামত প্রকাশ পেয়েছিল। যার কারণে সমস্ত মাখলুকাত উনার মুখাপেক্ষী হয়েছে। আর এটা দেখে বাগদাদের আব্বাসী শাসক মুতাওক্কিলের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল। এক পর্যায়ে আব্বাসী শাসক মুতাওককিল হুকুম দিলো, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে ২৫ ক্রোশ দূরে ইরাকের সমরাহ এলাকায় রেখে আসতে। সেই আদেশ মুতাবিক উনাকে সমরাহতে রেখে আসা হয়। নাউযুবিল্লাহ!
ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করলেন। তখন উনার একজন ভক্ত (মুহব্বতকারী মুরীদ) উনাকে বললেন- হে আওলাদে রসূল! ওই লোক তো আপনার সম্মানিত বংশধর উনাদেরকে সবসময় হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে। আর আপনাকে এরূপ বিরাণভূমিতে অবস্থান করার ব্যবস্থা করেছে। এই দলটি জ্ঞান-গরিমা মর্যাদা-মর্তবাকে জনগণের কাছে গোপন রাখতে এবং আপনার প্রভাব-প্রতিপত্তিকে মিটিয়ে দিতে চায়। এই উদ্দেশেই আপনাকে বন্দীদশা অবস্থায় রাখা হয়েছে।
একথা শুনে ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ, ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে ইবনে সায়ীদ! তুমিও তো এখনো ওই মাকামেই রয়েছ। অর্থাৎ হাক্বীক্বতে পৌঁছতে পারনি। একথা বলে তিনি স্বীয় হাত মুবারক দিয়ে ইশারা করলেন। আর সাথে সাথে ইবনে সায়ীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দেখতে পেলেন অতীব সুন্দর, সুন্দর বাগ-বাগিচা, বিভিন্ন প্রকার নহর, ঝর্ণাধারা এবং মনোমগ্ধকর বিরাট মাঠ। অত্যন্ত সুশ্রী রমনী এবং মনি-মুক্তার মত চাকচিক্যময় কচি বালকরা উনার খিদমতের জন্য ইন্তিজার (অপেক্ষমান) রয়েছে। ইহা দেখে তিনি যেমন খুশি হলেন তেমনি আশ্চর্যের সীমা রইল না। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে ইবনে সায়ীদ! যেখানেই আমরা অবস্থান করিনা কেন এসব কিছুই আমাদের সাথেই থাকে। কাজেই আমাকে কখনো বিরাণভূমিতে বন্দীবস্থায় অবস্থান করতে হয় না। সুবহানাল্লাহ! (ইকতিবাসূল আনওয়ার-১৫৭, মিরায়াতুল আসরার-২২১)
সম্মানিত পিতা ও মাতা উনাদের মুবারক নাম:
ইমামুর রাসিখীন, আরবাবে হিদায়িত, আওলাদে রসূল, যিনি ইমামুত তাসি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবু জাফর মুহম্মদ তাক্বী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন উনার সম্মানিত পিতা। আর উনার মাতা উনার নাম মুবারক- হযরত শাম্মামা আলাইহাস সালাম। কেউ কেউ বলেছেন হযরত উম্মুল ফযল আলাইহাস সালাম। যিনি খলীফা মামুনূর রশিদের মেয়ে ছিলেন এমতটি শুদ্ধ নয়। (মিরায়াতুল আসরার-২২০, ইকতিবাসূল আনওয়ার ১৫৬, সাফীনাতুল আউলিয়া-৪২)
পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
সর্বাধিক ছহীহ, গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মতে ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২১০ হিজরীর পবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ পবিত্র মদীনা শরীফে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
