ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৪৬)
, ১৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ঠিক ঐ রাত্রে উনি স্বপ্ন দেখেন। উনাকে বলা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে, হে হাতেম আসেম, আপনি অস্থির হবেন না। আপনার যেমন ফায়সালা হয়েছে আপনার বাড়ীরও ফায়সালা হয়ে যাবে।
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
অর্থ : যে আমার উপর ভরসা করে আমি তার সমস্ত ফায়সালা করে দেই। সুবহানাল্লাহ্!
তখন হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হযরত শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। হুযূর! আমি যখন এ আয়াত শরীফ পেয়ে গেলাম, মহান আল্লাহ পাক উনার উপর হাক্বীক্বী ভরসা করলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সমস্ত কাজগুলি যথাযথভাবে সমাধা, ফায়সালা করে দিতে লাগলেন। কারণ মহান আল্লাহ পাক তিনি তো কুদরতওয়ালা।
যখন হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এই আটটি মাসয়ালা বললেন।
তখন শাক্বীক্ব বল্খী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ্ শরীয়ত-ওয়াত্বরীক্বত ছিলেন। যিনি তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, কুরআন শরীফ সবই পড়েছেন; উনি বললেন, হে হাতেম আসেম, আমার জীবন কামিয়াব হয়েছে, আমি ৩৩ বৎসর যাবত তোমাকে তালীম দিচ্ছি। ৩৩ বৎসর যাবত আমি তোমাকে তালিম দিচ্ছি। তুমি সত্য কথাই বলেছ। যে আটটি মাসয়ালা শিখেছ, সত্যিই আমি তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, কুরআন শরীফ পড়েছি। আমি দেখেছি সমস্ত আসমানী কিতাবের মূল হলো এই আটটি মাসয়ালা সুবহানাল্লাহ!
এই আটটি মাসয়ালার উপর যে কায়েম থাকবে, সে সমস্ত আসমানী কিতাবের সব কিছুর উপর যেন সে কায়েম রইলো। তথা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস সব কিছুর উপর কায়েম থাকবে। কারণ পূর্ববর্তী সমস্ত আসমানী কিতাবের মূল হলো- কুরআন শরীফ। তার ব্যাখ্যা হাদীছ শরীফ তার ব্যাখ্যা ইজমা এবং ক্বিয়াস।
কাজেই যে ব্যক্তি এই আটটি মাসয়ালার উপর কায়েম রইলো, সে সম্পূর্ণ কুরআন এবং সুন্নাহর উপর কায়েম হয়ে গেল সুবহানাল্লাহ!
এখন, ফিকির করেন, আমাদের প্রত্যেককেই প্রতিটি অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হতে হবে। কোন অবস্থায়ই এর খেলাফ করা যাবেনা। এটা ব্যক্তিগত বলেন, পারিবারিক বলেন, সামাজিক বলেন, জাতীয় বলেন, আর আন্তর্জাতিক বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই।
কিন্তু আমরা কতটুকু ফিকির করি, কতটুকু চিন্তা করি, সেটাই ফিকিরের বিষয়।
এজন্যই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল যখন বলেছিলেন,
لا يؤمن احدكم حتى اكون احب اليه من والده ورلده والناس اجمعين.
অর্থ : তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিনে কামেল হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের সমস্ত কিছু থেকে, ছেলেমেয়ে স্ত্রী-পুত্র, এমনকি নিজের জান থেকেও আমাকে বেশী মহব্বত না করবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৪)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পবিত্র নামায ক্বছর হওয়ার জন্য সফরের দূরত্বের সঠিক পরিমাপ মাইল হিসেবে সফরের দূরত্ব
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৫)
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)