মহিলাদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া জায়িয নয়
, ১৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৪ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
সম্মানিত শরীয়ত উনার খাছ ফতওয়া মতে, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া কুফরী
প্রকাশ থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার খিলাফত মুবারক কালে মহিলাদেরকে জামায়াতে নামায পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন ও সত্যায়িত করেন। এর দ্বারা এটা প্রতিভাত যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিষেধকৃত বিষয়কে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সমর্থন ও সত্যায়নকৃত বিষয়কে যারা মানবে না তারা ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা মুনাফিক ও মুরতাদ হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা ফতওয়া হচ্ছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মতের খিলাফ বা বিরোধিতা করা এবং হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের হুকুমের বিরোধিতা করা কুফরী।
আর আম বা সাধারণ ফতওয়া মতে, মহিলাদের জামায়াতে নামায পড়ার জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। নিম্নে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী হওয়ার কতিপয় দলীল পেশ করা হলো:
ولايحضرن الجماعة- لقوله تعالى وقرن فى بيو تكن- وقال النبى صلى الله عليه وسلم- صلاتها فى قعر بيتها افضل من صلاتها فى صحن دارها وصلاتها فى صحن دارها- افضل من صلاتها فى مسجدها- وبيوتهن خيرلهن- لا يؤمن الفتنة من خروج هن اطلقه- فشمل الشابة والعجوز وصلاة النهاريه ولليمية- والفتوى اليوم على الكراهة فى الصلاوات كلها-
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, মহিলাগণ তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরের বারান্দায় নামায পড়া উত্তম এবং ঘরের বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে নামায পড়া সর্বোত্তম। তাই মহিলাগণ জামায়াতে উপস্থিত হবে না, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা, রাত্রে হোক অথবা দিনে, কারণ সাধারণতঃ তাদের বের হওয়া ফিৎনা থেকে নিরাপদ নয়। তাই পরবর্তী ফকীহ্দের ফতওয়া হলো, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা প্রত্যেকের জন্য নামাযে উপস্থিত হওয়াই মাকরূহ্ তাহরীমী। (বাহরুর রায়েক শরহে কানযুদ দাক্বায়েক্ব ১ম জিল্দ পৃষ্ঠা ৩৫৮, মাদানুল হাকায়েক ১ম জিল্দ পৃষ্ঠা ১৪৩, আহসানুল মাসায়েল পৃষ্ঠা ৩৮, মিনহাতুল খালিক, আল মাজ্মাউল আন্হুর)
اور مکروہ ھے جوان عورتون کاپنجو اقتہ کی جماعت مین حضر ھونا- امام اعظم اور صاحبین کا تو بہ قول ھے کہ جوان عورت جماعت سے روکی جانے- مگر برھی جماعت مین جا سکتی ھے اور اس مین بھی امام اعظم اور صاحبین کہ خلاف ھے- امام صاحب ظھر اور عصر اور جمعہ مین منع کرتے ھین اور صاحبین مطلقا اجازت دیتے ھین- مگر قول متاخرین کا ساتھ منع کے کل کے خلاف ھے- نھر الفائق مین ھے کہ یہ قول بھی امام صاحب ھی سے ماخوذ ھے-
অর্থ: প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া, মাকরূহ্ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি একমত। মতবিরোধ শুধুমাত্র বৃদ্ধাদের বেলায়, ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, বৃদ্ধা মহিলাগণ যোহর, আছর ও জুমুয়ায় উপস্থিত হতে পারবে না, ছাহেবাইন বলেন সকল নামাযেই উপস্থিত হতে পারবে। কিন্তু মুতাআখ্খেরীন ফকীহগণ উনারা এর বিপরীত মত প্রকাশ করেন অর্থাৎ প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়াই মাকরূহ্ তাহরীমী। ‘নহরুল ফায়েক’ কিতাবে উল্লেখ করা হয়, মুতাআখ্খেরীন উনাদের উক্ত মত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকেই নেওয়া হয়। (শরহে বিকায়া ১ম জিল্দ পৃষ্ঠা ১০৮, শরহে সেকায়া ১ম জিল্দ পৃষ্ঠা ১৮৭, নহরুল ফায়েক)
ويكره للنساء حضور الجماعة يعنى الشواب منهن لما فيه خوف الفتنة- والفتاوى، اليوم على الكراهة فى الصلاوات كلها لظهور الفسق فى هذا الزمان.
অর্থ: প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে আসা মাকরূহ্ তাহরীমী। ফিৎনার আশঙ্কায় বর্তমান যামানায় ফাসেকী প্রকাশ পাওয়ার কারণে উলামায়ে মুতাআখ্খেরীনগণ উনারা ফতওয়া দেন যে, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা উভয়ের জন্য যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরিমী। (আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ পৃষ্ঠা ৭৮, মারাকিউল ফালাহ পৃষ্ঠা ২০৫, মুহীত্ব, কুদূরী পৃষ্ঠা ৩৬)
(৫৫-৫৭)
ان وجوھات کی بناپر حضرات فقھاء کرام نے بھی فتوی دیا کہ عورتون کو مسجد مین جانا مکروہ ھے خواہ پنجواقۃ نمازون کی جماعت کیلئے جانین یا جمعہ اور عید کی نماز کیلئے- یہ حکم عام ھے حرم شریف ھون یا مسجد نبوی شريف ھون ھندوستان مین ھون یا عربستان سب کیلئے یھی حکم ھے-
অর্থ: আলোচিত বা উপরোক্ত কারণে পরবর্তী ফকীহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, ঈদসহ যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী। এ ফতওয়া সকল স্থানের জন্যই প্রযোজ্য অর্থাৎ চাই হেরেম শরীফে হোক অথবা মসজিদে নববী শরীফে। হিন্দুস্থানে হোক অথবা আরব দেশে সকল স্থানেই মাকরূহ্ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে রহীমিয়াহ্ ১ম জিল্দ পৃষ্ঠা ১৭৩, ফতওয়ায়ে নঈমিয়াহ্ পৃষ্ঠা ৩৫, তরীকুল ইসলাম ৭ম জিল্দ পৃষ্ঠা ৩৩) (চলবে)
-আল্লামা সাইয়্যিদ আবূ সাফওয়ান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নছীহত মুবারক:
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (২)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শোকরগোযারী দ্বারা নিয়ামত বৃদ্ধি পায় শোকর গোযার না করলে নিয়ামত বন্ধ হয়
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিরক কি? শিরক সম্পর্কে আলোচনা
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“মানুষের পেট কবরের মাটি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা পূর্ণ হবে না”
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পুরুষদের ন্যায় মহিলাদেরও দ্বীনী তা’লীম গ্রহণ করা ফরযে আইন
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের তৃতীয় মাসে যে বিষয়গুলো লক্ষণীয়
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জমিনে ফিতনা-ফাসাদের বড় একটা কারণ বেপর্দা-বেহায়া নারী
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)