নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবিয়ীন, তাবি-তাবিয়ীন, ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কেউই অসুস্থ অবস্থাতেও কখনো চেয়ারে বসে নামায পড়েছেন এরূপ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। অথচ পবিত্র নামাযসহ প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে উত্তম আদর্শ মুবারক রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: অবশ্যই তোম বাকি অংশ পড়ুন...
পশুর যাকাত আদায় না করার পরিণাম
পশুর সম্মানিত যাকাত আদায় না করলে সে পশুই তাকে আযাব বা শাস্তি দিবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى ذَرٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهٗ اِبِلٌ اَوْ بَقَرٌ اَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا اِلَّا اُتِـىَ بِـهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ اَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَاَسْـمَنَهٗ تَطَؤُهٗ بِاَخْفَافِهَا وَتَنْطَحُهٗ بِقُرُوْنِـهَا كُلَّمَا جَازَتْ اُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ اُوْلَاهَا حَتّٰى يُقْضٰى بَيْنَ النَّاسِ.
অর্থ : “হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী আক্বীদা এবং তার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম- ৯
যেমন হাদীছ শরীফে রয়েছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْعَبْدَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ, وَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ
হাদীছ শরীফে রয়েছে, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে দেখ, বান্দা দু’রকম রয়েছে। একজন বান্দা তাকে মানুষ দেখতে পাচ্ছে, সে লোকটা জাহান্নামীদের আমল করতেছে। অর্থাৎ আহলে ন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تُـحِلُّوْا شَعَآئِرَ اللهِ
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত শি‘য়ার তথা নির্দশন মুবারকসমূহ উনাদেরকে অবমাননা করো না অর্থাৎ সম্মান করো।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يُّعَظِّمْ شَعَآئِرَ اللهِ فَاِنَّـهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوْبِ.
অর্থ: “আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত শি‘য়ার তথা নিদর্শন মুবারকসমূহ উনাদেরকে তা’যীম করলো, সম্মান করলো, নিশ্চয়ই এটা তার অন্তরের তাক্বওয়ার কারণ।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা হজ্জ শ বাকি অংশ পড়ুন...
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, খাজায়ে খাজেগাঁ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “প্রকৃত তাওয়াক্কুলকারী লোক তিনি, যিনি কারো নিকট সাহায্য চান না এবং দুঃখ, কষ্টের সময় অভিযোগ করেও বেড়ান না। তিনি আরো বলেন, তাওয়াক্কুলকারীগণের উপর মুহব্বতের তাজাল্লী বর্ষিত হওয়াকালীন এমন এক হাল যাহির হয় যখন তাকে তলোয়ার দ্বারা টুকরা টুকরা করে ফেললে কিংবা কোনো প্রকার দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণা প্রদান করা হলেও তার কোনো খবর থাকে না।” (তাযকিরাতুল আউলিয়া-৪/২৩২)
কুতুবুল আলম, ফরীদু যামানিহী, শায়খুল উল বাকি অংশ পড়ুন...
মায়ের কোলে হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি-২
যে বয়সের শিশু-সন্তানরা খেলা-ধুলায় মত্ত থাকে সে বয়স মুবারকে গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ছিলেন। তিনি ছিলেন ধীরস্থির, অচঞ্চল, গাম্ভীর্যপূর্ণ থাকতেন যেন একজন পূর্ণ বয়সের লোক। দুই বছর বয়স হতে তিন বছর পর্যন্ত তিনি উনার বাড়ীর পাশে পাথরের উপর বসে কখনো যিকির করতেন। কখনো মুরাকাবা (ধ্যানমগ্ন) থাকতেন। উনার সমবয়সীরা কখনো উনাকে খেলার সাথী বানাতে পারতো না। তিনি তাদেরকে অতি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতেন এসব আমার ভাল লাগে না।
তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় স্বীয় সম্মানিত প বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময়ে ইহুদী ফান্ড দ্বারা পরিচালিত ওহাবী, সালাফী, লা-মাযহাবী ফেরকার লোকেরা সমাজে ইচ্ছামত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে জাল, মওজু, দ্বয়ীফ বলে অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের মতবাদের বিপক্ষে মনে হলেই সেটাকে তারা জাল বলছে। আর এ জন্য তারা উছুলে হাদীছ শরীফ উনার বিভিন্ন অপব্যাখ্যার আশ্রয়ও গ্রহন করতে কার্পণ্য করছে না। শত শত বছর ধরে উম্মত যে হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল করে আসছে কেউ কোন আপত্তি করে নাই অথচ হাল যামানায় এসব ওহাবীরা হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে জাল! জাল! বলে চিৎকার শুরু করেছে।
তাদের ধারণা পবিত্র বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ ছাড়া পবিত্র হ বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (৮)
তার কিছুদিন পর গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এক খলীফা, তিনি এলাকায় ঘোষণা করলেন যে, ‘তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রকাশ্যে দেখেন। যখন একথা বলা হলো, (তিনি গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খলীফা) তখন মানুষতো সন্দেহের মধ্যে পড়ে গেলো, কি ব্যাপার? যিনি গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, মানুষ আল্লাহ পাক উনাকে যমীনে দেখবে না। অথচ এ লোক বলতেছেন, তিনি নাকি মহান আ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী, জলীলুল ক্বদর রসূল, যিনি উলুল আযম মিনার রসূল, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, তিনি বর্ণনা করেছেন যে, একস্থানে তিনি একবার রাস্তা দিয়ে কোথাও হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখলেন তিনি দুনিয়াকে। তার সূরত হচ্ছে- মহিলার সূরত। তার প্রতি লক্ষ্য করে দেখলেন যে, তার একটা হাত সামনে, একটা হাত পিছনে। সামনেরটা খুব রঙ্গীন, চাকচিক্যময়। তিনি দুনিয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “হে দুনিয়া! তোমার এই সূরত কেন? তোমার একটা হাত সামনে, একটা হাত পিছনে। তোমার পিছনের হাতটা আমাকে দেখাও।” যখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন একথা, তখ বাকি অংশ পড়ুন...
বিদয়াতের প্রকারভেদ
হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পবিত্র শরীয়ত উনার হুকুম অনুযায়ী বিদয়াতকে প্রথমতঃ দু’ভাগে বিভক্ত করেছেন-
১. বিদয়াতে ই’তিক্বাদী, অর্থাৎ আক্বীদা বা বিশ্বাসগত বিদয়াত। ২. বিদয়াতে আ’মালী, অর্থাৎ কর্মগত বিদয়াত।
(১) বিদয়াতে ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত বিদয়াত হলো- যে সমস্ত আক্বীদা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মূলনীতির বহির্ভূত। মূলতঃ এ আক্বীদাগত বিদয়াতের সবই হারামের পর্যায়ভুক্ত এবং অবশ্যই পরিত্যাজ্য। যেমন- খারিজী, মু’তাযিলা, জাবারিয়া, ক্বদরিয়া, শিয়া ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বার আবির্ভ বাকি অংশ পড়ুন...












