ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (৪০)
, ০৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখানে কোন চিন্তা করা যাবে না, ফিকিরও করা যাবে না তাহলে এর বিরুদ্ধে কি করে বলা যাবে। যারা উলামায়ে ‘সূ’ তারা তো বলে থাকে, এতো পর্দার দরকার নেই। নাঊযুবিল্লাহ! যেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা পর্দা ফরয করা হলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে-
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُوْلٰى
“তোমরা তোমাদের বাড়ীর ভিতরে অবস্থান করো আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেপর্দা হয়ে চলা-ফেরা করোনা। ঘুরিয়ে বেরিও না। ” মহান আল্লাহ পাক তিনি নিষেধ করে দিলেন। এরপরও উলামায়ে সূ’রা বলে এতো পর্দার দরকার নেই। নাঊযুবিল্লাহ! তাহলে এরা কি করে ঈমানদার বলে সাব্যস্ত হবে। ছবি নিষেধ করা হলো, ছবি তোলনেওয়ালা জাহান্নামী, তোলানেওয়ালা জাহান্নামী তাহলে কি করে বর্তমান যামানায় ছবির প্রয়োজন হতে পারে।
উলামায়ে ‘সূ’রা বলে থাকে, বর্তমান যামানায় ছবির প্রয়োজন রয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! তাহলে এদেরকে কি করে মুসলমান বলা যেতে পারে। সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া দিলে উলামায়ে সূ’রা একজনও ঈমানদার হিসেবে থাকবে না। কারণ এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা সাব্যস্ত হয়, যারা চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে, দ্বিমত পোষণ করে এরা প্রকাশ্য গোমরাহে গোমরাহ, অর্থাৎ কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
আর এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা সেটাই ছাবিত হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেন সেটাই হারাম, যা হালাল করেন সেটাই হালাল। অবশ্যই সেটা মেনে নিতে হবে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না।
এখানে অনেক ফিকিরের বিষয় রয়েছে। অনেক চিন্তার বিষয় রয়েছে, এটা প্রত্যেকের চিন্তা করতে হবে, ফিকির করতে হবে। প্রতিটি বিষয় অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুম-আহকাম, আদেশ-নির্দেশ সম্পর্কে ফিকির করতে হবে। ফিকির না করলে সে কিন্তু বুঝবে না। দুনিয়ার মোহে অন্ধ হয়ে যদি কেউ এই কুফরী শিরকীগুলো করে সেতো ঈমানদার থাকতে পারবে না। কাফির-মুশরিকদের জন্যে তো আলাদা হুকুম রয়েছেই।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)