كرامة (কারামত) শব্দের অর্থ: সম্মান, মর্যাদা, মহত্ত¡, অলৌকিক ঘটনা। সাধারণ স্বভাবের বিপরীত যে সকল ঘটনা হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দ্বারা প্রকাশিত হয় তাকেই কারামত বা অলৌকিক ঘটনা বলে। কারামত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওলিয়ায়ে কিরাম উনার মর্যাদা, মর্তবার বহিঃপ্রকাশ। কাফির, মুশরিক, ফাসিক-ফুজ্জারদের দ্বারাও স্বভাববিরোধী বা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেতে পারে। আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের দ্বারাও এরূপ ঘটনা প্রকাশ পেতে পারে। তবে তাকে কারামত বলা যাবে না। তাকে বলা হয়, ইস্তিদরাজ বা ভেল্কিবাজি। আর অপ্রাপ্তদের দ্বারা প্রকাশিত অলৌক বাকি অংশ পড়ুন...
ইবলিস ছয় লক্ষ বছর ইবাদত করেছে। শুধু ইবাদ করেছে ছয় লক্ষ বছর। এরসাথে সে কিন্তু তা’লীম-তালক্বীন করেছে, দরস-তাদরীস করেছে। কিন্তু এরপরও সে গোমরাহ হয়ে গেল, জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ! সে বলেছিল,
أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ
আমি উনার থেকে শ্রেষ্ঠ। একটা কথায় চির মালউন হয়ে গেল।
وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَىٰ يَوْمِ الدِّينِ
নিশ্চয়ই তোর প্রতি আমার লা’নত ক্বিয়ামত পর্যন্ত তথা অনন্তকাল। এ কথা বলার কারণে অনন্তকালের জন্য সে মালউন হয়ে গেল। সে শ্রেষ্ঠ দাবি করলো। নাউযুবিল্লাহ! যেই শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা কারো পক্ষে কখ্বানো সম্ভব না। সে দাবি করার পর জাহান্নামী হয়ে গেল। বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: কোন পিতা-মাতা যদি ওয়ারিশ সূত্রে সম্পদ কোন সন্তানকে কম দেয় আর কোন সন্তানকে বেশি দেয়। এটা কি পিতা-মাতার জন্য সঠিক হবে?
জাওয়াব: সন্তান অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে পিতা-মাতা উনাদের (স্থাবর-অস্থাবর) সম্পত্তিতে কে কতটুকু অংশ পাবে তা স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يُوصِيْكُمُ اللَّهُ فِيْ أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে আদেশ মুবারক করেন, তোমাদের সন্তানদের (ওয়ারিশি স্বত্ব পাওয়ার) ব্যাপারে যে, পুত্রের অংশ দু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা বনী ইসরাঈল শরীফ উনার ১২নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে চন্দ্র বছরের পাশাপাশি ও সৌর বছরের কথাও উল্লেখ করেছেন। তাই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, মুসলমান উনাদের চন্দ্র বছরের পাশাপাশি সৌর সন ব্যবহারেরও প্রয়োজন রয়েছে।
মুসলমান উনাদের যে সমস্ত ক্ষেত্রে সৌরসনের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে যেমন-
১. প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযসহ অন্যান্য নামায উনাদের ওয়াক্ত নির্ণয়।
২. সাহরী-ইফতারের সময় নির্ণয়।
৩. সম্মানিত হজ্জ উনার বেশ কিছু রোকন আদায়ের সময় নির্ণয়।
একটি সৌর সন অনুযায়ী সে বিষয়গুলো উ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مقرب وَلَا نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার এমন দায়েমীভাবে এমন পবিত্র নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোন নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সংকলন হয় না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ পবিত্র নিছবত মুবারক সে হাছীল করবে। কিন্তু সে সমকক্ষতা অর্জন করতে পারবে না কোন দিন। এটা কিন্তু স্পষ্ট বলে দেয়া হ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, উনার সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যাবে, অথচ তোমরা তা অনুধাবন করতে পারবেনা। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ, আয়াত শরী বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: এলাকাবাসীর দায়িত্ব হচ্ছে মসজিদ ভাঙ্গার উক্ত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করা। এটা প্রত্যেক মুছল্লী ও ঈমানদারের জন্য ফরযে আইন। এক্ষেত্রে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت ابى سعيدن الخدرى رضى الله تعالى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من را منكم منكرا فليغيره بيده فان لـم يستطع فبلسانه فان لـم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان. وفى رواية ليس وراء ذلك من الايمان حبة خردل.
অর্থ: হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্ বাকি অংশ পড়ুন...
ক) সংবাদ প্রকাশনা:
সংবাদ প্রকাশনার ক্ষেত্রে রাজারবাগ শরীফ উনার মুখপত্র হচ্ছেন- ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান শরীফ’।
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ হচ্ছেন প্রথম পত্রিকা, যা মাসিক হিসেবে সম্মানিত রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত হয়। মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৪১১ হিজরী সনের জিলক্বদ-জিলহজ্জ মাসে, ১৩৫৯ শামসী সনের আউওয়াল মাসে (১৩৯৮ ফসলী সনের জৈষ্ঠ-আষাঢ়, ১৯৯১ সনের জুন) এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলছে। সুবহানাল্লাহ!
মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে হাতেগোনা যে কয়ট বাকি অংশ পড়ুন...
عن حضرت ابن عباس رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال الشيخ فى اهله كالنبى فى امته وفى رواية اخرى- الشيخ لقومه كالنبى فى امته- وفى جمع الجوامع- الشيخ فى بيته مثل النبى فى قومه- (الفردوس للديلمى والمقاصد الحسنة وتنزية الشريعة والميزان والجامع الصغير للسيوطى والدرر المنتشرة للسيوطى وغيرها.
তরজমা: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আহাল অর্থাৎ মুরীদের কাছে সেরূপ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: (তারিখ জানা যায়নি)
বিছাল শরীফ: ৩ হিজরী (৬২৫ খৃ)
----------------------------------------
একজন আনছারী ছাহাবী, নাম আনাস, পিতা ফাদ্বালা বিন ‘আদী। উনার পিতা হযরত ফাদ্বালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং পুত্র হযরত মুহম্মদ বিন আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও ছাহাবী ছিলেন। পুত্র হযরত মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং নাতি হযরত ইউনুস ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উভয়ই উনার নিকট হতে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন।
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পুত্র হযরত মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন: আমার বিলাদত লাভের দু’ সপ্তাহ প বাকি অংশ পড়ুন...












