মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই পবিত্র মসজিদসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনারই জন্য”।
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
তাই অন্য কারো পক্ষে পবিত্র মসজিদ বিরান করা কস্মিনকালেও জায়িয হবে না। কাজেই যারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পবিত্র মসজিদ বিরান করতে চায় তাদেরকে খালিছ তওবা করে এ জঘন্য কুফরী কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে।
, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ফতওয়ার কিতাব ফতওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবের ২য় খ- ৩৫২ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে- “হযরত ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের নিকট ওয়াক্ফের হুকুম হলো এই যে, ওয়াক্ফকৃত সম্পদের স্বত্ত্ব বা মালিকানা ওয়াক্ফকারীর অধিকারমুক্ত হয়ে তা মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী মালিকানায় পরিণত হয়।” অর্থাৎ, মসজিদের জন্য ওয়াক্ফকৃত জায়গায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ নামায আদায়ের জন্য ঘর নির্মাণ করে আযান দিয়ে নামায আদায় করার কারণে তা মসজিদ হিসেবে গণ্য হয়ে যায় এবং উক্ত মসজিদ উনার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খাস বা সরকারী জমি বলে কোন জমি নেই, সব জমির হাক্বিক্বতে মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং দেশ হিসেবে জনগণ মালিক। সরকারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, তাকে জমির মালিকানা দেয়া হয়নি। তাই সরকারী জমি বলে কোন জমি নেই। অতএব, দেশের খাস জমি থাকলে তার মালিক জনগণই হবেন। এখন জনগণ যদি জনগণের প্রয়োজনে তাদের মালিকানাভূক্ত জমিতে মসজিদ বানায়, তবে সেই মসজিদ উনার হুকুম অন্য মসজিদ উনার মতোই হবে। সরকার সেই মসজিদে হাত দিতে পারবে না। তবে ব্যক্তি মালিকানার কোন জমিতে অনুমতি ছাড়া মসজিদ বানানো যাবে না। জনগণের সুবিধার্থে খাস জায়গায় যে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে এবং তাতে আযান দিয়ে নামায পড়া হয়েছে উক্ত মসজিদও ওয়াক্ফকৃত মসজিদের ন্যায় হুকুম রাখে। কেননা জনগণই হচ্ছেন খাস জায়গার মালিক। এখন জনগণই যখন মসজিদের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে তাতে মসজিদের ঘর নির্মাণ করে সেখানে আযান দিয়ে নামায আদায় করেছেন তখন তা মসজিদ হিসেবে গণ্য হয়ে গেছে এবং উক্ত মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার মালিকানাধীন হয়ে গেছে। তাই সরকারের পক্ষে খাস জায়গায় নির্মিত মসজিদ ভাঙ্গাও জায়িয নেই। এখন আর কেউ উক্ত মসজিদ ভাঙ্গতে পারবে না। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর মসজিদ ভাঙ্গার অধিকার কারো নেই।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মসজিদ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র ঘর। উক্ত পবিত্র ঘর উনার মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনিই। এখন উনার মালিকানাভুক্ত ঘর উনার অনুমতি ব্যতিরেকে সরানো বা স্থানান্তর করা জায়িয হবে না। একজনের মালিকানাধীন ঘর-বাড়ী তার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতীত অন্যদের জন্য সরানো বা স্থানান্তর করা যদি জায়িয না হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতীত কি করে উনার পবিত্র ঘর মসজিদ স্থানান্তর করা জায়িয হতে পারে? তা সম্পূর্ণ কুফরী এবং কাফির ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো-সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন বা যে কোনো প্রয়োজনে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই অন্য কারো পক্ষে পবিত্র মসজিদ বিরান করা কস্মিনকালেও জায়িয হবে না। কাজেই যারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে পবিত্র মসজিদ বিরান করতে চায় তাদেরকে খালিছ তওবা করে এ জঘন্য কুফরী কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে। নচেৎ আবরাহার মত খোদায়ী গজবে পড়ে ধ্বংস হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবেনা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতের পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ শুনেন এবং পাঠকারীদেরকে সরাসরি দেখেন এবং চিনেন। সুবহানাল্লাহ! যা উনার মহাসম্মানিত হাজির ও নাযির হওয়ারও একখানা সুস্পষ্ট ও অকাট্য দলীল।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ!
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)