সম্পাদকীয় (২)
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
, ৩০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বিধবা, আহাল (স্বামী) পরিত্যক্ত, আহালের বহুবিবাহের কারণে ভরণপোষণের সমস্যা, দীর্ঘদিন পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্তা ও স্বামী থাকা সত্ত্বেও কোনো না কোনো কারণে ভরণপোষণ করতে না পারা মহিলার সংখ্যা লাখ থেকে কোটি হলেও তাদের সঠিক পরিসংখ্যান রাষ্ট্রীয়ভাবে অদ্যাবধি তৈরি হয়নি।
বয়স কাঠামোর ক্ষেত্রে এখানে রয়েছে মিশ্রতা। কারো বয়স সবেমাত্র পঁচিশের কোটা অতিক্রম করেছে। আবার কেউবা পঞ্চাশোর্ধ্ব কিংবা তদূর্ধ্ব। বয়সের ভারে কেউ কেউ ন্যুব্জ। আক্ষরিক অর্থে যাকে আমরা পরিবার বলি, সেটি তাদের বেশিরভাগের মধ্যে নেই। সমাজের নিম্ন অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে থাকা এ মানুষগুলোর প্রতিদিনকার জীবন কাটে অনিশ্চয়তার মধ্যে। তাদের মধ্যে যাদের বয়স তুলনামূলক কম, তাদের বিভিন্ন হয়রানিরও শিকার হতে হয়। একজন বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্তা কিংবা স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার ভরণপোষণই যেখানে প্রধান সমস্যা, সেখানে আর দশটি সাধারণ মেয়ের মতো স্বাভাবিক জীবনের অন্যান্য উপকরণের কথা ভাবা অবাস্তব।
বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই মহিলা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা হিসাবে প্রায় আশিজন গ্রামে বাস করে। তাদের মধ্যে আবার অর্ধেকজনই হচ্ছে মহিলা। গ্রামের অধিকাংশ মহিলারা আজো অবহেলিত, অধিকারবঞ্চিত।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারা বিশেষভাবে পিতার সম্পত্তির ন্যায্য উত্তরাধিকার পায় না। বোন জানে যে, তার ভাই নামমাত্র সম্পত্তি তাকে দিচ্ছে। কিন্তু ভাই-বোনের আন্তরিক সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে পারে মনে করে কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। কোনো বিপদে পড়লে ভাই তাকে আশ্রয় দেবে- এই আশার স্বাভাবিক সম্পর্ক বোনটি রক্ষা করতে চায়। কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম তা বলে না। যার যার হক্ব বুঝিয়ে দিতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র সে নির্দেশ পালন করে না বিধায় মহিলারা তাদের প্রাপ্ত হক্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ৪৮.২৪% মুসলিম বিধবা মহিলা শরিয়াহ আইন সম্পর্কে জানে। যেখানে স্বামী এবং পিতার সম্পত্তিতে মহিলার অধিকার সম্পর্কে বলা আছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেছে, খুব নগণ্য সংখ্যক মহিলা সম্পত্তিতে তাদের অধিকার দাবি করতে পেরেছে। আর বিধবাদের ক্ষেত্রে আরো কঠিন এবং অনেক ক্ষেত্রে দাবি উঠানোই অসম্ভব। বিশেষতঃ যাদের কোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য দানে সক্ষম পুুরুষ নেই, সে দুঃস্থ মহিলারা তথা বিধবারা একই সঙ্গে দুঃখী এবং হতাশাগ্রস্ত। স্বভাবতই তারা ন্যায্য প্রাপ্য জমি ও সম্পত্তি টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে পরাজিত হয়। কেননা প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থাও তাদেরকে উপেক্ষা করে।
একজন মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য যে ধরনের মর্যাদা প্রয়োজন তাও তাদেরকে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা বা তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে হারাতে হয় এবং রাষ্ট্রীয় কোনো প্রচেষ্টা তাদের জন্য পরিলক্ষিত হয় না। পরিবার এবং সমাজে তাদের প্রতি যে বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি সে কারণে তারা নিজেরাও নিজেদের গুরুত্বহীন বলে মনে করে। প্রচলিত সমাজ/রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তাদের অবস্থা চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন হচ্ছে না। ইসলামহীন সমাজ/রাষ্ট্রব্যবস্থায় ঐতিহ্যগতভাবেই তাদেরকে নিয়ে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়ে আছে। যার কারণে তারা আরো বেশি অসম অবস্থানে রয়ে যাচ্ছে। এই দুস্থ মহিলাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের আর্থিক, সামাজিক এবং মানসিক দুরবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো প্রয়োজন। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই রাষ্ট্র ও সমাজের এক্ষেত্রে যুগপৎভাবে এগিয়ে আসা ফরয।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)