সম্পাদকীয় (১)
শুধু বিবৃতি দেয়া আর কিছু ত্রাণ পাঠালেই ফিলিস্তীনিদের প্রতি দায়িত্ব পালন হতে পারে না ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদে অবতীর্ণ হওয়াই এ মুহুর্তে মুসলিম বিশ্বের জন্য ফরজ
, ১৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলিমদের বড় ধর্মীয় ঈদ ঈদুল আযহা। সৌদি আরব, আরব-আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্য তথা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশিরভাগ মুসলিমপ্রধান দেশেই ধুমধামে ঈদ উদযাপন করছেন মুসলিমরা। শুধু আনন্দ নেই ফিলিস্তিনিদের মনে। ঈদের দিনেও পেটে ক্ষুধা নিয়ে, প্রতি মুহূর্তে প্রাণ হারানোর শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
আল জাজিরার খবর থেকে জানা গেছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহর থেকে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার এই শহরে ইসরায়েল হামলা শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে তারা অন্যত্র সরে যান।
বাংলাদেশসহ মুসলমান প্রধান দেশগুলো সবসময় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন এবং ‘নিপীড়িত’ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসলেও বড় ধরণের সংকট এলে পুরো মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে খুব একটা শক্ত অবস্থান নিতে দেখা যায় না।
এমনকি মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি কিংবা আরব লীগও ইসরায়েলের সাথে সংকটকালে ফিলিস্তিনের পক্ষে খুব জোরালো কোন ভূমিকা নিতে পারছেন না।
“পশ্চিমাদের চটিয়ে কেউ নিজের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে চায় না। মিসর, তিউনিসিয়ার মতো দেশও এর বাইরে নয়। সবাই মনে করে সোচ্চার হলেই চাপ আসবে। বরং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলের সাথে তাদের সমঝোতা জরুরি”।
মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত হতাশাজনক। তারা শুধু বিবৃতি দিয়েই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানরা যতটুকু প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তা করছেন কেবল দেশের নাগরিকদের ক্ষোভ প্রশমনের উদ্দেশ্যে। একদিকে ভীরুতা অন্যদিকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই তারা আজ গাজায় মুসলমান ভাই-বোন ও শিশু-সন্তানদের নির্বিচারে শাহাদাত কা- তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। ইসরাইল নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম বিশ্বের একেবারে পেটের মধ্যে অবস্থিত। তারপরও মুসলিম দেশগুলো তাই ইসরাইলের সামরিক শক্তির ভয়ে হাত গুটিয়ে থাকে। তার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণেও মুসলিম দেশগুলো ভীতসন্ত্রস্ত। বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকার নানাভাবে আমেরিকা এবং ইসরাইলের আর্থিক সুবিধার ভাগিদার। তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে চায় না। এসব সুবিধাভোগী নেতারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জর্দান ও মিসর ইতোমধ্যে ইসরাইলের সাথে পূর্ব-ভূমধ্যসাগরের বিশাল মজুদের তেল ও গ্যাস আহরণের জন্য বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করছে। অর্থনৈতিক স্বার্থেই বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সাথে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ নামে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
আরব দেশগুলোর আরেকটি বড় ভয় হলো রাজতন্ত্রের প্রতি হুমকি। মধ্যপ্রাচ্যে ‘হামাসের’ মতো একটি বিপ্লবী গোষ্ঠী সফলতা লাভ করলে এর বিপ্লবী ঢেউ তাদের রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রকে তছনছ করে ফেলতে পারে। ২০১১ সালের আরব বসন্তের ঘণঘটা মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদেরকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।
ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে শক্তভাবে দাঁড়ানোর অর্থ ইসরাইল-আমেরিকার সাথে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়া নয়। সামরিক শক্তির বাইরেও মুসলিম বিশ্বের হাতে রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী ‘নরম অস্ত্র’। প্রথমেই তারা ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারতেন। এরপর ইসরাইলের পণ্য বর্জনের ডাক দিলে বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বাজার তারা হারাতে পারে। যা হতে পারে ইসরাইলের ওপর অত্যন্ত কঠিন ও অসহনীয় চাপ। সৌদি আরবের তেলসম্পদও অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। এই তেল অবরোধ খুবই কার্যকর হতে পারত। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ছাড়া প্রায় সব দেশেই মার্কিন সামরিক স্থাপনা রয়েছে। এই দেশগুলো ওইসব মার্কিন সামরিক স্থাপনার অবস্থান নিয়ে অবশ্যই মার্কিনিদের চাপ সৃষ্টি করতে পারত।
অথচ শুধু চাপ প্রয়োগই নয় ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে জিহাদী মুসলমান গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মীতা প্রকাশ করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ বা জিহাদে সামিল হওয়াই ঈমান ও ইসলামের একান্ত দাবী। এ মুহুর্তে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফরজ কাজ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র এই অনুভূতি আমলের যোগ্যতা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)