আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِىَ الْاِسْلَامُ عَلٰى خَـمْسٍ شَهَادَةِ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُـحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءِ الزَّكٰوةِ وَالْـحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন-মুসলমানের করণীয় বিষয়াবলী
মহিমান্বিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ অন্যতম। এ পবিত্র মাস উনার মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ মাস উনার মধ্যে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী করে তাক্বওয়া হাছিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেজামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ فَارَقَ الْـجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি মুসলমানদের বড় জামায়াত হতে এক বিঘত পথও সরে যাবে অর্থাৎ কিছু আমল হতে কিছুক্ষণের জন্য সরবে, সে অবশ্যই তার গর্দান হতে পবিত্র ইসলাম উনার রশি ফেলে দিল।” নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ)
ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল মুসলিমীন, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন,
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাক্বাম মুবারক
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
** ইমাম আহমদ বিন হাম্ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীনের প্রতি দৃঢ়তা:
হযরত মুহম্মদ আসলাম তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের প্রতি, দ্বীনের রাস্তায় চরম দৃঢ় ছিলেন। কোন অবস্থাতেই তিনি কুফরী-শেরেকী ও নাহক্বের কাছে নতি স্বীকার করেননি। উনাকে সে সময়কার শাসকবর্গ বলেছিল, “আপনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মখলুক (সৃষ্ট বস্তু) বলে স্বীকার করুন।” তিনি বললেন, “আমি এরূপ দ্বীন বিরোধী উক্তি কিছুতেই করতে পারবো না।” এতে ক্রুদ্ধ হয়ে সে সময়কার শাসনকর্তা উনাকে দুই বৎসরকাল পর্যন্ত জেলে আটকিয়ে রাখে। তিনি জেলে থেকে প্রতি জুমুয়াবার জুমুয়ার পূর্বে বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা শরীরের রোগ নিরাময়ের জন্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করে থাকি, তার মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো- “ইনজেকশন”। এ ইনজেকশন বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিশেষ পদ্ধতি, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রোযা, যেটা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যে ফরজে আইন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শর বাকি অংশ পড়ুন...
অথচ প্রায় সমস্ত আরবী লুগাত বা অভিধানগ্রন্থে- حُقْنَةٌ - اَلْـحُقْنَةُ - مِـحْقَنَةٌ- اِحْتِقَانٌ ইত্যাদি শব্দের উল্লেখ রয়েছে। যার সরাসরি অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ ইত্যাদি। আর সেই حُقْنَةٌ (হুক্বনাতুন) থেকে اِحْتَقَنَ (ইহ্তাক্বানা) শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ ‘আল ক্বামূসুল জাদীদ’ (আরবী-উর্দূ) লুগাত বা অভিধানগ্রন্থের বর্ণনা উল্লেখ করা হলোঃ
حُقْنَةٌ -‘হুক্বনাতুন’ অর্থ- ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।
اِحْتِقَانٌ বাবে اِفْتِعَالٌ এর মাছদার বা ক্রিয়ামূল। অর্থ ইনজেকশন নেয়া। আর উক্ত বাব থেকে اِحْتَقَنَ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হলো, সে ইনজেকশ নিল।
আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধানগ্রন বাকি অংশ পড়ুন...
সারা বিশ্বে একদিনে রোযা ও ঈদ পালন করার দাবীদাররা বিভ্রান্ত
সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি সম্মানিত হজ্জের সময় নির্ধারণ করা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্ব উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে সম্মানিত রোযা, ঈদ, অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়। পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১২-১৪ ঘণ্টারও বেশি। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি, সম্মানিত শরীয়ত উনার দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে, যে স্থান বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম শরীফ উনার বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘মুসলিম শরীফ উনার’ টিকায় এবং ইমাম তাহাবী ‘দুররুল মুখতার’ কিতাবের হাশিয়াতে লিখেন-
عَلَيْكُمْ يَا مَعْشَرَ الْـمُؤْمِنِيْنَ اِتِّبَاعُ الْفِرْقَةِ النَّاجِيَةِ الْـمُسَمَّاةِ بِأَهْلِ السُّنَّةِ وَالْـجَمَاعَةِ فَأِنَّ نَصْرَةَ اللهِ وَحِفْظهٗ وَتَوْفِيْقَهٗ فِيْ مُوَافِقَتِهِمْ وَخَذَلًالَّهٗ وَسَخْطَهٗ وَمَقْتَهٗ فِيْ مُـخَالِفَتِهِمْ وَهٰذِهِ الطَّائِفَةُ النَّاجِيَةُ قَدْ اِجْتَمَعَتِ الْيَوْمَ فِيْ مَذْهَبِ أَرْبَعٍ وَهُمُ الْـحَنَفِيُّوْنَ وَالْـمَالِكِيُّوْنَ وَالشَّفِعِيُّوْنَ وَالْـحَنَبِلِيُّوْنَ رَحِـمَهُمُ اللهُ وَمَنْ كَانَ خَارِجًا مِّنْ هٰذِهِ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখানে “উলিল আমর” বলতে ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরামগণকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং “উলিল আমর” যেমন ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবেন, তদ্রুপ ইজতিহাদের দরজাও ক্বিয়ামত পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর ইজমা ক্বিয়াস এ ইজতিহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, পৃথিবীতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত নতুন সমস্যারই উদ্ভব হোক না কেন, তার ফায়সালা অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে করতে হবে।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে “রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স বাকি অংশ পড়ুন...