কতিপয় লক্বব মুবারক:
লক্বব হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রদত্ত এক বিশেষ নিয়ামত। যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবার বহিপ্রকাশ। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যেভাবে মশহুর বা প্রসিদ্ধ করতে চান সেভাবে উনার লক্বব মুবারকগুলো প্রকাশিত ও পরিচিত হয়ে উঠে।
ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বনামধন্য। উনার মর্যাদা-মর্তবার সীমা-পরিসীমা নেই। উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারক বিভিন্নভাবে প্রকাশিত-প্রচারিত হয়েছে। যা সবারই মুখে মুখে আমরা স্বল্প পরিসরে সেখান থেকে কয়েকটি উল্লেখ করছি।
(১) হাদী: হিদায়েতকারী বা হিদায়েতের প্রদর্শক।
(২) আসকারী: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে জিহাদকারী সৈনিক। তিনি ছিলেন আপোষহীন। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। জালিমের সামনে কখনো মাথা নত করেননি।
(৩) নাছিহ: অতি উত্তম নছীহতকারী। তিনি সবাইকে সবসময় নছীহত মুবারক করতেন। এ ব্যাপারে কোন কার্পন্য ছিল না।
(৪) মুতাওয়াককিল: মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বেমেছাল তাওয়াক্কুল বা ভরসাকারী।
(৫) ফাত্তাহ: সর্ববিষয়ে সর্বাধিক বিজয় লাভকারী।
(৬) মুরতাদ্বা: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক খাছভাবে মনোনীত।
(৭) নক্বী: অতীব পবিত্র।
(৮) ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন: মুসলিম উম্মাহ উনাদের সমস্ত ইমামগণের ইমাম তথা অনুসরণীয় অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
(৯) যিকরানে কাশিফে ইসরারে ইমতিনাহী: মহান আল্লাহ পাক উনার গুপ্ত রহস্য উদঘাটনকারী তথা মা’রিফত-মুহব্ববত হাছিলে চূড়ান্ত মাক্বামে উপনীত ব্যক্তিত্বগণ উনাদের যিকর বা স্মরণযোগ্য আলোচিত ব্যক্তিত্ব। সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরামই সবকাজে উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করতেন। ফলশ্রুতিতে উনি স্মরণে আসতেন। (মিরায়াতুল আসরার-২২০, ইকতিবাসুল আনওয়ার-১৫৬)
পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২৫৪ হিজরী জুমাদাল উখরা শরীফ উনার শেষ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর এটাই হচ্ছে সর্বাধিক ছহীহ মত। বাগদাদের পার্শ্ববর্তী সমাররা শহরের একটি সরাইখানাতেই উনার পবিত্র মাজার শরীফ অবস্থিত। যা উনার ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিল। কেউ কেউ বলেন, উনার মাজার শরীফ ‘কুম’ শহরে অবস্থিত। কিন্তু তা ঠিক নয়।
গুণাবলী:
