পবিত্র নাম মুবারক ও পরিচিতি মুবারক:
ইমামুল আউলিয়া, হাবীবে ওয়া মাহবুবে রহমান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আহলু বাইত শরীফ উনাদের ৮ম ইমাম। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক নাম হযরত আলী আলাইহিস সালাম। কুনিয়াত আবুল হাসান। রিদ্বা উনার অন্যতম লক্বব মুবারক বা উপাধি। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, আমি আমার কুনিয়াত মুবারক হযরত ইমামুছ ছামিন আলাইহিস সালাম উনাকে দিয়েছি। উনার মুবারক নাম উনার পিতা ‘মামুনুর রিদ্বা’ রেখেছিলেন এবং উনাক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُوْنَ الْكَافِرِيْنَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِيْنَ ۖ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللهِ فِيْ شَيْءٍ
অর্থ: ঈমানদারগণ যেন ঈমানদার ব্যতীত অন্য কোন কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এ কাজ করবে তাদের সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার কোন সম্পর্ক থাকবে না।
(পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَا اِلٰهَ الَّا هُوَ ۖ عَالِـمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْـمٰنُ الرَّحِيمُ. هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَا اِلٰهَ الَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْـجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ. هُوَ اللهُ الْـخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْـمَاءُ الْـحُسْنٰىۚ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন যে, তিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ বা মা’বূদ নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাতœশীল। তারা যাকে অংশীদার সাব্যস্ত করে বাকি অংশ পড়ুন...
রিয়াদ্বাত-মাশাক্কাত:
মুজাদ্দিদে যামান, কুতুবুল মাশায়িখ, সুলত্বানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে উনার নিদের্শিত অযীফা শরীফ প্রতিদিন যথানিয়মে আদায় করা। দিন বা রাতের যে কোন সময়ের অযীফাই হোক না কেন, প্রথমে অযীফা আদায় করবে, পরে সাংসারিক অন্যান্য কাজে মনোযোগী হবে।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
تَارِكُ الْوِرْدِ مَلْعُوْنٌ
অর্থ: “অযীফা তরককারী লা’নতগ্রস্ত বা অভিশপ্ত।”
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহম বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত মুহম্মদ ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত- হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলা হলো, অমুক খুব ছূরত তরুণী বেহেশতে আপনার আহলিয়া হবেন। ইহা শুনে তিনি উক্ত তরুণীর অনুসন্ধানে বের হলেন। অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পেলেন, সেই তরুণী এক অসভ্য বেদুঈন পরিবারের বাঁদী, তাদের মেষ চরান। যখন হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেখানে পৌঁছলেন, তারা সেই তরুণীকে গালি-গালাজ করছিল, তার প্রতি রুক্ষ ব্যবহার করছিল, অতঃপর তার দিকে দু’টি রুটি ছুঁড়ে মারল। অতঃপর সেই বাঁদী রুটি দু’টি নিয়ে উনা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর কোন কোন অংশ খাওয়া নাজায়িয?
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানী বা হালাল পশুর ৮টি অংশ খাওয়া যাবে না। (১) দমে মাছফূহা বা প্রবাহিত রক্ত যা হারাম, (২) গুটলী বা গোদুদ খাওয়াও হারাম, (৩) অ-কোষ, (৪) মূত্রথলী, (৫) পিত্ত, (৬) ছোট ইস্তিঞ্জার রাস্তা বা লিঙ্গ, (৭) বড় ইস্তিঞ্জার রাস্তা বা গুহ্যদ্বার, এ ৭টি অংশ খাওয়া মাকরূহ তাহরীমী এবং (৮) শিরদাড়ার ভিতরের মগজ, এটা কেউ মাকরূহ তাহরীমী, আবার কেউ মাকরূহ তানযীহী বলেছেন। (শামী, মাতালিবুল মু’মিনীন, উমদাতুল কালাম, কিতাব- শাইখুল ইসলাম)
সুওয়াল: আনজুমানে মুফিদুল ইসলাম তথাকথিত জণকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছুর খলিক্ব-মালিক, রব। তিনি একক, তিনি অনন্য, তিনি নিরপেক্ষ, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সকলেই উনার মুখাপেক্ষী। তিনি চিরজাগরূগ, চির বিদ্যমান। তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেননি এবং কাউকে জন্মও দেননি। উনার কেউ সমকক্ষ ও শরীক নেই। তিনি অনাদি, অনন্ত। তিনি চিরকাল আছেন এবং চিরকাল থাকবেন। তিনি কালের গ-িভুক্ত নন। তিনি সর্বশক্তিমান ও পরাক্রমশীল। তিনি দয়াশীল ও করুণাময়। তিনি যা ইচ্ছা করেন, তাই করেন। জগতের সবকিছুই উনার ইচ্ছা মুবারকেই হচ্ছে। তিনি সবকিছুই জানেন, শুনেন ও দেখেন।
ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর পরমাণু, গুপ্ত বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কোন জিহাদে লোকদেরকে সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করতেন, তিনি তাদের সাথে শর্ত করে নিতেন। তিনি তাদের খিদমত করবেন, তিনিই নামাযের আযান দিবেন এবং উনার সামর্থ্য অনুসারে তিনিই তাদের জন্য খরচ করবেন, এসবে সঙ্গীদের কেউ কোন আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
হযরত ছাবা বিন আবী আবদা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনার গোত্রের একজন সত্যবাদী লোক উনাকে বলেছেন, আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: আক্বীক্বার পশুর গোশতের কি হুকুম?
জাওয়াব: অনেকে বলে থাকে, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হয়, তার গোশত পিতা-মাতা খেতে পারবে না। মূলত তাদের একথা শরীয়ত সম্মত নয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো, পবিত্র আক্বীকা উনার পশুর গোশতের হুকুম পবিত্র কুরবানী উনার পশুর গোশতের হুকুমের মতো। কাজেই, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হবে তার গোশত পিতা-মাতাসহ সকলেই খেতে পারবে। এটাই শরীয়তসম্মত মাসয়ালা বা ফতওয়া। (সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর দ্বারা কোন প্রকার ফায়দা লাভ করা যাবে কিনা?
জাওয়াব: সাধারণত পবিত্র কুরবানী উ বাকি অংশ পড়ুন...












