খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আখাচ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- মহাসম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে দু খানা পবিত্র আয়াত শরীফ যিনি খলিক্ব, যিনি মালিক, যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দি উম্মত, জ্বিন ইনসানের জন্য বিশেষভাবে নাযিল করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যে দু-খানা আয়াত শরীফ সমস্ত জ্বিন-ইনসানের মুখস্থ রাখা উচিত, আয়ত্ত্বে রাখা উচিত, বুঝা উচিত সেই অনুযায়ী ফিকির করে নিজেদের আমলগুলি শুদ্ধ করা উচিত। তারমধ্যে প্রথম পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
সমস্ত মাখলুকাতের মধ্যে ইনসান হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত, তথা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আর তা এক মাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইনসানের মাঝে মুবারক তাশরীফ আনার কারণে। সুবহানাল্লাহ!
আর সমস্ত উম্মতের মধ্যে মুসলমানরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। এবং তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হওয়ার কারণে। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু মুসলমানরা কখনো ভেবে দেখেছেন কি কি জন্য এত সম্মান ইজ্জত পেয়েছেন? যা অন্য কোন নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনার উম্মতগণ পাননি বাকি অংশ পড়ুন...
আর যদি এরকমই হয়ে থাকে তাহলে উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারক, পবিত্র ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক কতটুকু? উনাদের বুযূর্গী- সম্মান মুবারক কতটুকু? উনাদের সাথে যারা বেয়াদবী করে তাহলে তারা কোথায় যাবে? জাহান্নাম ছাড়া তাদের কোন রাস্তা নেই। জাহান্নাম বললে কম হবে। এমন জাহান্নাম যেই জাহান্নামের আগুন মানুষ, জ্বীন-ইনসান কল্পনাই করতে পারবে না। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের পবিত্র খুছূছিয়াত মুবারক, পবিত্র বৈশিষ্ট মুবারক তাহলে কতটুকু? উনাদের সম্মানিত ফযীলত মুবারক তাহলে কতটুকু সেটা ফিকির করতে হবে। ফিকির না করলে বুঝা যাবে না। এজন্য বলা হয়েছে উনারাতো সর্বদিক দ বাকি অংশ পড়ুন...
মুনাযারা বা বাহাছ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে যে ইলিম, আক্বল, সমঝ ও হিকমত মুবারক হাদিয়া করেছেন তা বেমেছাল, তুলনাহীন। উনার মিছাল উনি নিজেই। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুল খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, ইমামুল মুত্তাক্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাকির আলাইহিস সালাম তিনি উনার ইলিম, আক্বল, সমঝ ও হিকমতের পরিচয় পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। উনার কপাল মুবারকে বুছা দিয়ে বলেছিলেন: “আপনার ইলিম, আক্বল, সমঝ ও হিকমত মুবারকই আপনাকে শত্রু বানিয়েছে।” অর্থ বাকি অংশ পড়ুন...
স্বর্ণ-রৌপ্য ও নগদ টাকার সম্মানিত যাকাত
সাধারণভাবে স্বর্ণ, রৌপ্য ও টাকা-পয়সা ইত্যাদি নিছাব পরিমাণ এক বছর কারো মালিকানাধীনে থাকলে, তার উপর যাকাত ফরয হয়।
স্বর্ণের সম্মানিত যাকাত : এ প্রসঙ্গে ফিকাহর কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
لَيْسَ فِىْ مَا دُوْنَ عِشْرِيْنَ مِثْقَالًا مِّنَ الذَّهَبِ صَدَقَةٌ فَاِذَا كَانَتْ عِشْرِيْنَ مِثْقَالًا وَ حَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا نِصْفُ مِثْقَالٍ.
অর্থ : “২০ মিছকাল অর্থাৎ সাড়ে ৭ তোলা কম পরিমাণ স্বর্ণের সম্মানিত যাকাত ওয়াজিব হয় না। অতএব, কারো কাছে যদি ২০ মিছকাল অর্থাৎ সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ এক বছর অধীনে থাকে তাহলে অর্ধ মিছকাল অর্থাৎ ৪০ ভাগের ১ বাকি অংশ পড়ুন...