একদিন আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সামারার একগ্রামে গেলেন। জনৈক বেদুঈন এসে উনাকে খুঁজতে থাকে। লোকেরা উনাকে বলল যে, তিনি অমুক গ্রামে গেছেন। বেদুঈন সেখানে গিয়ে উনার সাথে দেখা করলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: কেন এসেছ? বেদুঈন বলল: আপনার সম্মানিত দাদা ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রতি যারা আন্তরিক শ্রদ্ধাশীল, আমি তাদেরই একজন। এখন আমি এমন এক ঋণের দায়ে আবদ্ধ, যা শোধ করার শক্তি আমার নেই। আপনি ছাড়া কেউ নেই, যিনি আমার সাথে থেকে এই বোঝা নামাতে পারবেন। তিনি বেদুঈনকে আশ্বাস দিয়ে বললেন: কোন চিন্তা করো না। দেখি কি করা যায়। তিনি বেদুঈনকে সেখানেই রেখে দিলেন।
সকাল হলে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেদুঈনকে বললেন: দেখ, আমি তোমাকে কিছু কথা বলব। তোমার কর্তব্য হবে আমার কোন কথার বিরোধিতা না করা। বেদুঈন আরজ করলো: হুযূর! আমি কখনই আপনার কোন কথার বিরোধিতা করব না। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন হাত মুবারক-এ একটি পত্র লিখলেন। যার বিষয়বস্তু ছিল এই- বেদুঈনকে এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে দাও, যাতে তার ঋণ শোধ হয়ে যায়। সে ঋণভারে জর্জরিত। অতঃপর তিনি বললেন: এই পত্র নিয়ে যাও। আমি যখন সামারায় ফিরে যাব, তখন আমার কাছে আসবে এবং মজলিসের সকল লোকের সামনেই ঋণ শোধ করার দাবি করবে। দেখ! আমার এ কথার বিরুদ্ধাচরণ করবে না। বেদুঈন এ বিষয়ে অঙ্গীকার করল এবং পত্র হাতে নিয়ে চলে গেল।
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সামারায় ফিলে এলেন, তখন অনেক মুরীদান ও খাদিম উনার খিদমতে উপস্থিত হলেন। বেদুঈনও উপস্থিত হয়ে গেল এবং পত্রটি বের করে উনার কথামত ঋণ পরিশোধের দাবি পেশ করলো। তিনি তার সাথে নরম সুরে কথা বলতে লাগলেন এবং ঋণশোধ করার ওয়াদাও করছিলেন। কিন্তু সে স্বীয় বক্তব্য পেশ করেই চলে গেল। এ ঘটনার সংবাদ মুতাওয়াককিলের কর্ণগোচর হলো। তখন তিনি আদেশ দিলেন, ত্রিশ হাজার দিরহাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খিদমতে নিয়ে যাও। দিরহাম এসে গেলে তিনি সেগুলো বেদুঈনের আগমন পর্যন্ত হিফাযতে রাখলেন। বেদুঈন আগমন করলে তিনি বললেন: নিয়ে যাও এবং কর্জ শোধ কর। যা উদ্ধৃত্ত থাকে, তা পরিবার-পরিজনের জন্যে ব্যয় কর। বেদুঈন বলল: হে ইবনে রসূলুল্লাহ! আপনি যা দিলেন, আমি তো তার এক তৃতীয়াংশেরও কম আশা করেছিলাম।
কারামত ও কামালত:
একবার মুতাওয়াককিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তার শরীরে ফোঁড়া বের হল। চিকিৎসকরা এর প্রতিকারে ব্যর্থ হল। সে চোখের সামনে মৃত্যু দেখতে লাগলো। একদিন একজন নৈকট্যশীল সভাসদ ফতেহ ইবনে খাকান বলতে লাগলো। কাউকে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে প্রেরণ করা হোক। নিশ্চয়ই উপকারী তদবির উনার জানা আছে। সে মতে এক ব্যক্তিকে উনার কাছে পাঠানো হলে তিনি বললেন: অমুক বস্তু ফোঁড়ার উপর রেখে দাও। ইনশাআল্লাহ উপকার হবে। নির্দেশিত বস্তুটি খলীফার কাছে আনা হলে উপস্থিত সকলেই ঠাট্টাবিদ্রƒপ করতে লাগলো। ফতেহ ইবনে খাকান বলল: পরীক্ষা করতে দোষ কি? অতঃপর সেই বস্তুটি ফোঁড়ার উপর রেখে দেয়া হল। আশ্চর্যের বিষয়, রাখার সাথে সাথে ফোঁড়া গলতে শুরু করল এবং যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ!
