সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৩য় অংশ) পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَوْ تَـرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَكَفَرْتُمْ
অর্থ: যদি তোমরা তোমাদের যিনি মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক তরক করো অর্থাৎ পালন না করো তাহলে তোমরা কাফির হয়ে যাবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, ফতহুল বারী ইত্যাদি)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْـجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَـقَدْ أَبَى
অর্থ: মহাসম্মানিত রস বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
আহাল-আহলিয়া বা স্বামী-স্ত্রী একসাথে জামায়াতে আদায় করতে পারবে। তবে শর্ত হচ্ছে, একসাথে জামায়াতে নামায যদি পড়ে তাহলে পুরুষ বা আহাল যেখানে দাঁড়াবে তার থেকে তার আহলিয়া এত পিছনে দাঁড়াবে যেনো সিজদার সময় আহলিয়ার মাথাটা আহালের পা বরাবর না হয়, কমপক্ষে এক বিঘত পিছনে থাকে। সামনে একজন অর্থাৎ আহাল দাঁড়াবে, আর সরাসরি পিছনে আহলিয়া দাঁড়াবে, দাঁড়ালে আহলিয়া সিজদা দিলে আহালের পা যেনো স্পর্শ না করে। আর যদি সিজদার সময় আহলিয়ার মাথা আহালের পা বরাবর হয়ে যায় এবং পা স্পর্শ করে তাহলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।
(গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (২য় অংশ) মূলকথা হচ্ছে, উম্মতের পক্ষে মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য বা অনুসরণ ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য বা অনুসরণ আদৌ সম্ভব নয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য মুবারকের বিষয়টি উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য মুবারকের উপর নির্ভরশীল।
সুতরাং কেউ নামায পড়–ক, যাকাত আদা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর জন্য কোন কোন ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী?
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু দোষ-ত্রুটি মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পশুর ত্রুটিগুলি দু’ভাগে বিভক্ত। (এক) আয়িবে ফাহিশ অর্থাৎ বড় ধরনের দোষ বা ত্রুটি। যার কোন একটি পশুর মধ্যে থাকলে উক্ত পশু দ্বারা কুরবানী শুদ্ধ হবে না। যেমন- এমন দূর্বল পশু, যার হাড়ে মজ্জা বা মগজ শুকিয়ে গেছে। অথবা যে সকল পশু কুরবানীর জায়গা পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারেনা। যেসব পশুর একটি পা এরূপ নষ্ট হয়ে গেছে যে, উক্ত পা দ্বারা চলার সময় কোন সাহায্য নিতে পারে না। যে পশুর কান অথবা লেজের তিনভাগের একভাগ ক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যবসাকে হালাল সাব্যস্ত করেছেন আর সুদকে তিনি হারাম ঘোষণা করেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৭৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
وَأَحَلَّ اللهُ الْبَـيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা মূলত হালাল পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। আর হারাম পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা বা বেঁচা-কেনা করাকে নিষেধ করা হয়েছে।
বলার অপেক্ষা বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র কুরবানী করার সুন্নতী পদ্ধতি এবং নিয়ত কি?
জাওয়াব:
পবিত্র কুরবানীর পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা পশ্চিম দিকে রেখে অর্থাৎ ক্বিবলামুখী করে শোয়ায়ে পূর্ব দিক থেকে চেপে ধরতে হবে, তারপর পবিত্র কুরবানী করতে হবে। আর পবিত্র কুরবানী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, সীনার উপরে নরম স্থানের উপর থেকে গলার মধ্যে একটি উঁচু হাড় রয়েছে: উভয়ের মাঝামাঝি স্থানে যেন যবেহ করা হয়। আরো উল্লেখ্য যে, গলাতে চারটি রগ রয়েছে, তন্মধ্যে গলার সম্মুখভাগে দুটি- খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটির মধ্যে খাদ্যনালী, শ্বাসনালী এবং বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
আনজুমানে মুফিদুল ইসলাম তথাকথিত জণকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া বা চামড়া বিক্রির অর্থ প্রদান করা জায়িয হবে কি?
জাওয়াব:
বর্তমান সময়ে তথাকথিত জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হচ্ছে “আনজুমানে মফিদুল ইসলাম”। তারা জনকল্যাণের নামে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার পবিত্র কুরবানী পশুর চামড়া ও চামড়া বিক্রির অর্থ মুসলমান উনাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই অর্থ তারা আমভাবে খরচ করে থাকে। যেমন রাস্তাঘাট, পানির ব্যবস্থা, বেওয়ারিশ লাশ দাফন করার কাজে; সেটা মুসলমানদেরও হতে পারে আবার বিধর্মীদেরও হতে পারে। অথচ পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
পবিত্র কুরবানীর পশুর গোশত বণ্টনের কোন পদ্ধতি আছে কি?
