সম্পাদকীয়-২
হাড় কাঁপানো শীতে বাড়ছে আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা দগ্ধ রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছে না জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় দগ্ধ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় সত্যিকার দায়বোধের উপলব্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ২৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষদের দুর্দশাও বেড়েছে। ভোর আর সন্ধ্যায় গ্রামে গ্রামে জটলা বেঁধে আগুন পোহানোর মাধ্যমে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকেই। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উষ্ণতা নিতে গিয়ে ঘটছে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাও। কেউ কেউ শীত নিবারণে গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়েও দগ্ধ হচ্ছেন।
সরকারি হিসাব বলছে, দেশে বছরে ৬ লাখ মানুষ নানা কারণে দগ্ধ হন। কিন্তু এমন রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ দেশে খুবই সীমিত। দুর্ঘটনা যেখানেই ঘটুক, রোগীর পরিস্থিতি একটু জটিল হলেই ছুটতে হয় রাজধানীতে।
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, জনবহুল এ দেশে দগ্ধ রোগীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। সুচিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় দগ্ধ রোগীর চাপ বাড়ছে এখানে। দেশের ১৩টি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকলেও সেগুলোয় জনবল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল।
কোনো কোনো হাসপাতালে নেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র, নেই যন্ত্রপাতি, আবার কোথাও নেই চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল, কোনোটিতে নেই বার্ন ইউনিটই। এসব কারণে দেশের যেকোনো জায়গায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে দূর-দূরান্ত থেকে রোগীদের আসতে হয় ঢাকায়। ফলে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে বাড়ছে রোগীদের চাপ। ইনস্টিটিউটের এ চাপ সামলানোর সক্ষমতা না থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ আশপাশের মেডিকেল কলেজে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে দেশের অন্যতম সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু হয়েছিল ২০১৫ সালে। চালুর পর থেকে বার্ন ইউনিটের যে জনবল কাঠামো ছিল তা কখনই পরিপূর্ণ হয়নি। এটি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ৩০ শয্যার বার্ন ইউনিটে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। তাদের চিকিৎসায় রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। আবার ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় দগ্ধ রোগীদের মেঝেতে কিংবা অন্য ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোর বার্ন ইউনিটের চিত্র। চাহিদা অনুপাতে হাসপাতালে যে মানের বার্ন ইউনিট থাকা প্রয়োজন, তা অনুপস্থিত।
কোনো দগ্ধ রোগীর ২৪ ঘণ্টা হচ্ছে ‘গোল্ডেন আওয়ার’। এ সময়ে তাকে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু সূদুর রংপুর বিভাগের কোনো জেলার কোনো কোনো দগ্ধ রোগীকে এ সময়ের মধ্যে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করানোর বাস্তবতা নাও থাকতে পারে। আরেকটি বিষয় বরাবরই লক্ষণীয়, দেশে যখন বড় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে তখনই বার্ন ইউনিটের সংকট কাটানোর চেষ্টা দেখা যায় নীতিনির্ধারকসহ সব পর্যায় থেকেই। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে সবকিছু বেমালুম ভুলে যায় সবাই। সংস্কারের দাবীদার অন্তর্বর্তী সরকারও একই গোলক ধাধায় আবদ্ধ থাকছে।
দেশের সব সরকারি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে তাদের চিকিৎসা দেয়া অনেক সহজ হতো। বেঁচে যেত অনেক মূল্যবান জীবন।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