মুতাওয়াককিলের আরোগ্য লাভের সংবাদ তার জননীকে জ্ঞাত করা হলে তিনি দশ হাজার দীনারের একটি থলে মোহর এঁটে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে পাঠিয়ে দিলেন।
উপরোক্ত ঘটনার কিছুদিন পরে মুতায়াককিলের কাছে কেউ গোপনে মিথ্যা অভিযোগ করলো যে, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে অনেক গোপন অর্থসম্পদ ও অস্ত্রসস্ত্র রয়েছে। মুতাওয়াককিল নিরাপত্তা রক্ষক সায়ীদকে বললো: তুমি অর্ধ রাতের পরে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গৃহে অতর্কিতে প্রবেশ করবে এবং মাল-সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র যা পাও, কব্জা করে নিয়ে আসবে। সায়ীদ বললো: আমি সিঁড়ি সাথে নিয়েই গেলাম। অর্ধরাতের পরে যখন আমি নিচে অবতরণ করলাম, তখন ঘরটি অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। আমি কোথায় যাব, কি করব, কিছুই ঠিক করতে পারছিলাম না। হঠাৎ অন্দর মহল থেকে আওয়াজ আসলো, হে সায়ীদ! স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থাক। আমি বাতি নিয়ে আসছি। কিছুক্ষণ পর প্রদীপ এলে আমি নিচে নেমে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে চলে গেলাম। তিনি পশমী বস্ত্র মুবারক পরিহিত ছিলেন। মাথা মুবারক-এ ছিল পশমী টুপি মুবারক। তিনি চটের তৈরি মুবারক জায়নামাযে ক্বিবলামুখী হয়ে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন: তোমার সামনেই সবকিছু রয়েছে। আমি ঘরের এদিক-ওদিক ঘুরে ফিরে দেখলাম। যেসব বিষয়ের গোপন খবর দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কোন কিছুই পাওয়া গেল না। কেবল মুতাওয়াককিলের জননীর প্রেরিত থলে মওজুদ ছিল, যার মোহর অক্ষত ছিল। অন্য একটি থলের উপরও মোহরের চিহ্ন ছিল। অতঃপর আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন: এই জায়নামায মুবারক উনার নিচে ও কিছু বিষয় আছে। আমি জায়নামায উঠালে তার নিচে একটি কোষাবদ্ধ তরবারি দেখলাম।
আমি এসব বস্তু মুতাওয়াককিলের কাছে নিয়ে গেলাম। মুতাওয়াককিল থলের উপর আপন জননীর মোহর দেখে এ সম্পর্কে সভাসদদেরকে জিজ্ঞাসা করলো। তারা বলল: আপনার অসুস্থতার দিনগুলোতে আপনার জননী মানত করেছিলেন। মুতাওয়াককিল বললো: এই পরিমাণ মুদ্রাভর্তি আরও একটি থলে আনো এবং তরবারিসহ থলেগুলো উনাকে দিয়ে এসো।
সায়ীদ বর্ণনা করে, আমি যখন এসব বন্তু নিয়ে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার খিদমতে হাযির হলাম, তখন লজ্জায় ও অনুতাপে আমার মাথা নুয়ে পড়ছিল। আমি আরজ করলাম: আমার মনীব! আপনার দওলতখানায় বিনানুমতিতে প্রবেশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যা আমার জন্যে খুবই দুরূহ ছিল কিন্তু তার নির্দেশের কারণে আমি এরূপ করতে বাধ্য ছিলাম। তিনি বললেন: জালিমরা সত্ত্বরই টের পাবে যে তারা কোন দিকে পার্শ্ব পরিবর্তন করছে।
(২) একজন ব্যক্তি বর্ণনা করেন, সফরে আমার সাথে আমার পুত্রও ছিল। আমি আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আরজ করলাম: আমার পুত্রের যেন পুত্রসন্তান হয়। তিনি বললেন: যখন পুত্র জন্মগ্রহণ করে, তখন তার নাম রাখবে মুহম্মদ। সে মতে তাই করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
(৩) অনুরূপভাবে অন্য একজন ব্যক্তি তার পুত্রের ঘরে পুত্র হওয়ার আবেদন জানালে তিনি বললেন: কন্যা অনেক পুত্রের চেয়ে ভাল হয়। সে মতে তার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সুবহানাল্লাহ!
(৪) মুতাওয়াককিলেরর গৃহে অনেক ছোট ছোট পাখি ছিল। এদের কিচিরমিচির শব্দে কারও কোন কথা বুঝা যেত না। কিন্তু আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই সেখানে যেতেন, তখন পাখিরা নিশ্চুপ হয়ে যেত। এরপর যখন তিনি বাইরে চলে আসতেন, তখন আবার কিচিরমিচির শুরু করতো। সুবহানাল্লাহ!
