১৪৫৮ খৃ: হযরত আক শামসুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রুহানীভাবে হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাজার শরীফের সন্ধান পান। মাজার শরীফের সন্ধান পাওয়ার পরেই উনার মাজার শরীফের পাশেই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
১৮ শতকের প্রথম দিকে, সুলতান তৃতীয় আহমদ এই ঐতিহাসিক মসজিদের দুটি মিনার পুনর্নিমাণ করেন। ১৮ শতকের শেষের দিকে মসজিদটির কিছু অংশ সংস্কারের অভাব দেখা যায়, সম্ভবত ভূমিকম্পের মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৭৯৮ খৃ: সুলতান তৃতীয় সেলিম মিনারগুলির কাঠামোগত পরিবর্তন করে বারোক শৈলীতে পুনর্নিমাণে বাকি অংশ পড়ুন...
হিজরী ৫২ সনে কনষ্টান্টিনোপোলের যুদ্ধে সম্মুখ সমরে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তিনি যখন শাহাদাতের তামান্নায় অপেক্ষমান, একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন “হে আবু আইয়ূব (রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)! জীবনের শেষ ইচ্ছা আমাদের বলুন, আমরা তা যথাসম্ভব বাস্তবায়ন করব। তখন তিনি ব্যক্ত করলেন : আপনারা আমার দেহ মুবারক আমার ঘোড়ায় উঠিয়ে দিন এবং যতদূর সম্ভব কনষ্টান্টিনোপোলের শেষ সীমানায় নিয়ে যান, যাতে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি: “মহান আল্লাহ পাক! আমি যুদ্ধের ময়দান থেকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ইয়ূপ জেলায় এবং গোল্ডেন হর্ন শহরের কাছে অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নামে নামকরণ করা হয়েছে যা স্থানীয় ভাষায় “ইয়ূপ বা আইয়ূব সুলতান মসজিদ” নামেই বেশি পরিচিত।
এই ঐতিহাসিক মসজিদটি উসমানীয় সালতানাত কর্তৃক ইস্তাম্বুলে নির্মিত প্রথম মসজিদ। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মসজিদটি ১৪৫৮ খৃ: নির্মিত হয়। ইসলামী ও ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মিত। মসজিদে মিনারের সংখ্যা ২ বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের মিনার:
মসজিদের ২টি মিনার ৫ তলা বিশিষ্ট এবং বেলকনিযুক্ত। মিনারগুলোর গড় উচ্চতা প্রায় ১৩০ ফুট। মিনারের সবচেয়ে উঁচুতে উঠতে হলে ১৩০টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। মিনারগুলোর উঁচুতে উঠলে পুরো দিল্লীকে এক নজরে উপভোগ করা যায়। মসজিদের মেঝেগুলো কালো এবং সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত। মসজিদের অভ্যন্তরের প্রাচীরে শোভা পাচ্ছে ক্যালিগ্রাফি, ফুলের নকশা, ফারসি শিলালিপি, ইসলামি ধাঁচের নকশা। মসজিদের ভেতর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত স্মৃতিবিজড়িত দাঁড়ি মুবারক, মার্বেল পাথরের উপর বাকি অংশ পড়ুন...
পাহাড়ের উপর নির্মিত হওয়ায় মসজিদটি শহরের তুলনায় ১০ মিটার উঁচু একটি স্তম্ভমূলের উপর অবস্থিত। মসজিদটি এমনভাবে নির্মিত যে, এর পেছনের দেয়ালের মুখ পশ্চিম দিকে, পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উনার দিকে।
পূর্ব (প্রধান) প্রবেশ পথ:
মসজিদটির বেলেপাথরের তৈরি ৩টি প্রবেশ পথ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো ৩ তলা উচ্চতাবিশিষ্ট পূর্ব প্রবেশ পথ, যা ইতিহাসে রাজকীয় ব্যাক্তিদের প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার হতো এবং তা স¤্রাট এবং তার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। দুই তলা উচ্চতাবিশিষ্ট দক্ষিণ প্রবেশ পথটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করত। প্রতিটি প বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদ সংস্কার:
২০০৬ খৃ:, মসজিদটির জরুরি মেরামত করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। সৌদি শাসক আব্দুল্লাহ সেই সংস্কারের জন্য অনুদান দিতে চায়। মসজিদটির ইমাম জানান যে, সৌদি প্রতিনিধিদের নিকট থেকে এই প্রস্তাব তিনি সরাসরি পেয়েছেন, কিন্তু তিনি তাদের ভারত সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন। দিল্লীর আদালত বলে যে, এই বিষয়টির কোনো “আইনত উপায়” নেই।
বিভিন্ন প্রসাশনিক এবং লজিস্টিক বাধার কারণে মসজিদটির সংস্কারের একটি প্রকল্প ২০০০ এর দশকের প্রথম দিক থেকে অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে।
সন্ত্রাসী হামলার কবলে মসজিদ:
দিল্লী জামে মসজিদের যেমন আছে গৌরব বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদটির প্রতিনিধিত্ব করতে এবং সেখানে সেই শর্তগুলো প্রয়োগ করতে মসজিদটির আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধি হিসেবে দিল্লীর মুসলিম ব্যাক্তিদের নিয়ে জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদ (জেএমএমসি) গঠন করা হয়। মসজিদটি পরবর্তিতে আবার সংস্কার করা হয়।
১৮৫৭ খৃ: পর্যন্ত এটি ছিল সাম্রারাজ্যের প্রধান মসজিদ। মসজিদটি ভারতে ইসলামিক শক্তি এবং ঔপনিবেশিক শাসনে প্রবেশের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত ছিল। এই মসজিদটি এখনও চালু আছে এবং এটি দিল্লীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর একটি, যার পরিচিতি পুরান দিল্লীর সাথে মিশে আছে।
মুঘল আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইতিহাসের নানা বাকি অংশ পড়ুন...
