ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (১২)
, ১৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখনতো হারামকে হালাল ফতওয়া দিচ্ছে উলামায়ে ‘সূ’রা। যেমন এরা ছবি তোলা জায়িয ফতওয়া দিচ্ছে। নাউযূবিল্লাহ!
যারা শাসক রয়েছে তাদের পবিত্র কুরআন শরীফ. পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ইলিম নেই। এরা আবার সেটাকে ফরয ওয়াজিব করার জন্য অর্থাৎ জায়িয করার জন্য মসজিদে মসজিদে ঘোষণা দিবে। নাউযূবিল্লাহ!
এটা হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অর্থাৎ বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে ইরশাদ মুবারক করলেন, যারা জাহান্নামে যাবে তারা বলবে, আয় মহান আল্লাহ পাক!
إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا
নিশ্চয়ই আমরা سَادَتَنَا ঐ সময় যারা রাজা-বাদশা ছিলো, আমীর উমরা ছিলো তাদের অনুসরণ করেছি
وَكُبَرَاءَنَا
এবং যারা মুরুব্বী ছিলো, আলিম-উলামা ছিলো, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, ছূফী, দরবেশ, পীর ছাহেব নামে যারা ছিলো, ঐ সমস্ত লোকদের অনুসরণ করেছিলাম। তারাতো ছবি জায়িয ফতওয়া দিয়েছিলো, তারাতো বেপর্দা জায়িয ফতওয়া দিয়েছিলো, তারাতো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র জায়িয ফতওয়া দিয়েছিলো।
আয় মহান আল্লাহ পাক! তারাতো টিভি চ্যানেল জায়িয ফতওয়া দিয়েছিলো, সেটাতো আমরা মেনেছিলাম। যার জন্য আজকে জাহান্নামে যেতে হলো।
এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, তারা তখন বলবে, আমরা আম লোক তাতে তারা কিন্তু মাফ পাবে না, উদ্ধার পাবে না, এটা মনে রাখবেন।
আম লোক তারা বলবে, আয় মহান আল্লাহ পাক! আমাদের গোমরাহ করেছিলো রাজা-বাদশা, আমির-উমরা, উলামায়ে সূ’রা। এরাই ছবিকে জায়িয ফতওয়া দিয়েছিলো।
ভোটের নাম দিয়ে, আইডি কার্ড করার নাম দিয়ে তারা জবরদস্তি ছবি তুলিয়েছিলো এবং ছবি তোলানোর পক্ষে তারা ফতওয়া দিয়েছিলো। তারা কখনও হারাম কাজের প্রতিবাদ করেনি। এখন তাদের দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে।
এতে কিন্তু তারা উদ্ধার পাবেনা এবং বাঁচতেও পারবে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে তারা ভোট, নির্বাচন করেছে। অথচ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে ভোট, নির্বাচন ইত্যাদি করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। এখনও উলামায়ে সূ’রা এটা জায়িয ফতওয়া দেয়। মুনাফিকরা ইন্ধন যোগায় এবং বিভ্রান্ত শাসক যারা রয়েছে তারা সেটা বাস্তবায়ন করে। নাউযূবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)