৭. দিনের নামকরণ:
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী: আরবী মাসের দিনের নামানুসারেই দিনগুলোর নামকরণ হয়েছে।
যথা : ইছনাইনিল আযীম (সোমবার),
ছুলাছা (মঙ্গলবার), আরবিয়া (বুধবার),
খ¦মীস (বৃহস্পতিবার), জুমু‘আহ (জুমুয়াবার),
সাব্ত (শনিবার), আহাদ (রোববার)।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি: রোমানরা গ্রহের সাথে দেবতার সম্পর্ক করতো এভাবে- Sunday- Day of God (বিধাতার দিন), Monday- MoonÕs day (চাঁদের দেবীর সাথে মিলিয়ে), Tuesday - দেবতা Tiw-Gi bv এর নাম থেকে, Wednesday - Mercury
দেবতার নাম থেকে, Thursday- Thor দেবতার নাম থেকে, Friday - দেবী Frigg -এর নাম থেকে, Saturday - শনি গ্রহের (Saturn) সম্মানে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুসলমানদের জন্য এভাবে গ্রহ-নক্ষত্র, দেব-দেব বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ সনদে বর্ণিত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে উছুলে হাদীছ শরীফ উনার হুকুম
বিশ্ববিখ্যাত ফক্বীহ্ ইমাম হযরত ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেছেন, দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ দ্বারা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয় এবং দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত অর্জন করার জন্য আমল করাও জায়িয।
এ সম্পর্কে হযরত ইমাম হযরত ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلضَّعِيْفُ غَيْرُ الْـمَوْضُوْعِ يَعْمَلُ بِهٖ فِـىْ فَضَائِلِ الْاَعْمَالِ.
অর্থ : “দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ যা মওদ্বু নয়, তা ফযীলত অর্জনের জন্য আমল করা জায়িয। ” (ফতহুল ক্বাদীর ১/৩৪৯)
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ্ হযরত ইমাম হযরত মোল্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেন-
وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ
“আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি নছীহত করুন, নিশ্চয়ই আপনার নছীহতগুলো মু’মিনদের জন্য ফায়দাজনক হবে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
تَذَاكَرُوْا فَاِنَّ فِى الْمُذَاكِرَةِ حَيَاةٌ
অর্থ : তোম বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حضرت جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضى الله تعالى عنه قَالَ قَالَ حضرت عُمَرُ عليه السلام لحضرت أَبِي بَكْرٍ عليه السلام يَا خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ فَقَالَ حضرت أَبُو بَكْرٍ عليه السلام أَمَا إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ ذَاكَ فَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ عَلَى رَجُلٍ خَيْرٍ مِنْ حضرت عُمَرَ عليه السلام
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قال حضرت علي عليه السلام قال النبي صلى الله عليه وسلم اتقوا غضب حضرت عمر عليه السلام فإن الله تعالى يغضب إذا غضب حضرت عمر عليه السلام
অর্থ: “হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার অসন্তুষ্টি মুবারক উনাকে ভয় করো। কেননা নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন অসন্তুষ্ট মুবারক প্রকাশ করেন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি অ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم ينادي مناد يوم القيامة أين الفاروق فيؤتى بحضرت عمر عليه السلام إلى الله تعالى فيقال مرحبا بك يا حضرت أبا حفص عليه السلام هذا كتابك إن شئت فاقرأه وإن شئت فلا فقد غفرت لك فيقول الإسلام يا رب هذا حضرت عمر عليه السلام أعزني في دار الدنيا فأعز في عرصات القيامة فعند ذلك يحمل على ناقة من نور ثم يكسى حلتين لو نشرت أحدهما لغطت الخلائق ثم يسير بين يديه سبعون ألف ملك ثم ينادي مناد يا أهل الموقف هذا حضرت عمر بن الخطاب عليه السلام فاعرفوه
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মিসরের শুষ্ক নীলনদের প্রতি ফরমান মুবারক লিখে পাঠিয়ে ছিলেন-
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
مِنْ عَبْدِ اللهِ عُمَرَ اَمِيْرِ الْمُؤْمِنِينَ اِلـٰى نِيْلِ اَهْلِ مِصْرَ اَمَّا بَعْدُ فَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِيْ مِنْ قِبَلِكَ وَمِنْ اَمْرِكَ فَلَا تَـجْرِ فَلَا حَاجَةَ لَنَا فِيْكَ وَاِنْ كُنْتَ اِنَّـمَا تَـجْرِىْ بِاَمْرِ اللهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ وَهُوَ الَّذِىْ يُـجْرِيْكَ فَنَسْأَلُ اللهَ تَعَالٰى اَنْ يُّـجْرِيَكَ
অনুবাদ:
বিস্মিল্লাহির রহ্মানির রহীম
“এই সম্মনিত চিঠি মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা, আম বাকি অংশ পড়ুন...
একবার সুদূর এলাকা থেকে দু’জন ছূফী লোক তাজুল আরেফীন হযরত আবদুল্লাহ খাফীফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে সাক্ষাত করার উদ্দেশ্যে আগমন করলেন। উনারা উনার দরবার শরীফে পৌঁছে জানতে পারলেন যে, তিনি কি এক বিশেষ প্রয়োজনে বাদশাহর দরবারে গিয়েছেন। এ খবর শুনে ছূফী দু’জনের মন উনার প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে উঠলো। উনারা ভাবলেন, একজন ওলীআল্লাহর পক্ষে বাদশাহর দরবারে যাতায়াত করা তো শোভনীয় নয়। এই যদি উনার অবস্থা হয়, তাহলে উনার সাথে সাক্ষাত করে কি হবে? এই চিন্তা করে দুই ছূফী সেই ওলীআল্লাহর দরবার শরীফ থেকে বের হয়ে স্বদেশ অভিমুখে প্রত্যাবর্তন করলেন।
বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ঘোষণা করে দেন যাতে মুসলমানরা সাবধান, সতর্ক হতে পারে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْ بَعْدِ إِيْمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ أَنفُسِهِمْ
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে কামনা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হয়ে যাও। (সূরা বাক্বারা : আয়াত শরীফ ১০৯)
মুসলমানদেরকে জাহান্নামী করার জন্য কাফির-মুশরিকরা উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হিসেবে ছবি ও বেপর্দা এ বিষয় দু’টিক বাকি অংশ পড়ুন...












