দাড়ি রাখা সুন্নত না ফরয?
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهٗ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করে বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গোঁফ ছোট করার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ দিয়েছেন।
অতএব, উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাও দাড়ি রাখা ফরয-ওয়াজিব প্রমা বাকি অংশ পড়ুন...
ইবাদত বন্দেগী:
হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, দুনিয়াতে রয়েছে চিন্তা ও দুঃখ, আর আখিরাতে রয়েছে দোযখ আর হিসাব, সুতরাং শান্তি ও খুশি কোথায়? আয় বারে ইলাহী! আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমার সৃষ্টিতে আমার কোন ইখতিয়ার রাখেননি। আর আমাকে দুনিয়ার বালা মুছিবত দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। অতঃপর আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন সৎ কাজে দৃঢ় থাকার জন্য। আমি কিভাবে দৃঢ় থাকব, যদি আপনি দৃঢ় না রাখেন? আয় বারে ইলাহী! নিশ্চয়ই আপনি জানেন, আমাকে যদি সারা দুনিয়াপূর্ণ প্রাচুর্য দেয়া হয়, আর আপনি যদি তা আমার নিকট চান, আমি অবশ্যই তা আপনাকে দিয়ে দিবো। সুতরা বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং পর্দা তরক করা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَدَّثَنَا حَضْرَتِ الْأَعْمَشُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مُسْلِمٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كُنَّا مَعَ حَضْرَتْ مَسْرُوْقٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِيْ دَارِ حَضْرَتْ يَسَارِ بْنِ نُمَيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَرَأٰى فِيْ صُفَّتِهٖ تَمَاثِيْلَ فَقَالَ سَمِعْتُ حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: اِنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِن বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে পবিত্র কুরবানী দেয়ার হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই।
জাওয়াব: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلِيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّى بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَاِنْى اَنْ اُضَحِّى عَنْهُ فَانَا اُضَحِّى عَنْهُ.
অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দে বাকি অংশ পড়ুন...
ইবাদত বন্দেগী:
বর্ণিত আছে যে, একবার (ওয়াদী সিবা’ অর্থাৎ বন্যজন্তুর উপত্যকা) নামে একটি উপত্যকায় হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অবতরণ করেন। উপত্যকার অন্য এক পাশে হযরত হামামা রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে একজন হাবশী আবিদ (দরবেশ) ছিলেন। এক পাশে হযরত আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি নামায পড়তেন, অন্য পাশে হযরত হামামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও নামায পড়তেন। এইভাবে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত্র উনারা সেখানে ছিলেন, কিন্তু একজন অপরের নিকট যেতেন না। উনারা এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শুধু ফরয নামাযের সময় জামায়াতে নামায পড়ার জন্য একত্র হত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হাত ধরে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইয়াওমুস সাবত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আহাদ পর্বত সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল ইছনাইন গাছ সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়গুলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আরবিয়া আলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল খ্বমীস সব ধরনের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল জুমু‘আ আছরের পর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
যারা অনুগত বান্দা, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ বান্দা। অনুগত কাকে বলে? এ প্রসঙ্গে আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যখন খলীফা হয়েছেন, উনার মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন- হযরত হোর ইবনে কায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত হোর ইবনে কায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন খুব বড় আলেম। উনার এক চাচা ওয়াইন ইবনে হেসেন, যিনি এসেছেন উনার ভাতিজা হোর ইবনে কায়েসের কাছে। এসে বললেন, হে হোর ইবনে কায়েস! তুমি এক কাজ করো, আমাকে তোমাদের যিনি খল বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
নাম মুবারক: হযরত আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি, পিতার নাম: আবদুল্লাহ বিন আবদিল ক্বায়েস (পিতার নাম বাদ দিয়ে হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি এই উপনামে তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন), বনু তামীম গোত্রের আল-আনবার শাখার লোক, বছরার অধিবাসী। শীর্ষ স্থানীয় ওলীআল্লাহ, যাহিদ, প্রথম শ্রেণীর তাবেয়ীদের অন্যতম। তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের ছোহবত মুবারক পেয়েছেন এবং উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। উনার নিকট থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হ বাকি অংশ পড়ুন...












