জাওয়াব: সুন্নত পড়লে তো ভালো। সমস্যা কি? আর জামায়াতে পড়লে তো তখন আর কছর নাই। জামায়াতে পড়লে পুরাটাই পড়তে হবে। একা একা পড়লে কছর পড়তে হবে যদি মুসাফির হয়। আর যদি মুকীম হয় তাহলে তো পুরাই পড়বে। আর মুসাফিরের জন্য সুন্নত পড়া এটা ইখতিয়ার। পড়তে পারলে ভালো। এখনতো সব মূর্খ লোক। মাসয়ালাতো জানে না। তাছাওউফের পরিভাষায়, কোন লোক যদি তার সম্মানিত শায়েখ উনার দরবার শরীফে যায়, সেখানে সে মুকীম। কারণ সম্মানিত শায়েখ উনার অনুমতি ব্যতিত সে বাড়ীতে যেতে পারবে না। ফলে সে মুকীম হয়ে যায়। তার ইখতিয়ার থাকে না বাড়ী যাওয়ার। ইখতিয়ার না থাকলে তাহলে তার কছর হয় কি বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ হিসেবে উদ্ধৃত করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ক্বাযা করে যে ব্যক্তি ইন্তিকাল করবে তার পক্ষ থেকে প্রতিদিনের পরিবর্তে অর্ধ সা (দুই মুদ) গম খাদ্য হিসেবে প্রদান করবে।
উপরে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনার উপর ভিত্তি করে হানাফী মাযহাবে যে মাসয়ালা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
ক্বিল্লতে ইলম ক্বিল্লতে ফাহম অর্থাৎ কম জ্ঞান কম বুঝই হচ্ছে ফিতনা সৃষ্টির কারণ। আর ফিতনা সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلْفِتْنَةُ اَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ.
অর্থ: ফিতনা হচ্ছে কতল অপেক্ষা বড় গুনাহ। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯১)
আর না জেনে কোন মাসয়ালা বললে বা মাসয়ালার জাওয়াব প্রদান করলে তার অপরাধ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ اُفْتِىَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ اِثْمُهٗ عَلٰى مَنْ اَفْتَاهُ.
অর্থ: যাকে ইলম ছাড়াই (ভুল) ফতওয়া দেয়া হয়েছে (ভুল ফতওয়া আমল করার কারণে) তার যত গুনা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে মসজিদের ভিতরে বা মসজিদের বাহিরে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার সঠিক ফায়ছালা হচ্ছে, মসজিদের ভিতরে হোক অথবা মসজিদের বাহিরে হোক, দাঁড়াতে সক্ষম হোক অথবা দাঁড়াতে অক্ষম হোক, প্রত্যেক অবস্থাতেই চেয়ার, টেবিল, টুল, বেঞ্চ অথবা অনুরূপ (পা ঝুলে থাকে এমন) কোন আসনে বসে নামায আদায় করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ এবং নামায বাতিল হওয়ার কারণ। এ ফতওয়াটি ছহীহ, দলীলভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য। এর খিলাফ কোন ফতওয়াই ছহীহ, দলীলভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
تَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوٰى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الإِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
অর্থ: “তোমরা নেকী ও পরহেযগারীর মধ্যে সহযোগিতা করো; পাপ ও নাফরমানীর মধ্যে সহযোগিতা করো না। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন কোথায় আমাদের যাকাত, ফিতরা, উশর দিতে হবে। অর্থাৎ ১. আদেশ: যারা নেককা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যেহেতু ছেলে সন্তান কেউ হায়াতে ছিলেননা, তাই উনার কোন বংশও পৃথিবীতে নেই”- একথা শুদ্ধ নয়। এটা কাফিরদের বক্তব্য যা কাট্টা কুফরী।
কারণ, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বংশ মুবারক জারী রয়েছে উনার মহাসম্মানিতা কণিষ্ঠা মেয়ে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দুই আওলাদ ইমামুল ছানী, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব (২য় অংশ):
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ উনাদের শানে ইন্তিকালের হুকুম:
হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلْاَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ اَحْيَاءٌ فِىْ قُبُوْرِهِمْ.
অর্থ: “হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা উনাদের রওজা শরীফে জীবিত রয়েছেন।” (দায়লামী শরীফ)
মূলতঃ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ, পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এবং উনাদের বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিনসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনসমূহের অন্তর্ভুক্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইন্তিকাল দিবস হচ্ছে দুঃখের দিন। আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা অন্যায়। ” এ বক্তব্য কতটুকু পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ সম্মত? দয়া করে জানাবেন।
জাওয়াব (১ম অংশ): উপরোক্ত বক্তব্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের সম্পূর্ণ খিলাফ যা কাট্টা কুফরী। আর “ইন্তিকাল” শব্দের অর্থ হচ্ছে স্থানান্তরিত হওয়া বা করা। অর্থাৎ ইহ্কাল থেকে পরকালে স্থানান্তরিত হওয়া বা গমন করা।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শান মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব (১ম পর্ব):
পাক্ষিক পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত আর্টিকেলের বক্তব্যটি আদৌ শুদ্ধ হয়নি। বরং সম্পূর্ণ ভুল ও কুফরী হয়েছে এবং এ প্রকার কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা প্রত্যেক ঈমানদারদের জন্য খাছ ফরয। কারণ এ প্রকার আক্বীদা যারা পোষণ করবে তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে।
হযরত আদম আলাইহিস সালাম এবং হযরত হাওওয়া আলাইহাস সালাম উনারা পরস্পর হচ্ছেন মানবজাতির আদি পিতা ও মাতা আলাইহিমাস সালাম। শুধু তাই নয়, উনারা উভয়ে হচ্ছেন কুল মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়া মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হয়। ইন্টারভিউতে সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস থেকে শুরু করে জীবন সম্পর্কিত এমন অনেক প্রশ্ন করা হয়। আবার কখনো কখনো প্রার্থীর উপস্থিত বুদ্ধির যাচাইয়ের জন্য এমন কিছু প্রশ্ন করা হয় যাতে তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এমনই কিছু প্রশ্ন করা হয়েছে, এবার তা উত্তরসহ দেখে নেওয়া যাক।
১) প্রশ্ন: দারুচিনি উদ্ভিদের কোন অংশ থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: বাকল বা ছাল থেকে।
২) প্রশ্ন: ‘ছজ কোড’ এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: কুইক রেসপন্স কোড
৩) প্রশ্ন: কোন খাবারটি কখনোই পচে যায় না?
উত্তর: মধু।
৪) প্রশ্ন: ক বাকি অংশ পড়ুন...
(১ম অংশ)
জাওয়াব: তার উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে মনগড়া, মিথ্যা, দলীলবিহীন ও সম্মানিত শরীয়ত তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার খিলাফ বা বিরোধী। যার কারণে তা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দিবস পালন সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللهِ إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি উম্মতদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন বা দিবসসমূহ স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই উক্ত দিনসমূহ স্মরণ বা পালন করার মধ্ বাকি অংশ পড়ুন...












