ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (৫০)
, ২রা রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৪ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৬ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এ জন্যই বলা হয়েছে যে, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন “দেখ- এটা শয়তানের সব চাইতে বড় ধোঁকা, শয়তানের সব চাইতে বড় ধোঁকা সেটা হচ্ছে- সে নেক কাজ করবে না অথচ সে আশা করবে, সে নাযাত পাবে। ” কাজেই এটা শয়তানের সব চাইতে বড় ধোকা, প্রতারনা, ওয়াসওয়াসা। সে নেক কাজ করবে না, অথচ সে মনে মনে ধারণা করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করে জান্নাত দিয়ে দিবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ঈমানের সাথে আমলের শর্ত দিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আল আছর উনার মধ্যে ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলেন-
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
অর্থাৎ ঈমান আনতে হবে, নেক কাজ করতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযাত দান করবেন। কিন্তু শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে, “অসুবিধা নেই মহান আল্লাহ পাক তিনি গফ্ফার, সাত্তার, তোমার আমলের দরকার নেই। কিছুর দরকার নেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে ক্ষমা করে দিবেন। ” এটা হচ্ছে শয়তানের সবচাইতে বড় ওয়াসওয়াসা এবং ধোকা।
কাজেই নেক কাজ করতে হবে। যে জ্ঞানী, সে নফসের প্রতি যেমন সতর্ক থাকে, তদ্রুপ সে পরকালের জন্য তার আমল করতে থাকে। আর আহমক নফসের পায়রবী করে, নফসের পায়রবী করে সারাদিন আর সে মনে করে, আমি তো নাযাত পাবোই, আমি তো নাযাত পেয়ে গেছি। সে কিছু কল্পনা, কিছু জল্পনা করে। যেমন ইহুদী-নাছারারা করতো যে, আমরা তো মহান আল্লাহ পাক উনার যাঁরা নবী, উনাদের আওলাদ।
কাজেই আমাদের তো আযাব আর গযব হবে না। বড় জোর একদিন, না হয় অর্ধেক দিন আমাদেরকে আযাব দেয়া হবে, এরপর ছেড়ে দেয়া হবে। এটা তাদের কল্পনা-জল্পনা ছিল। অথচ সম্পূর্ণ দিন, সব সময়, সারা জিন্দেগী তারা নফসের পায়রবী করেছে। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করেছে, তারপরেও তারা আশা করেছে, তাদেরকে নাযাত দিয়ে দেয়া হবে, এটা একটা অবাস্তব কথা।
কাজেই ঐ ব্যক্তি হাক্বীক্বত আহমক, যেটা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল কায়িনাত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে রজম বা ছঙ্গেছারের বিধান (৩)
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা ও ফযীলত মুবারক প্রসঙ্গে (৩৭)
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কর্তব্য কাজে দৃঢ়তা এনে দেয় সন্তুষ্টি ও নিয়ামত
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৪)
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)