“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
মুরতাদ তকী উসমানী তার মুরুব্বীর বক্তব্যের বরাত দিয়েছে। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি মুরুব্বীর বরাত দিতে নিষেধ করেছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَإِذَا قِيْلَ لَـهُمُ اتَّبِعُوْا مَا أَنْـزَلَ اللهُ قَالُوْا بَلْ نَـتَّبِعُ مَا أَلْفَيْـنَا عَلَيْهِ اٰبَاءَنَا ۗ أَوَلَوْ كَانَ اٰبَاؤُهُمْ لَا يَـعْقِلُوْنَ شَيْـئًا وَّلَا يَـهْتَدُوْنَ
অর্থ: যখন তাদেরকে বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নাযিল করেছেন সেগুলোর অনুসরণ করো। তখন তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে যার উপর পেয়েছি তার অনুসরণ করবো। যদিও তাদের পূর্বপুরুষরা জ্ঞানীও ছিলো না এবং হিদায়েতপ্রাপ্তও ছিলো না। বাকি অংশ পড়ুন...
উনি অনেক চিন্তা করতে করতে গভীর রাতে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমের মধ্যে তিনি স্বপ্নে শামাউনকে দেখলেন। সে স্বর্ণের মুকুট মাথায় প্রফুল্ল অবস্থায় দামী দামী পোশাক পরিচ্ছদ পরে বেহেশ্তের মধ্যে বিচরণ করছে, খুব হাসি-খুশি। সে বললো, হে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার কথা আমি সত্য পেয়েছি। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, কেমন আছ? আপনি যেমন দেখছেন। বললো, হুযূর! আপনার এই কাগজটার এখন আর জরুরত নেই, আপনি এটা নিয়ে নেন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি চিন্তা করছিলেন, কাগজটা আবার যদি ক্বিয়ামতের দিন পেশ করে, তাহলে আমার কি অবস্থা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ومن يبخل فانما يبخل عن نفسه
অর্থ: যারা কৃপনতা করে তারা মূলত নিজেদের প্রতিই কৃপনতা করে । (সূরা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: আয়াত শরীফ ৩৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَى فِئَةٍ فَقَدْ بَاءَ بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
অর্থ: “আর যে লোক সেদিন (সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার ময়দানে) তাদের (কাফিরদের) থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যিনি সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার কৌশল পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে অথবা নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসবেন, তিনি ব্যতীত অন্যরা মহান আল্লাহ পাক উনার গযবে পতিত হবে। আর তার ঠিকানা হলো জাহান্নাম। প্রকৃতপক্ষে সেটা হলো অত্যন্ত নিকৃষ্ট অবস্থানস্থল। ” নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বর্তমানে তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষ কঠিন ভয়াবহ ফিতনার সম্মুখীন হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক ফায়ছালা কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
জওয়াব (ধারাবাহিক):
৯. মানুষের খাসি করা হারাম:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَان بن مَظْعُون رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِئْذَنْ لَنَا فِى الْاِخْتِصَاءِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ خَصٰى وَلَا اِخْتَصٰى
অর্থ : হযরত উছমান ইবনে মায‘ঊন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি ব বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়। উনার প্রতিবেশীর মধ্যে শামাউন নামে একজন মজুসী (অর্থাৎ অগ্নি উপাসক) ছিল এবং সে ব্যক্তি সত্তর বছর হায়াত পেয়েছে। তার যখন মৃত্যুর সময় হলো, তখন এক ব্যক্তি সংবাদ দিল হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। হুযূর! আপনার প্রতিবেশী যে মজুসী শামাউন সেতো মারা যাচ্ছে। আপনি একটু দয়া করে তাকে নছীহত করুন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি আসলেন। এসে বললেন, হে শামাউন, তুমি তো সারা জীবন অগ্নি উপাসনা করলে, এখন আর কত করবে? সত্তর বছর হয়ে গেছে, তার চেহারাটা কালো হয়ে গেছে, শরীরট বাকি অংশ পড়ুন...
১। উনারা কারো মত নন।
২। উনারা কায়িনাতের সকলের মা।
৩। উনাদেরকে পবিত্র করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
বাকি অংশ পড়ুন...
একাধিক হাদীছ শরীফ বিশারদগণ উনারা ‘আল ফাওয়াইদ’ কিতাবের উদ্ধৃতিতে এই হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন এবং সনদ নির্ভরযোগ্য বলেছেন। যেমন- হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আশ শামায়িলুশ শরীফাহ’ কিতাবে উল্লেখ করেন-
وَاقْتصر عَلَيْهِ مَعَ وُرُوده من طَرِيق مَقْبُول فقد رَوَاهُ الخلعي رحمة الله عليه فِي فَوَائده من حَدِيث سيدنا حضرت كرم الله وَجهه عليه السلام قَالَ الْحَافِظ الزين الْعِرَاقِيّ رحمة الله عليه وَإِسْنَاده جيد
অর্থ: “এ কথার উপরই সন্তুষ্ট থাকা উচিত যখন এই হাদীছ শরীফখানা আরেকটি গ্রহণযোগ্য সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেটা ইমাম খিলা‘য়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘আল ফাওয়াই বাকি অংশ পড়ুন...
যেসব ওজরের কারণে তাইয়াম্মুম জায়িয
১. যে ব্যক্তি পানি হতে এক মাইল দূরে থাকে, সে শহরে কিংবা শহরের বাইরে থাকুক, মুসাফির কিংবা মুক্বীম হোক, তার জন্য তাইয়াম্মুম করা জায়িয। আর তা অপেক্ষা কম দূরে পানি থাকলে তাইয়াম্মুম জায়িয হবে না। যদি পানির স্থানে পৌঁছতে পৌঁছতে নামাযের ওয়াক্ত ফউত হবার সম্ভাবনা থাকে, তবে তাইয়াম্মুম করে নামায পড়তে হবে এবং পানির নিকট উপস্থিত হয়ে অজু করে পুনরায় নামায আদায় করতে হবে।
২. যদি লক্ষণ কিংবা পরীক্ষা দ্বারা অথবা কোনো পরহেযগার মুসলমান চিকিৎসকের কথায় দৃঢ় ধারণা হয় যে, পানি ব্যবহার করলে পীড়া বৃদ্ধি কিংবা পীড়া উপশ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও। ” (বুখারী শরী বাকি অংশ পড়ুন...