এই মসজিদেই শাহজাহান জুমুয়ার নামাযে খুতবা দিয়ে তার শাসনামল আনুষ্ঠানিক করেন। মসজিদটি ভারতে মুঘলদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। মসজিদটি শাহজাহানাবাদে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যেখানে শ্রেণিভাগ অতিক্রম করে মানুষ একে অপরের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারত। শাহজানাবাদের মানুষ এখানে শ্রেণিভাগ ভুলে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারত, তাই মসজিদটি তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ব্রিটিশ শাসনামল:
১৮০৩ খৃ:, ইংরেজরা শাহজাহানাবাদ দখল করে। সম্রাট মসজিদটির আনুষ্ঠানিক নেতা হিসেবেই থাকেন, তবে মুঘলদের ক্ষমতাকা বাকি অংশ পড়ুন...
সুলাইমানী মসজিদ কমপ্লেক্স তৎকালীন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স ছিল। যাকে তুর্কী ভাষায় “কুলিয়া” বলা হয়, অর্থাৎ স্বয়ংসম্পূর্ণ মসজিদ কমপ্লেক্স। কেননা এতে মসজিদের পাশাপাশি আরও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ছিল ১- দারুশ শিফা বা হাসপাতাল। ২- বিদ্যালয় । ৩- হাম্মামখানা বা পাবলিক বাথ। ৪। আশ্রয়কেন্দ্র । ৫- অতিথি ভবন । ৬- চারটি স্বতন্ত্র দ্বীনি শিক্ষালয় বা মাদরাসা। ৭- দারুল হাদীস বা উচ্চতর হাদীস গবেষণা কেন্দ্র। ৮। মেডিক্যাল কলেজ। ৯। বিনামূল্যে অসহায় দরিদ্রদের জন্যে খাদ্য তৈরী ও বিতরণ কেন্দ্র।
মোটকথা সুলতান সুলাইমান এই মসজিদকে একটি পর বাকি অংশ পড়ুন...
সুলায়মানী মসজিদের বিশাল চত্ত্বরটি সাধারণত প্রতি জুমুয়াবার ও দুই ঈদে অতিরিক্ত মুসল্লী সংকুলানে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া জানাযা নামাযের জন্যও এই চত্ত্বর ব্যবহার করা হয়। আঙ্গিনাটির মেঝে উৎকৃষ্ট শ্বেত মর্মর পাথরে নির্মিত এবং এর কেন্দ্রস্থলে একটি ঝর্ণা আছে।
মনোরম ইস্তাম্বুলের মুকুট হিসেবে খ্যাত সুলাইমানী মসজিদ ১৬৬০ খৃ: এক অনাকাংখিত অগ্নিকা-ে ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অগ্নিকা-ের ফলে সুলাইমানী মসজিদ কমপ্লেক্সের দক্ষিনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তৎকালীন উসমানীয় সুলতান সুলতান মুহম্মদ তাঁর পূর্ব পুরুষের গড়া এই ঐতিহাসিক মসজিদের ক্ বাকি অংশ পড়ুন...
সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সুলতান সুলায়মান আল কানুনী ১৫৫০ সনে মারমারার তীরবর্তী একটি মনোরম উঁচু ভূমিতে এই ঐতিহাসিক মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন, মসজিদ নির্মাণে উঁচু ভূমি এ জন্যেই নির্বাচন করা হয়, যাতে ইস্তাম্বুলের যে কোন স্থান হতে তা দৃষ্টিগোচর হয়। উসমানীয় সালতানাতের শুরুর দিকের শ্রেষ্ঠ স্থপতি মিমার সিনান পাশা এই মসজিদটির নকশা প্রণয়ন করেন। নির্মাণকালে এই সুবিশাল মসজিদ কমপ্লেক্সটিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়, গণ রান্নাঘর যা সংলগ্ন অতিথি ভবন ও আশ্রয় কেন্দ্রের খাবার তৈরী ও সরবরাহের জন্যে নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও হাসপাতাল ও গ্র বাকি অংশ পড়ুন...