মুহলিকাত مهلكات ওই সকল বদ খাছলত বা কুস্বভাবকে বলে, যে সকল বদ খাছলত মানুষকে বা মানুষের অন্তরকে ধ্বংস বা হালাক করে দেয়। এ প্রসঙ্গে জনৈক বুযুর্গ কবি তিনি বলেন-
خواہی کہ شوی دل تو چوں ائنہ+ بد چیز بروں کن از درون سینہ.
অর্থ : তুমি যদি চাও, তোমার অন্তর আয়নার মতো পরিষ্কার হোক, তবে তুমি তোমার অন্তর থেকে বদ স্বভাবসমূহ বের করে দাও।
এ সকল বদ খাছলত হচ্ছে-
১। কিবর (অহঙ্কার) ২। হাসাদ (হিংসা) ৩। বোগয (শত্রুতা) ৪। গদ্বব (রাগ) ৫। গীবত (পরনিন্দা) ৬। হিরছ (লোভ) ৭। কিযব (মিথ্যা) ৮। বোখল (কৃপণতা) ৯। রিয়া (লোক দেখানো) ১০। গুরুর (ধোঁকাবাজী) ১১। কিনা (দুশমনী) ১২। ত্বমা (হালাল-হারাম না দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তারা মনে করে থাকে যে, যারা বড় মসজিদের খতীব, বড় মাদরাসার মুহতামিম বা প্রিন্সিপাল অথবা ইসলামী দলের আমীর তারাই হক্কানী আলিম, যদিও তারা প্রকাশ্যে বহু হারাম কাজে লিপ্ত থাকুক না কেন। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ‘হক্বানী আলিম’ হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে- ঈমান বা আক্বীদা, অর্থাৎ উনার আক্বীদা পরিপূর্ণরূপে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী হতে হবে।
দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে- উনার ইল্মে ফিক্বাহ ও ইল্মে তাছাউফ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
তৃতীয় শর্ত হচ্ছে- উনার মধ্যে ইল্ম অনুযায়ী পূর্ণ আমল থাকতে হবে।
চতুর্থ শর্ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরিদানগণের মর্যাদা
শায়খ আবু মুহম্মদ আব্দুল লতিফ বিন শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- আমার আব্বাজান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন- শায়েখ হাম্মাদ দাব্বাস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে প্রতি রাত্রে মধু মক্ষিকার শব্দের মত এক প্রকার গুঞ্জন শুনা যেত। সায়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই সময় উনার কাছে মুবারক ছোহবতে আসা-যাওয়া করতেন। লোকেরা উনার কাছে আরয করলেন, তিনি যেন শায়েখ হামাদ দাব্বাস রহমতুল্লাহি আল বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোন অবস্থাতেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারকে চূ-চেরা কিল করা যাবে না। উনাদেরকে কোন কষ্ট দেয়া যাবে না। উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারকের বিপরীত বললেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনারা কষ্ট পান। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে কত পবিত্র শান-মান উনাদের, কত পবিত্র ফযীলত মুবারক, কত বৈশিষ্ট মুবারক উনাদের? তাহলে যারা এলোমেলো বক্তব্য পেশ করে যাচ্ছে এদের ফয়সালাটা কি? সেটাই বলা বাকি অংশ পড়ুন...
(২য় অংশ)
জাওয়াব: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারী উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা অর্থাৎ তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলে বাকি অংশ পড়ুন...
চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি ও সুলত্বানুল হিন্দ খাজা মুঈনুদ্দীন চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি:
পবিত্র হাদীছ শরীফের উপরোক্ত বর্ণনা ও লোগাতী তাহ্ক্বীক্বের দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের টুপি মুবারক ছিল গোল, সাদা যা চতুর্দিক থেকে মাথার সাথে লেগে থাকতো, তবে উক্ত গোল টুপি মুবারক কি ধরনের ছিল, তার সুন্দর ও সুস্পষ্ট বর্ণনা ও ব্যাখ্যা দিয়েছেন- চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, মুহইউস সুন্ বাকি অংশ পড়ুন...