(৫) জনৈক ভারতবর্ষীয় ভেল্কিবাজ মুতাওয়াককিলের কাছে আগমন করেছিল। সে অত্যাশ্চর্য ভেল্কি প্রদর্শন করতো। একদিন মুতাওয়াককিল তাকে বললো: যদি তুমি আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লজ্জিত ও অপ্রস্তুত করে দিতে পার, তবে তোমাকে এক হাজার দীনার পুরষ্কার দিব। ভেল্কিবাজ বলল: কয়েকটি ভাল চাপাতী রুটি দস্তরখানে রেখে দিন এবং আমাকে উনার পার্শ্বে বসিয়ে দিন। মুতাওয়াককিল তাই করলো। ভেল্কিবাজের আমলের প্রভাবে রুটি উনার কাছ থেকে দূরে চলে গেল। নাউযুবিল্লাহ! এই আমল তিনবার করা হলে উপস্থিত সকলেই হাসতে লাগলো। সেখানে একটি কার্পেট ছিল, যাতে সিংহের চিত্র অংকিত ছিল।
আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই অঙ্কিত সিংহকে ইশারা করলেন: যাতে ভেল্কিবাজকে ধরে ফেলে। অমনি সেই চিত্র সত্যি সত্যি সিংহ হয়ে দাঁড়িয়ে গেল এবং ভেল্কিবাজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। অতঃপর তাকে মাটিতে পুঁতে দিয়ে আবার কার্পেটে ফিলে এলো। ভেল্কিবাজকে মাটি থেকে বের করার জন্যে মুতাওয়াককিল অনেক অনুনয়-বিনয় করলো। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তার আবেদন কবুল করলেন না বরং বললেন: মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! এখন থেকে আর আপনি তাকে পুনরায় দেখতে পারবেন না। সে মজলিস থেকে বাহিরে চলে গেছে। সে মতেই সেই ভেল্কিবাজকে এরপরে কেউ দেখেনি। সুবহানাল্লাহ! (ইকতিরাসুল আনওয়ার-১৫৭)
(৬) একদিন এক ওলীমার দাওয়াতে রাজপরিবারের যুবকদেরকে দাওয়াত দেয়া হয়। তাদের সম্মানার্থে অনেক মানুষ সমবেত হয়। এই মজলিসে আদব ও শিষ্টাচারের যাবতীয় নিয়মনীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এক যুবকও মওজুদ ছিল। সে ঠাস ঠাস শব্দে কথা বলতো এবং হা হা করে হাসতো। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন মুখম-ল তার দিকে ফিরিয়ে বললেন: তুমি হাসি-তামাশায় মেতে আছো কেন? তুমি কি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে গেছো? মনে রেখ, তিন দিন পরে তুমি কবরবাসীদের মধ্যে শামিল হয়ে যাবে। একথা শুনে যুবক বেয়াদবী থেকে বিরত হল। আর আহারের পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়লো এবং তৃতীয় দিনেই মারা গেল। সুবহানাল্লাহ!
(৭) অন্য একদিন সামেরাবাসীদের ওখানে ওলীমার দাওয়াত ছিল। তাদের মধ্যেও এক বেয়াদব যুবক ছিল। সে মজলিসে অনর্থক কথাবার্তা বলতো এবং আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইজ্জতের প্রতিও খেয়াল করতো না। তিনি বললেন: এ লোকটি এই দাওয়াত থেকে কিছুই খেতে পারবে না। সত্ত্বরই জীবন তার জন্যে তিক্ত হয়ে যাবে। একটু পরেই খানা এলো। লোকটি খাওয়ার জন্যে হাতও ধৌত করলো। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে তার গোলাম কাঁদতে কাঁদতে ভিতরে প্রবেশ করলো এবং বললো: আপনার আম্মা বাড়ির উপরে কামরা থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। তাড়াতাড়ি সেখানে চলুন। লোকটি আহার না করেই উঠে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ! (শাওয়াহিদুন নুবুওওয়াত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)