শাইখুশ শুয়ূখ হযরত শাকীক বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র হজ্জের ছফর কালে আমি কাদেসিয়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমি একজন সুশ্রী ও দীর্ঘদেহী যুবককে দেখলাম। উনার পরনে ছিল শাল। কাঁধে পাগড়ির প্রান্ত এবং পদযুগলে সেন্ডেল মুবারক। তিনি অনেক ভিড়ের মধ্য থেকে বের হয়ে একাকিই এক জায়গায় বসে গেলেন। আমি ভাবলাম, এই যুবক ছূফী শ্রেণীভুক্ত মনে হয়। সম্ভবতঃ তিনি এ ছফরে মুসলমানদের উপর বোঝা হয়ে যেতে চান। কাজেই উনাকে এ থেকে বিরত রাখার জন্যে বলা উচিত।
আমি উনার কাছে যেতেই তিনি বললেন, হে শাকীক! ধারণা করা থেকে বেঁচে থাক। কে বাকি অংশ পড়ুন...
বাইতুল-মাল
বাইতুল-মাল বা ট্রেজারি (ঞৎবধংঁৎু) এক বিশাল দফতর যা খিলাফত ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে সকল অর্থনৈতিক কর্মকা-ের আনজাম দেয়ার সাথে জড়িত। মুসলমান উনাদের সকল চাহিদা পূরণ সহ খিলাফতের সমস্ত আয় ও ব্যয়ের জন্যও দায়িত্বশীল। মাসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, ভূমি, দালানকোঠা ইত্যাদি তৈরি সহ সার্বিক কাজের আনজাম দেয়া হত বাইতুল মাল থেকে।
বাইতুল মাল প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় নিম্নোক্ত আয়াত শরীফখানি নাযিল হবার পর:
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উহুদের ময়দানে হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন- “হে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আসুন আমরা উভয়ে দোয়া করি। আমরা প্রত্যেকেই স্বীয় বাসনা মুতাবেক দোয়া করবো এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি আমীন বলবো।” অতঃপর উনারা উভয়ে ময়দানের এক কোণে গিয়ে দোয়া-মুনাজাত শুরু করলেন। সর্ব প্রথমে হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু দোয়া শুরু করে বলেন- “আয় মহান আল্লাহ পাক! আগামীকাল জিহাদের ময়দানে আমাকে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী কাফিরের সম্মুখীন করুন। সে ব্যক্তি যেন প্রচ-ভাব বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنِ اشْتَكٰى مِنْكُمْ شَيْئًا أَوِ اشْتَكَاهُ أَخٌ لَّه فَلْيَقُلْ رَبُّنَا اللهُ الَّذِيْ فِـي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اسْـمُكَ أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالأَرْضِ كَمَا رَحْـمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحْـمَتَكَ فِي الْأَرْضِ اِغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْـمَةً مِّنْ رَّحْـمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى هٰذَا الْوَجَعِ فَيَبْرَأُ
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দুই রাকায়াত তাহিয়্যাতুল ওযূ নামায উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ صَلٰوةِ تَـحِيَّةِ الْوَضُوْءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰـى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ. اَللهُ اَكْبَرُ.
পবিত্র দুই দু’রাকায়াত দুখুলুল মসজিদ নামায উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ صَلٰوةِ دُخُوْلِ الْـمَسْجِدِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰـى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ. اَللهُ اَكْبَرُ.
মাসয়ালা : পবিত্র তাহিয়্যাতুল ওযূ ও পবিত্র দুখূলুল মসজিদ নামায শুধু পবিত্র জুমুআ’ উনার দিনের জন্যই খাছ নয়। বরং যে কোন দিন বা যে কোন সময় (মাকরূহ ওয়াক্ত বাদ দিয়ে) ও বাকি অংশ পড়ুন...
একজন মুসলমান নর এবং নারী যদি খালিছ মুসলমান থাকতে চায়, ঈমানদার থাকতে চায়, মু’মিন হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে ফরয। যার আক্বীদা শুদ্ধ নেই সে মু’মিন মুসলমান হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا آمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُولِهٖ وَالْكِتَابِ الَّذِيْ أَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيْدًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে ই বাকি অংশ পড়ুন...
(গত ২৫ রবীউছ ছানী শরীফের পর)
সারাবিশে^ একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে, এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীনসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কোথাও কেউ এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”। কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয় ও অস্তস্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথা বললেও তারও ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে কোন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হাত ধরে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইয়াওমুস সাবত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আহাদ পর্বত সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল ইছনাইন গাছ সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়গুলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আরবিয়া আলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল খ¦মীস সব ধরনের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল জুমু‘আ আছরের পর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে স বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (১০)
কাজেই ঈমান বাড়বে না, কমবে না। ঈমানের কুওওয়াত বাড়বে, কমবে। সে অনুযায়ী আমল করে যেতে হবে এবং ঈমানের প্রত্যেকটা বিষয় রয়েছে। শাখা-প্রশাখা প্রত্যেকটার মধ্যে যথাযথ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। যদি কোনটার মধ্যে সে বিশ্বাস স্থাপন না করে, ত্রুটি করে, তাহলে সেটার মধ্যে তার ঈমান ঘাটতি হবে। অর্থাৎ সে মুসলমান, মু’মিন থাকতে পারবে না। যত আমলই তার থাকুক না কেন, যত আখলাক তার থাকুক না কেন, সে ঈমানদার হতে পারবে না। যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে বলেন-
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষের আশা-আকাঙ্খা কতটুকু? মানুষ কতটুকু চায়? মানুষ কতটুকু মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে আরজু করে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, অনেক আগেকার ঘটনা। একলোক, জিনিসপত্রের দাম যখন খুব কম ছিল, সে বাজারে গিয়েছে, কিছু মাল-সামানা খরীদ করবে। সে জরুরত মনে করে বাজার থেকে এক কলসী তেল খরীদ করলো আট আনা দিয়ে। খরীদ করে সেই লোক মনে করলো যে, এক কলসী তেল তো হাতে করে আনা কঠিন। একটা মিন্তী বা কুলির দরকার রয়েছে। সে মিন্তী বা কুলি তালাশ করতে লাগল। তালাশ করতে করতে একটা মিন্তী পাওয়া গেল। তাকে সে জিজ্ঞেস করলো যে, তুমি আমার এই তেলের কলসীটা আমার বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দিতে পারবে বাকি অংশ পড়ুন...












