সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সাধারণভাবে ইলিম দেয়ার জন্য ১৩০ ফরযের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত ফরয বিষয়সমূহ ছাড়াও আরো অনেক ফরয রয়েছে।
উক্ত ১৩০ ফরযসমূহ হচ্ছে মুসলমানের পাঁচ রুকনে ৫ ফরয, চার কুরসীতে ৪ ফরয, চার মাযহাবে ৪ ফরয, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ৫ ফরয, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সতের রাকায়াতে ১৭ ফরয, ঈমানের ৭ ফরয, পাঁচ কলেমায় ৫ ফরয, উযূতে ৪ ফরয, গোসলে ৩ ফরয, তায়াম্মুমে ৩ ফরয, নামাযের পূর্বে আরকানে ৬ ফরয, নামাযের ভিতর আহকামে ৭ ফরয, ত্রিশ রোযায় ৩০ ফরয এবং ত্রিশ রোযার নিয়তে ত্রিশ ফরয; এই হলো মোট ১৩০ ফরয।
উক্ত ফরয বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে অবদান:
তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষায় পারিবারিকভাবে উৎসাহিত হলেও উনার চেষ্টা-কোশেশ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অসাধ্য সাধন করেছেন। শয়নে স্বপনে সব সময় একই চিন্তা, কিভাবে তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষালাভ করবেন। মানুষ যখন অবসরে, তিনি তখন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সন্ধানে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার ঈদের ছলাতে ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখে মনে করলেন, আজ মানুষ ঈদের আনন্দে ব্যস্ত, হয়তো ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে একাকী পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষার সু বাকি অংশ পড়ুন...
ব্রিটিশ বেনিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতবর্ষের সংস্কৃত ভাষার কথিত প-িত সম্প্রদায় তাদের ‘সংস্কৃত’ কেন্দ্রীক ভাষা, সাহিত্য, ব্যাকরণ এবং পরিভাষা ও শব্দ তৈরি করে বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের মধ্যে ডুবিয়ে শেষ করে দিতে চেয়েছে। বাংলা ভাষা নিষিদ্ধকরণ, ব্রিটিশ আমলে বাংলা ভাষার সংস্কৃতকরণ তথা বিকৃতিকরণসহ বাংলা ভাষার উপর নানান রকম নিপীড়ন তারা চালিয়েছে।
যা একদিকে বাংলা ভাষার উপর আগ্রাসন, অন্যদিকে মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার জন্য হুমকীস্বরূপ। বহিরাগত সংস্কৃতের আগ্রাসী ও ঈমানবিধ্বংসী সেসব শব্দ ও পরিভাষাগুলোর মধ্যে এখানে কিছু শব্দ ও পরিভাষা বাকি অংশ পড়ুন...
কোনো রাবী সম্পর্কে জারাহ করলেই কি সেই রাবী বাতিল হয়ে যান?
উল্লেখ্য যে, কোন রাবীকে প্রত্যাখ্যাত করতে হলে তার কারনও স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। রাবী নির্ভরযোগ্য নয় এটুকু বললেই হবে না। কেন গ্রহনযোগ্য নয় তার উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য কারন বলতে হবে। হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উছূল বর্ণনা করেছেন, ব্যাখ্যাহীন জারাহ গ্রহনযোগ্য নয়। মতভেদ, ভুলবশত মতপার্থক্য হতে পারে। কারো কারো কাছে একজন রাবী ছিক্বাহ অপর জনের কাছে ছিক্বাহ নয়। এ কারনে জারাহ করা হলে তার কারন উল্লেখ করা আবশ্যক।
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُـؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اِنَّـمَا الْاِفْطَارُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ وَفِـىْ رِوَايَةٍ اَلْفَطْرُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তি বাকি অংশ পড়ুন...
তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাস উনার তুলনায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তদ্রুপ মর্যাদাবান। যেসব ওসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত জান্নাতে দাখিল করেন- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাস উনার ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম ওসীলা।
পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। পবিত্র রমাদ্বান শ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাত্রবৃন্দ:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন ইমামু দারিল হিজরা, অর্থাৎ সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম। অতএব সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম উনার ছাত্র হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্য কে না চায়। তাই উনার ছাত্র অগণিত। ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখযোগ্য ১৬৬ জনের নাম বর্ণনা করেছেন। ইমাম খ¦তীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৯৯৩ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করেন।
কয়েকজন প্রসিদ্ধ ছাত্রের নাম নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১। ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবনু ইদরীস আশ্ শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
২. ইমাম হযরত সুফইয়ান ইবনু উয়ায়নাহ র বাকি অংশ পড়ুন...
“কম দূরত্বের কারণে সময়ের পার্থক্য যেহেতু মান্য করা ফরয, সেহেতু বেশি দূরত্বের কারণে দিনের পার্থক্য মেনে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ পালন করা ও পবিত্র রোযা শুরু করা ফরযে আইন”
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন উনারাসহ চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদও নাই, যিনি কোথাও এমন কথা বলেছেন যে, “সারা বিশ্বে একই সাথে একই দিনে ঈদ পালন করতে হবে ও রোযা শুরু করতে হবে”। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيْضًا أَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَيَّامٍ اُخَرَ ۗ يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ.
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমাদ্বান শরীফ মাস পাবে তাকে অবশ্যই এ মাসে রোযা রাখতে হবে। আর কেউ অসুস্থ হলে অথবা মুসাফির হলে সে অন্য সময়ে (রোযা রেখে) গণনা পূরণ করে নিবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য সহজটা চেয়ে থাকেন, তিনি তোমাদের জন্য কঠিনটা চান না- যাতে তোমরা গণনা পূরণ করতে পারো। এবং তি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত কা’ব ইবনে ‘উজাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে বললেন, আপনারা মিম্বর শরীফ উনার নিকট সমবেত হোন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সবাই মিম্বর শরীফ উনার নিকট একত্রিত হলেন।
যখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিম্বর শরীফ উনার প্রথম সিঁড়ি মুবারক-এ ক্বদম মুবারক রাখলেন, ত বাকি অংশ পড়ুন...
‘ফাইদ্ব’ ও ‘তাওয়াজ্জুহ’ শব্দ মুবারকদ্বয় আরবী। ‘ফাইদ্ব’ শব্দটি আরবী ‘ফাইদ্বহ’ শব্দ মুবারক থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ- কল্যাণ, ভালো ফলাফল, সুফল, নিয়ামত, বরকত, মর্যাদা ইত্যাদি। আর ‘তাওয়াজ্জুহ’ শব্দটি বাবে তাফা‘উল থেকে ইসমে মাছদার বা ক্রিয়ামূল। যার আভিধানিক অর্থ- দৃষ্টি নিক্ষেপ, নেক নজর, নেক করম, সন্তুষ্টির দৃষ্টি, রুজু হওয়া ইত্যাদি। সুতরাং ‘ফাইদ্ব-তাওয়াজ্জুহ’ উনাদের সামগ্রিক অর্থ হলো নিয়ামত দানের জন্য নেক দৃষ্টি, বরকতময় নেক নজর। (সমূহ অভিধান গ্রন্থ)
সম্মানিত তরীক্বত উনার পরিভাষায়, ফয়েজ হচ্ছে এক প্রকার নূর বা আলো বিশেষ। যা সম বাকি অংশ পড়ুন...












