আর এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’-এ উল্লেখ রয়েছে,
مَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّ كُفْر الْيَهُودِ عِنَادٌ وَجُحُودٌ وَمُبَاهَتَةٌ لِلْحَقِّ وغَمْط لِلنَّاسِ وتَنَقص بِحَمَلَةِ الْعِلْمِ وَلِهَذَا قَتَلُوا كَثِيرًا مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى هَمُّوا بِقَتْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَرَّةٍ وَسَحَرُوهُ وألَّبوا عَلَيْهِ أَشْبَاهَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ عَلَيْهِمْ لَعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
অর্থ: ইহুদীরা ঈমানদার উনাদের সাথে যে চরম শত্রুতা পোষণ করে তার কারণ এই যে, ইহুদীদের কুফরীসমূহ- চরম অবাধ্যতা, একগুঁয়েমী, জেদ, অবিশ্বাস, আস্বীকার, হক্বের ব বাকি অংশ পড়ুন...
কাট্টা কাফির আবূ রফেকে হত্যা:
কাট্টা কাফির কুখ্যাত ইহুদী আবূ রফের হত্যার সূত্রপাত হচ্ছে- আউস গোত্রের মুহম্মদ ইবনে মাসলামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা যখন সম্মিলিতভাবে কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করলেন, তখন খাযরাজ গোত্রের হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা চিন্তা করলেন যে, উনারাও কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফের মতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো এক শত্রুকে হত্যা করবেন। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত নুসাইবাহ্ বিনতে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার একপর্যায়ে-
أَقْبَلَ الرَّجُلُ الَّذِي ضَرَبَ ابْنِي فَقَالَ رَسُولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذَا ضَارِبُ ابْنِكِ قَالَتْ فَأَعْتَرِضُ لَهُ فَأَضْرِبُ ساقه فبرك قالت فرأيت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
অর্থ: “আমার সন্তান উনাকে যেই কাট্টা কাফির আঘাত করেছে সে অগ্রসর হয়ে সামনে আসছিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত হিসেবে কতটুকু আদায় করবেন :
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضَرَتْ عَلِىّ عَلَيْهِ السَّلَامَ عَنِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ اَوَّلِ هٰذَا الْـحَدِيثِ قَالَ فَاِذَا كَانَتْ لَكَ مِائَتَا دِرْهَمٍ وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا خَـمْسَةُ دَرَاهِمَ وَلَيْسَ عَلَيْكَ شَىْءٌ يَعْنِى فِى الذَّهَبِ حَتّٰى يَكُوْنَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا فَاِذَا كَانَ لَكَ عِشْرُوْنَ دِيْنَارًا وَحَالَ عَلَيْهَا الْـحَوْلُ فَفِيْهَا نِصْفُ دِيْنَارٍ فَمَا زَادَ فَبِحِسَابِ ذٰلِكَ.
অর্থ : হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
সর্বক্ষেত্রেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করেছেন। তবে যেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ হতে কোন বিষয়ে অনুসরণ না করার নির্দেশ রয়েছে, তা ব্যতীত সকলক্ষেত্রেই অনুসরণ করতেন। তবে নিষেধকৃত বিষয় আমল না করাটাও অনুসরণ-অনুকরণের অন্তর্ভুক্ত।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
৩জন বিশেষ সেনাপতি উনাদের বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,
أَمَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ حَضْرَتْ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ قُتِلَ حَضْرَتْ زَيْدٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَحَضْرَتْ جَعْفَرٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَإِنْ قُتِلَ حَضْرَتْ جَعْفَرٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَحَضْرَتْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মুতার জিহাদ মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত শব্দের অর্থ :
যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত যদি কোন মাল বা অর্থ-সম্পদ নিছাব বাকি অংশ পড়ুন...
مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِّنْ مَّالٍ
অর্থ: দানের দ্বারা মাল-সম্পদ
কমে না।
বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا.
অর্থাৎ আপনারা অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা যেরূপ ঈমান মুবারক এনেছেন তদ্রƒপ যদি তারা (অন্য লোকেরা) ঈমান মুবারক গ্রহণ করতে পারে তাহলে তারা হিদায়েত মুবারক লাভ করতে পারবে। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ : আয়াত শরীফ ১৩৭)
এ লিখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
উনারা ছিলেন ২৪ ঘণ্টা উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা এবং উনার যিকির ও মুহব্বত মুবারক-এ গরক্ব:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَن حضرت الشّعبِيّ رحمة الله عليه أَن رجلا من الْأَنْصَار أَتَى رَسُول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالله لأَنْت أحب إليَّ من نَفسِي وَوَلَدي وَأَهلي وَمَالِي وَلَوْلَا أَنِّي آتِيك فَأَرَاك لظَنَنْت أَنِّي سأموت وَبكى الْأنْصَارِيّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أبكاك فَقَالَ ذكرت أَنَّك سَتَمُوتُ وَنَمُوت فَترفع مَعَ النَّبِيين وَنحن إِذا دَخَلنَا الْجنَّة كُنَّا دُونك فَلم يُخبرهُ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْء فَأنْزل বাকি অংশ পড়ুন...