জাওয়াব:
পবিত্র কুরবানীকৃত পশুর গোশত বণ্টন প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
يَسْتَحِبُّ التَّصَرُّفُ ثُلُثٌ لِنَفْسِه ثُلُثٌ هَدِيَّةٌ ثُلُثٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِيْنَ وَاِنْ كَانَتْ وَصِيَّةٌ يَتَصَدَّقُ بِـجَمِيْعِهَا.
অর্থ : “পবিত্র কুরবানী উনার গোশত বণ্টন করার মুস্তাহাব নিয়ম হচ্ছে- এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য রাখবে, এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য হাদিয়া স্বরূপ দিবে আর এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনের জন্য দান স্বরূপ দিবে। আর যদি কুরবানীকৃত পশুটি ওছিয়তকৃত হয়ে থাকে তাহলে সম্পূর্ণটাই গরীব-মি বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকে পবিত্র কুরবানী দেয়ার হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই।
জাওয়াব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ حَنَشٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلِيْهِ السَّلَامُ يُضَحِّى بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ مَا هٰذَا فَقَالَ اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصَاِنْى اَنْ اُضَحِّى عَنْهُ فَانَا اُضَحِّى عَنْهُ.
অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বছরের কোন কোন দিন ওমরাহ্ করা মাকরূহ্?
জাওয়াব:
যিলহজ্জ শরীফ মাসের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ এই ৫ দিন উমরাহ্ করা মাকরূহ্। তবে যদি কেউ ৯ তারিখের পূর্বে উমরাহ’র জন্য ইহরাম বেঁধে থাকে তবে তার জন্য উমরাহ্ করা জায়েয রয়েছে।
সুওয়াল:
হেরেম শরীফের সীমানা কতটুকু?
জাওয়াব:
বাইতুল্লাহ বা কা’বা শরীফের উত্তরে ৩ মাইল, দক্ষিনে ৭ মাইল, পূর্বে ৯ মাইল এবং পশ্চিমে ১০ মাইল।
বি: দ্র: উপরোল্লিখিত হজ্জ ও উমরাহ সংক্রান্ত সুওয়ালের জাওয়াবসমূহের দলীল নিম্নরূপ-
দলীলসমূহ: তাফসীরে খাযেন, বাগউয়ী, তাবারী, যাদুল মাছীর, দুররে মানছূর, মাযহারী, কুরতুবী, বুখারী, মুসলিম, আ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কোন হাজী ছাহেব যদি সাঈ না করে তার কাফফারা কি?
জাওয়াব:
সাঈ করা ওয়াজিব। সাঈ যদি না করে তাহলে একটি ছাগল দম দেয়া ওয়াজিব হবে।
সুওয়াল:
কংকর নিক্ষেপ করা কেউ যদি তরক করে তার উপর কি ওয়াজিব হবে?
জাওয়াব:
কংকর নিক্ষেপ করা হচ্ছে ওয়াজিব। যদি সমস্ত কংকর নিক্ষেপ করা ছেড়ে দেয় তাহলে দম দেয়া ওয়াজিব হবে। প্রতিদিনের জন্য যে কয়েকটি কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব তার অধিকাংশ যদি ছেড়ে দেয় তাহলে দম দেয়া ওয়াজিব। আর যদি অর্ধেকের কম সংখ্যক ছেড়ে দেয় তাহলে প্রত্যেক কংকরের জন্য এক ফিৎরা পরিমাণ ছদকা করা ওয়াজিব।
আর যদি ৩ জমরার এক জমরায় কংকর নিক্ষেপ করা ছেড়ে বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
মীকাত কাকে বলে? বাংলাদেশের হাজীদের ইহরাম বাঁধতে হয় কোথা হতে?
জাওয়াব:
যে স্থান থেকে হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধতে হয় সে স্থানকে মীকাত বলে। বাংলাদেশের হাজী ছাহেবরা যেহেতু ইয়েমেন হয়ে হজ্জ করতে যায় সেহেতু ইয়েমেনবাসীর যে মীকাত “ইয়ালামলাম” বাংলাদেশীদেরও সেই একই মীকাত। আর যদি বাংলাদেশী হাজী ছাহেবরা মদীনা শরীফ হয়ে যায় তাহলে মদীনা শরীফ বাসীদের যে মীকাত “যুলহুলাইফা” সেখান থেকে তাদেরকে ইহরাম বাঁধতে হবে।
এছাড়াও যদি ইরাক হয়ে যায় তাহলে ইরাকবাসীদের যে মীকাত “যাতে ইরাক” সেখান থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে।
আর যদি সিরিয়া হয়ে যায় তাহলে “জুহ বাকি অংশ পড়ুন...












